প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ব্রায়ান চার্লস লারার। ১৯৯৪ সালে ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে ডারহামের বিপক্ষে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে এই রেকর্ড গড়েছিলেন ক্রিকেটের বরপুত্র।
এর বছর দশেক পরে আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম এবং একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে চারশ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন এই ক্রিকেট কিংবদন্তি। প্রথম শ্রেণি এবং টেস্ট মিলিয়ে লারা-ই ছিলেন চারশ রানের মাইলফলক ছোঁয়া ব্যাটসম্যান।
এরপর কেটে গেছিল ১৮ বছর। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছিল না নতুন কোনো ৪০০ রানের মালিককে। অবশেষে সেই আক্ষেপ ফুরালেন ইংলিশ ক্রিকেটার স্যাম নর্থইস্ট। লারার টেস্টে চারশ রানের মাইলফলক ছোঁয়া ম্যাচের সময় ১০ বছরের ছিলেন নর্থইস্ট। সেই নর্থইস্ট ২৮ বছর বয়সে এসে গ্ল্যামারগনের হয়ে লেস্টারশায়ারের হয়ে অপরাজিত ৪১০ রানের ইনিংস খেললেন।
এই ইংলিশ ক্রিকেটারের সামনে অবশ্য প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে লারার সেই ঐতিহাসিক পাঁচশো রানের মাইলফলক স্পর্শ কিংবা ভেঙে ফেলার সুযোগ ছিল। কিন্তু লারার ২৮ বছর আগের গড়া রেকর্ড ভাঙার চেষ্টাই করেননি নর্থইস্ট।
কিন্তু কেন? নর্থইস্ট জানিয়েছেন, লারার রেকর্ড নয় বরং ম্যাচ জয়ের লক্ষ্য ছিল এই ক্রিকেটারের। সে জন্য সুযোগ থাকা সত্ত্বেও লারার রেকর্ড ভাঙার চেষ্টা চালাননি তিনি। নর্থইস্টের চাওয়া অবশ্য পূরণ হয়েছে। ম্যাচটি ঠিকই জিতে নিয়েছে তার দল গ্ল্যামারগন।
ইংলিশ ক্রিকেটার নর্থইস্ট বলেন, ‘আমাদের কোচ ম্যাট মায়নার্ড আমার কাছে এসেছিল এবং বলেছিল যদি তুমি রেকর্ড ভাঙতে চাও, তবে সেটার জন্য চালিয়ে যেতে পারো।
ওইখান থেকে আমাদের জয়ের সুযোগ ছিল কিন্তু আমি এটাও বুঝতে পারছিলাম আর কখনোই হয়ত রেকর্ড ভাঙার আর সুযোগ পাব না।
তবে আমরা দল হিসেবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, আমি এর (রেকর্ড) পেছনে ছুটবো না।
যদিও আমার সতীর্থ এবং দলের প্রায় প্রতিটি সদস্য চাইছিলো আমি লারার রেকর্ডের পেছনে ছুটি। কিন্তু আমি কখনোই এমন ভাবিনি যে, রেকর্ড গড়ার জন্য আমরা ডিক্লেয়ার ঘোষণা করবো না।’
ম্যাচটিতে নর্থইস্ট ৬০৩ মিনিট মাঠে থেকে ৪৫টি চার এবং ৩ ছয়ে ৪১০ রান করে অপরাজিত ছিলেন। তার এই ইনিংসে গ্ল্যামারগনও রেকর্ড ৫ উইকেটে ৭৯৫ রানের স্কোর দাঁড় করায়।