মুম্বাইয়ের ব্রাবোর্নে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে সহজ জয় পেয়েছে মুস্তাফিজুর রহমানের দিল্লি ক্যাপিটালস। ম্যাচে উইকেট না পেলেও দারুণ বোলিং করেছেন এই টাইগার পেসার। উইকেট শিকারের দারুণ সুযোগও সৃষ্টি করেছিলেন।
ব্রাবোর্নে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে মুস্তাফিজের দিল্লি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২১৫ রান করে। জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭১ রানে অলআউট হয়ে গেছে কলকাতা। মুস্তাফিজরা ৪৪ রানের জয় দেখেছে।
আগে ব্যাট করে দিল্লির দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও পৃথ্বি শ উড়ন্ত সূচনা এনে দেয় দলকে। ৮ ওভারে তুলে পেলে ৯৪ রান। পৃথ্বি ফিফটি ছুঁয়ে ২৯ বলে ৭ চার ও ২ ছয়ে ৫১ রান করে ফিরলে ভাঙে জুটিটি।
পৃথ্বি ফিরলেও ওয়ার্নার ও ঋষভ পান্ত আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকে। পান্ত ১৪ বলে ২টি করে চার ও ছয়ে করেন ২৭ রান। ওয়ার্নার ৪৫ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে করেন ৬১ রান।
শেষ দিকে আক্সার প্যাটেল ও শার্দুল ঠাকুরের ঝড়ে এবারের আসরের সর্বোচ্চ সংগ্রহ পায় দিল্লি। আক্সার ১৪ বলে ২২ এবং শার্দুল ১১ বলে ৩ ছয়ে করেন ২৯ রান। কলকাতার পক্ষে সুনিল নারিন ২১ রানে নেন ২ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মুস্তাফিজের প্রথম ওভারে কলকাতার রাহানে তিনবার আউট হতে হতেও বেঁচে যান। প্রথম দুই বলে আম্পায়ার আউট দিলেও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান রাহানে। তৃতীয় বলে ব্যাটে লেগে পান্ত ক্যাচ ধরলেও এবার আর কেউ আবেদনই করেনি। মুস্তাফিজ প্রথম স্পেলে ২ ওভারে মাত্র ৫ রান দেন।
পরবর্তীতে কলকাতার অধিনায়ক শ্রেয়াস ও নিতিশ রানা ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেন। শ্রেয়াস ৫৪ ও নিতিশ করেন ৩০ রান। তবে খলিল আহমেদ ও কুলদীপ যাদবের অসাধারণ বোলিংয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় কলকাতা।
এই দুই বোলার নিজেদের মধ্যে ৭ উইকেট ভাগাভাগি করে নেন। খলিল ২৫ রানে ৩টি এবং কুলদীপ ৩৫ রানে নেন ৪ উইকেট। এ ছাড়া শার্দুল শেষ ওভারে এসে ২টি উইকেট নেন। মুস্তাফিজ দিল্লির বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে ইকোনোমিকাল ছিলেন। ৪ ওভারে উইকেট না পেলেও দেন মাত্র ২১ রান।