• ঢাকা শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১
logo

রসগোল্লার চা বানিয়ে মাসে আয় ২ লাখ

জহির রায়হান (চুয়াডাঙ্গা), প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৫:১০

জিভে জল আনা ভিন্ন স্বাদের রসগোল্লার চা। খাঁটি গরুর দুধ, দুধের সর ও ছানার রসগোল্লা দিয়ে বানানো হয় ব্যতিক্রমী এই চা। এতে দেওয়া হয় না বাড়তি কোনো চিনি। ভিন্ন স্বাদের রসগোল্লার চা বানিয়ে রীতিমতো সাড়া ফেলেছেন চুয়াডাঙ্গার তরিকুল ইসলাম।

প্রতিদিন বিক্রি হয় ২০০ কাপ চা। প্রতি কাপ রসগোল্লার চায়ের দাম ৩০ টাকা। এতে প্রতিদিন আয় হয় ৬ হাজার টাকা, যা ১ মাসে দাঁড়ায় প্রায় ২ লাখ টাকায়। চা বিক্রির টাকা দিয়েই চলে তার সংসার।

রং চা, দুধ চা, আদা চা, লেবু চা কিংবা মসলা চাসহ হরেক রকমের চায়ের স্বাদ নিয়েছেন অনেকেই। তবে চায়ের স্বাদে একটু ভিন্নতা আনতেই এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।

দুধ ও রসগোল্লায় তৈরি এ চা দেখে যে কারও জিভে জল আসবে। কেন না এর উপকরণ আর বানানোর পদ্ধতি এর স্বাদে দিয়েছে ভিন্নতা।

চা আর রসগোল্লা— বাঙালির পছন্দের দুটি খাবার। আর দুটো স্বাদই এক সঙ্গে পাওয়া যায় এ চায়ে। এরইমধ্যে রসগোল্লা চায়ের খ্যাতি ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। ভিন্ন স্বাদের এ চায়ের স্বাদ নিতে ভিড় করছেন অনেকেই।

তাইতো বিকেল হলেই শুরু হয় চা তৈরির কর্মযজ্ঞ। একটি পাত্রে খাটি গরুর দুধ জাল দেওয়া হয় ঘন ও হলুদ বর্ণ ধারণ করা পর্যন্ত। ঘন দুধের ওপর জমতে থাকে সর। তারপর কাপে দেওয়া হয় আগে থেকে তৈরি ছানার রসগোল্লা। এর সাথে দুধ, সর ও চায়ের লিকার মিশিয়ে তৈরি হয় ভিন্ন স্বাদের রসগোল্লা চা।

ভিন্ন স্বাদের এই রসগোল্লার চা খেতে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ভিড় করছেন অনেকেই। শুধু চুয়াডাঙ্গা নয়, কুষ্টিয়া, মেহেরপুরসহ আশপাশের জেলার মানুষ চা খেতে আসছেন এখানে।

দীর্ঘ ২ বছর ধরে চা তৈরি করে আসছেন তারিকুল ইসলাম। প্রথমে ভিন্ন স্বাদের রসগোল্লার চা তৈরি করে আশপাশের দোকানিদের খাওয়ান তারিকুল। পরে সেই চা আকৃষ্ট করে ক্রেতাদের। প্রথমদিকে ছোট্ট পরিসরে শুরু করলেও সময়ের ব্যবধানে বেড়েছে তার কাজের পরিধি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে এ চায়ের খ্যাতি। আর তা দেখে চায়ের স্বাদ নিতে বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজন নিয়ে আসছেন অন্যরা। বিশ্বের এমন কোনো দেশ নেই, যেখানকার মানুষ চা পছন্দ করেন না। তবে স্বাদের ভিন্নতার কারণে ক্রেতাদের মুখে নিজের তৈরি চায়ের সুনাম শুনে প্রশান্তি পান তারিকুল ইসলাম।

মন্তব্য করুন

  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়