• ঢাকা বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১
logo

দখল-দূষণে একের পর এক মরছে নদী

শাকিলা করিম

  ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪৩

নদীকে বলা হয় জীবন্ত সত্তা। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, নদীর বিরূপ প্রভাবের কারণেই বিলুপ্ত হয় এক সময়কার সিন্ধু সভ্যতা। এমন ইতিহাস যেনো আগাম বার্তা নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশের জন্য। দখল-দূষণ আর নদীকে হারিয়ে প্রাণ-প্রকৃতি বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব নয়। এই উপলব্ধি বুঝতে যতো দেরি হবে ততোই দেশের অস্তিত্ব হারানোর শঙ্কা বাড়বে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

আদিকাল থেকে নদীর সঙ্গে মিশে আছে সমাজ-সভ্যতা-সংস্কৃতি। গুরুত্বপূর্ণ তো বটেই, সবুজ-শ্যামল বাংলাদেশের জন্য কথাটি বোধ হয় আরও বেশি প্রাসঙ্গিক। তবে বাস্তবতা হলো নদী আর সুখকর পরিবেশে নেই। যুগের পর যুগ দখল আর কলকারখানার বর্জ্যের দূষণ, যত্রতত্র নিষিদ্ধ পলিথিন ফেলার কারণে নদী হারাচ্ছে নাব্যতা, করুণ মৃত্যু হচ্ছে একের পর এক নদীর।

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন বলছে, দেশে বর্তমানে মোট নদ-নদীর সংখ্যা এক হাজার আটটি। এরমধ্যে তিন শতাধিক নদী প্রাণ হারানোর পথে। এ সংখ্যাও বাড়ছে সময়ের সাথে সাথে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদীকে বাঁচাতে আইনের অভাব নেই। কিন্তু প্রয়োগের জায়গায় হিসাবের খাতা একেবারে শূন্য।

পানিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত বলেন, বাংলাদেশে পর্যাপ্ত আইন থাকলেও প্রয়োগ নেই। এরজন্য আমরা অর্থনৈতিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গা নদী দূষণের প্রধান একটি কারণ ট্যানারি শিল্প। সেটাকে সাভারে নেওয়া হয়েছে, কিন্তু দূষণরোধ করা হয়নি। এর ফলে বুড়িগঙ্গার পরিবর্তে ধলেশ্বরী নদী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

মায়ের কোলে সন্তানের যেভাবে লালন সেভাবে দেশ বাঁচাতে নদীকে যত্নে লালন জরুরি। আইননু নিশাতের মতে, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরাও গড়তে পারি নদী বাঁচানোর নজির।

নদী রক্ষায় পরিকল্পনা ও জনসচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। তবেই নদী ফিরে পেতে পারে হারানো যৌবন। বইবে স্বচ্ছ জলরাশি।

আরটিভি/আরএ/এসএ

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে দূষণমুক্ত করতে নতুন প্রযুক্তি
শব্দদূষণ রোধে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
সাভারে এক নারীর জমি দখল, প্রাণনাশের হুমকি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাকাতির সময় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৬