সূর্যমুখীর বাগান নয়, যেনো এক একটি জীবন্ত শিল্পকর্ম
দিগন্ত বিস্তৃত হলুদ সূর্যমুখী ফুল গাছ, আর তা দিয়েই তৈরি হয়েছে নানা শিল্পকর্ম। কেউ বানিয়েছেন ভ্যান গঘের চিত্রকর্ম, কেউ করেছেন বিটোফেনের মুখের আকৃতি , আবার কেউ তুলে ধরেছেন শান্তির প্রতীক পায়রা যা পৃথিবীকে ঘিরে উড়ছে। প্রকৃতির বুকে এ যেনো মানুষের সৃষ্টির কিছু অসাধারণ দৃশ্য, যা আপনার মন ভরিয়ে তুলবে।
১। প্রথমে আসি ভ্যান গঘের চিত্রকর্মে। নেদারল্যান্ডসের এটেন লিউর শহরে ৬০ হাজার সূর্যমুখী দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ভ্যান গঘের বিখ্যাত চিত্রকর্ম 'ভেস উইথ ফিফটিন সানফ্লাওয়ার্স' পুনরায়। ৭,০০০ বর্গমিটারের এই সূর্যমুখীর বাগান এখন পর্যন্ত দেখতে এসেছেন প্রায় ১৬,০০০ দর্শক।
২। দ্বিতীয় শিল্পকর্মটি জার্মানির বাভারিয়ার উটিং শহরে ভুট্টা, সূর্যমুখী এবং হেম্প দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিটোফেনের মুখের আকৃতি। এই প্রকল্পটি বিখ্যাত সুরকারের ২৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নির্মাণ করা হয়। এক দম্পতি প্রায় ২১ বছর ধরে তৈরি করছেন এমন গোলকধাঁধা। তাঁদের মতে, সূর্যমুখী এই গোলকধাঁধার জন্য একেবারে উপযুক্ত এবং এটি দর্শনার্থীদের জন্য একটি বিশেষ আকর্ষণ।
৩। আর তৃতীয় শিল্পকর্মটি বাভারিয়ার আরেকটি গোলকধাঁধায় পৃথিবীর আকৃতি তুলে ধরা হয়েছে। ওপর থেকে দেখলে মনে হবে , শান্তির প্রতীক পায়রা পৃথিবী প্রদক্ষিণ করছে। পৃথিবী শান্তি আর ভালোবাসার যোগ্য, যেখানে মানুষ একে অপরের প্রতি উদার হবে এমন শান্তির বার্তা দিতে বানানো হয়েছে এই শিল্পকর্ম। যা বানাতে সময় লেগেছে প্রায় ২৪ বছর।
এক কথায় সূর্যমুখী দিয়ে তৈরি ভ্যান গঘের চিত্রকর্ম শেখায় প্রকৃতির জীববৈচিত্র্যের গুরুত্ব। বিটোফেনের মুখ দেখায় সৃজনশীলতার শক্তি। আর শান্তির গোলকধাঁধা মনে করিয়ে দেয়, পৃথিবীতে শান্তি আর ভালোবাসা ছড়ানো কতটা জরুরি। প্রকৃতি আর শিল্পের অনন্য মেলবন্ধনে এই সৃজনশীল নকশা দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেনো জীবন্ত চিত্রকর্ম। বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ থাকায় দর্শনার্থীদের কাছেও জনপ্রিয় এসব স্থান।
আরটিভি/এফআই
মন্তব্য করুন