• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১
logo

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর নিজেই দুর্যোগে!

সুমন তানভীর

  ৩১ আগস্ট ২০২৪, ২৩:০৭

স্বাধীনতার ৫২ বছরেও দুর্যোগ কাটেনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের। এক কর্মকর্তা ও এক অফিস সহকারী দিয়ে চলছে উপজেলা পর্যায়ের কার্যক্রম। ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানোর জন্য ৪৯৫ উপজেলার একটিতেও নেই নিজস্ব কোনো যানবাহন। ফলে চলমান বন্যায় অনেকটা নীরব দর্শকের ভূমিকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মূল দায়িত্বে থাকা এই অধিদপ্তর।

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১১টি জেলা। দুর্গতদের সহায়তায় দেশবাসী এগিয়ে এলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রাণ না পৌঁছানোর অভিযোগে সহসাই প্রশ্ন উঠছে দুর্যোগ মোকাবিলার দায়িত্বে থাকা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আসলে কী করছেন?

দেশের ৪৯৫টি উপজেলায় অফিস থাকার পরও কেন ত্রাণ পৌঁছানো যাচ্ছে না ওইসব এলাকায়। এসব প্রশ্ন নিয়ে মহাখালীর অধিদপ্তর মহাপরিচালকের কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে অধিদপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে পাওয়া যায় সব অনিয়মের ভয়াবহ তথ্য।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উপপ্রকল্প পরিচালক মো. আওলাদ হোসেন বলেন, অনেক ত্রাণসামগ্রী আছে, কিন্তু ডিস্ট্রিবিউশনের জন্য সমস্যা হচ্ছে। মাত্র দুইজন জনবল নিয়ে এতো বিশাল দুর্যোগ মোকাবিলা আমাদের জন্য কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সরকারকে আমরা বারবার প্রস্তাব পাঠাচ্ছি। কিন্তু বুঝতে পারছি না কোন অদৃশ্য শক্তির কারণে সেটি অনুমোদন হচ্ছে না।

১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত দুর্যোগপ্রবণ বাংলাদেশে দুর্যোগ মোকাবিলার একমাত্র সংস্থাটি চলছে মাত্র ২ হাজার ৭১০ জন জনবল নিয়ে। যার মধ্যে আবার অনেক পদই খালি। সে বিবেচনায় ৫২ বছরে কর্মী বাড়ার বদলে উল্টো কমেছে। একজন কর্মকর্তার অধীনে একজন সহকারী নিয়ে চলছে ৪৯৫ উপজেলার কার্যক্রম। ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় নেই কোনো যানবাহনও।

সংকটের কথা স্বীকার করছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ও। বলছে, সংস্কারের কাজ শুরু হবে শিগগিরই, বাড়ানো হবে জনবলও।

বিশেষজ্ঞরা জানান, জনবল বাড়ানোর পাশাপাশি দুর্যোগপ্রবণ একটি দেশে কোনো উদ্দেশ্যে কাদের স্বার্থে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিদপ্তরকে পঙ্গু করে রাখা হয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানববন্ধন