পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি কমলেও নিত্যপণ্যের দাম পুরনো চেহারায়
পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি কমলেও সে অনুযায়ী নিত্যপণ্যের দাম কমেনি। আওয়ামী লীগের সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থীদের বাজার তদারকি ও পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি বন্ধ হওয়ায় নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা কমে গিয়েছিল। কিন্তু দাম আবার পুরনো চেহারায় ফিরেছে।
বাজারে ৫০ টাকার ওপর বেশির ভাগ সবজির দাম। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজিতে, আলু ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, বেগুন ১০০ টাকা, পটল ৫০ টাকা আর টমেটো ১৬০ টাকা কেজি। বিক্রেতাদের অভিযোগ, নীরব চাঁদাবাজি আর বন্যার প্রভাবে বাড়ছে দাম।
এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা, সোনালি ২৫০ এবং দেশি মুরগি ৫০০ টাকা কেজি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ফিডের উচ্চমূল্যের কারণে মুরগির দাম কমছে না।
শুধু তাই নয়, রুই থেকে শুরু করে টেংরা, পাবদা ও মলা মাছে কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা কমেছে। তবে এখনও চড়া ইলিশের দাম। কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ টাকা।
এদিকে বন্যার অজুহাতে প্রতি বস্তা চালের দাম বেড়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। বাজারে চালের সরবরাহ ঠিক থাকলেও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছে, বন্যার কিছুটা প্রভাব এবং করপোরেট অসাধু চক্রের কারণে দাম বাড়তি।
বিক্রেতারা বলছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সংস্থার বাজার তদারকির কারণে দাম কিছুটা কমলেও নজরদারি অব্যাহত না থাকায় এখন ফের বাড়ছে। একইসঙ্গে নীরব চাঁদাবাজি আর বন্যার প্রভাবে দাম বাড়ছে বলেও জানান তারা।
ক্রেতারা বলছে, নিত্যপণ্যের দাম তাদের নাগালের বাইরে। বাজার সিন্ডিকেটকের কারণে এই অবস্থা। মাঝেমধ্যে নয়, বাজারে নজরদারি রাখতে হবে সবসময় ভাঙতে হবে মুনাফখোর সিন্ডিকেট।
উল্লেখ্য, বাজারে সয়াবিন, সরিষার তেল, সব ধরনের ডাল ও মসলাসহ আরও কিছু পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে।
মন্তব্য করুন