সকালের নাশতা সারার পর যদি আপনার প্রিয়জন আপনাকে বলে, চলো আজ রাতের খাবার টয়লেটে খাবো। কী ভাববেন? মজা ভেবে হয়তো হেসে দিবেন, কিন্তু খেতে গিয়ে দেখলেন একি অদ্ভুত কান্ড। যেখানে খাবার প্লেটে নয়, রাখা হয়েছে ছোট্ট টয়লেটের মতো পাত্রে। চেয়ারের বদলে সবাই বসেছেন সিরামিকের হাই কমোডে। খাবার মেনু হাতে নিয়ে দেখলেন , খাবারের নাম ‘কালো পটি, পটির গন্ধ’ সহ হরেক রকম নাম। দেখতে যেমনি হোক, স্বাদে নাকি অতুলনীয়। অদ্ভুত শোনালেও লস অ্যাঞ্জেলেসে রয়েছে ম্যাজিক রেস্টরুম ক্যাফে নামে এমনই এক রেস্তোরাঁ, যেখানে টয়লেট-আকৃতির চেয়ারে বসে খাওয়া হয় টয়লেট-আকৃতির প্লেটে! এমনকি যারা রেস্ট করছেন তারাও বসে আছে টয়লেটের মতো হাই কমেডে।
এই ব্যতিক্রমী রেস্তোরাঁর ধারণাটি এসেছে তাইওয়ান থেকে। সেখানে ‘মডার্ন টয়লেট’ নামে এমন একটি রেস্তোরাঁ বেশ জনপ্রিয়। সেখান থেকেই এই অদ্ভুত ধারণা আমেরিকায় আসে। তবে পরিবেশনার জন্যই এই রেস্তোরাঁ এত আলোচিত। প্রথম থেকেই কৌতূহল, মজার অনুভূতি আর চমক দিয়ে ভরা এই রেস্তোরাঁ, যেখানে একবার গেলেই মনে হবে—“এটা তো আসলেই একটা অন্যরকম অভিজ্ঞতা! রেস্তোরাঁর ওয়েটার ড্যানিয়েল চ্যান জানান,
আমাদের খাবার আসলে সাধারণ তাইওয়ানিজ খাবার—বিফ স্ট্যু নুডলস, ফ্রাইড রাইস ও আরও নানা পদ।
এই রেস্তোরাঁর মেন্যুতে রয়েছে মজার নাম—‘কালো পটি’ ‘পটির গন্ধ’ আর ‘রক্তমাখা দুই নম্বর’। শুনে অদ্ভুত ‘কালো পটি’ হল চকোলেট আইসক্রিম, চকোলেট সিরাপ আর চকোলেট ফ্লেক্স দিয়ে তৈরি একটি ডেজার্ট। আর ‘পটির গন্ধ’ হল ব্রেইজড পোর্কের একটি ডিশ। এটি ধীরে রান্না করা শুকরের মাংস, যা সাধারণত নুডলস বা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। আর ‘রক্তমাখা দুই নম্বর’ হল সাদা ভ্যানিলা আইসক্রিমের ওপর স্ট্রবেরি সিরাপ দিয়ে এমনভাবে সাজানো হয়, যা রক্তের মতো দেখায়। এই নামগুলো শুধু থিমের কারণেই দেওয়া হয়নি, খাবারের পরিবেশনেও এমন কিছু বৈচিত্র্য রাখা হয়েছে যা পুরো অভিজ্ঞতাকে হাস্যরসাত্মক ও মজার করে তোলে।
নাম এমন হলেও খাবারের স্বাদ যেমন দুর্দান্ত, তেমনই পরিবেশনার এই অভিনবত্ব রেস্তোরাঁটিকে নিয়ে গেছে আলোচনার শীর্ষে। তবে সমালোচকও রয়েছে, অনেকেই বলছেন, খাওয়ার সময় এমন থিম মোটেই ভালো নয়। তবে বিতর্ক যা-ই থাক, এই রেস্তোরাঁ প্রমাণ করেছে, নতুনত্ব সবসময় মানুষের আগ্রহ তৈরি করে। খাবারের স্বাদ ভালো হলে পরিবেশনার ভিন্নতা মানুষ সহজেই মেনে নেয়।