জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর অস্বস্তিতে ছিল বাংলাদেশ দল। লক্ষ্য ছিল ওয়ানডে সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর। কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানো তো দূরে থাকুক, প্রথম ম্যাচে ৩০৩ রানের লক্ষ্য দিয়েও ৫ উইকেটে হেরে যায় তামিম ইকবালরা।
দ্বিতীয় ম্যাচে ২৯১ রান তুলেও হারতে হয়। সঙ্গে সিরিজ হেরে যায় জিম্বাবুয়ের কাছে দীর্ঘ ৯ বছর পর। টানা হারে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ দলের সামনে হোয়াইটওয়াশের লজ্জাও অপেক্ষা করছিল। শেষ ম্যাচে মাত্র ২৫৬ রান সংগ্রহ করার পর জয়ের চিন্তা মাথায়ও আসার কথা না। দলের অধিনায়ক তামিম ইকবালও জয় পাওয়ার কথা মাথায়ও আনেননি।
ম্যাচ শেষে তামিম বলেছেন, ‘যখন আপনি তিনশ ও ২৯০ রান করেও হারবেন, তখন আড়াইশ রান মনে হবে দুইশ রানের মতো। আমি ধরে নিয়েছিলাম ৩৫ ওভারের মধ্যেই হেরে যাব।’
স্বল্প রানের লক্ষ্য দিয়ে তামিমের পরিকল্পনায় ছিল শুধুই আক্রমণ। এই পালে হাওয়া লাগান অভিষিক্ত এবাদত হোসেন। হাসান মাহমুদ, মেহেদী মিরাজরা শুরুতে উইকেট এনে দেয়ার পর এক ওভারেই এবাদতের দুই উইকেট। ৩৫ রানে ৫ উইকেট পাওয়ার পর বাকি কাজটা হয়ে যায় বলে মনে করছেন তামিম।
‘আমি ভেবেছি, শুধু আক্রমণ এবং আক্রমণই করব। তারপর কী হয় দেখা যাবে। সৌভাগ্যবশত আমরা দ্রুতই ৫টি উইকেট পেয়ে যাই, এরপর বাকি কাজটাও হয়ে যায়।’
অভিষেকেই নিজেকে চিনিয়েছেন এবাদত হোসেন। ওভারে হ্যাট্রিকের সুযোগ তৈরি করলেও পরের বল নো বল হওয়ায় মিস করেন সুযোগ। হ্যাট্রিক না করতে পারলেও বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরার মোমেন্টাম এনে দেন তিনিই। তামিম অবাক হয়েছেন, বেশ কয়েকটি সিরিজে দলের সঙ্গে রেখেও কেন খেলানো হয়নি তাকে!
‘আমরা তাকে অনেকদিন ধরেই দলের সঙ্গে রেখেছি। এই সিরিজে মুল দলে সে জায়গা না পাওয়ায় একটু অবাকই হয়েছি। এটা ছিল তার জন্য খুব ভালো সুযোগ এবং সৌভাগ্যবশত সে প্রত্যাশা পূরণ করেছে।’