• ঢাকা শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১
logo

রাখাইনে আরাকান আর্মির কর্তৃত্ব ঘিরে জটিল হচ্ছে ভূ-রাজনীতি

বিপুল দেব রায়

  ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:০৮

রাখাইনে আরাকান আর্মির কর্তৃত্ব যত বাড়বে, এ অঞ্চল ঘিরে ভূ-রাজনীতি ততই জটিল হবে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন যেমন ঝুঁকিতে পড়বে তেমনি মিয়ানমারের প্রতিবেশী ভারত-চীনের ভূ-রাজনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নেও দেখা দেবে টানাপোড়েন। যা বাংলাদেশের দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে।

মিয়ানমারের পশ্চিম উপকূলে রাখাইন প্রদেশ। আয়তন ৩৬ হাজার ৭৬২ বর্গ কিলোমিটার। প্রাকৃতিক সম্পদ ও কৌশলগত অবস্থানের দিক থেকে রাখাইন এতোটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শক্তির লোভনীয় দৃষ্টি এর দিকে।

এ অঞ্চলের সমুদ্রসীমাকে বঙ্গোপসাগরের সবচেয়ে সমৃদ্ধ এলাকা বলা হয়। যেখানে রয়েছে ‘থানশ’ নামে বিশাল গ্যাসক্ষেত্র। বঙ্গোপসাগর-তীরবর্তী এ প্রদেশে যোগাযোগ ও জ্বালানি খাতে বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে চীনের। দৌড়ে পিছিয়ে নেই ভারতও।

বিশ্লেষকদের মতে, মিয়ানমারের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় রাখাইন প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য বেশি আগ্রহের।

তবে রাখাইন রাজ্য মিয়ানমার জান্তা সরকার থেকে আরাকান আর্মির দখলে চলে যাওয়ায় অঞ্চলটির দিকে বিশ্ব মোড়ালদের আলাদা দৃষ্টি পড়েছে। প্রতিবেশী হিসেবে চিন্তার ভাঁজও বেড়েছে।

বাংলাদেশের সীমান্তে রাখাইন অঞ্চলটি স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করলে জটিল সমীকরণের মুখোমুখি হতে হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

এ বিষয়ে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইশফাক ইলাহি চৌধুরী বলেন, ওরা (আরাকান আর্মি) একটি স্বায়ত্তশাসন পাবে অথবা স্বাধীনতা ঘোষণা দিতে হবে। সেটাও আবার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।

সাবেক কূটনৈতিক মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ বলেন, তারা এখনো স্বাধীনতা ঘোষণা করেনি। যখন পুরোপুরি স্বাধীনতা ঘোষণা করবে তখন প্রশ্নটা অন্যরকম দেখা যাবে।

বাংলাদেশের সক্রিয় অবস্থান জানান দিতে মিয়ানমার সরকারের বাইরে আরকান আর্মির সাথে যোগাযোগ বাড়ানোর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।

এবিষয়ে ইশফাক ইলাহি চৌধুরী বলেন, যদি চীন ও ভারত আরকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করে আমাদেরও তা বাড়ানো উচিত। তবে হয়তো যোগাযোগ হচ্ছে, আমি ঠিক জানিনা। কিন্তু এটা স্বাভাবিক যে আমার বর্ডারের ওপারে কী আছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করাটা আমার মনে হয় উচিত হবে।

মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ বলেন, সমন্বিতভাবে এটির সমাধান করাটা সম্ভব হয় কিনা? কোনভাবে মিয়ানমারের ভেতর একটি অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা আসে তবে এই সমস্যা কিছুটা সুরহা হতে পারে।

বিলিয়ন ডলারের প্রকল্পগুলোর জন্য এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতা চীন, ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যা পরোক্ষভাবে বাংলাদেশকে লাভবান করবে।

আরটিভি/এসএপি/এআর

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রাখাইন রাজ্যে অস্থিরতার কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে বাংলাদেশ
রাখাইনে জান্তাবাহিনীর বিমান হামলা, নিহত অন্তত ৪০
রাখাইনে ফের বিস্ফোরণ, কাঁপছে টেকনাফ সীমান্ত
আরাকান আর্মির দখলে মংডু, জান্তা জেনারেলসহ আটক শতাধিক সেনা