প্রথম লেগে ২-০ ব্যবধানে জিতে ঘরের মাঠে নির্ভর ছিল লিভারপুল। তবে ইন্টার মিলানের লাউতারো মার্টিনেজ অসাধারণ এক গোল করে দুই দলের চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর ম্যাচ জমিয়ে তোলেন। শেষ পর্যন্ত অ্যানফিল্ডে মাত্র ১-০ ব্যবধানে জিতলেও শেষ আটে জায়গা করে নিতে পারেনি ইন্টার।
ঘরের মাঠে হেরেও তাই দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে লিভারপুল।
অ্যানফিল্ডে ম্যাচের শুরুতে দুই দলই ছন্নছাড়া ফুটবল খেলছিল। যদিও স্বাগতিক লিভারপুল বল দখলে রাখার কাজ করছিল। সুযোগমতো আক্রমণে উঠছিল দলটি। তবে ভাগ্য লিভারপুলের পক্ষে ছিল না। ম্যাচের ৩০তম মিনিটের মাথায় জোয়েল মাতিপের হেড ক্রসবারে লেগে ফিরে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবারও গোলপোস্ট বাধা হয়ে দাঁড়ায় লিভারপুলের এগিয়ে যাওয়ার পথে। অলরেডদের স্ট্রাইকার মোহামেদ সালাহ ইন্টার গোলরক্ষকের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ানে পরাস্ত করলেও বল পোস্টে লেগে ফিরে যায়।
ম্যাচের ৬১তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক শটে জাল খুঁজে নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন মার্টিনেজ। তবে এর দুই মিনিট পরে ইন্টারের আরেক স্ট্রাইকার দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ব্যাকফুটে চলে যায় অতিথিরা।
ম্যাচের বাকি সময় দশজন নিয়ে খেলা ইন্টারের ওপর আক্রমণের চাপ বাড়ায় ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। তবে ম্যাচে সমতায় ফেরার পথে লিভারপুলদের আবারও বাধা হয়ে দাঁড়ায় গোলপোস্ট। ৭৭তম মিনিটে সালাহর আরেকটি শট পোস্টে ফিরে যায়। হারলেও অবশ্য শেষ পর্যন্ত কোয়ার্টারে ওঠার আনন্দ নিয়েই মাঠ ছাড়ে লিভারপুল।
সর্বশেষ তিনবার চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলতে এসেই নক আউট স্টেজে বাদ পড়লো ইন্টার। ২০১০-১১ মৌসুমে কোয়ার্টারে খেললেও ২০১১-১২ এবং এই আসরে শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিল দলটি।