চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪০৪ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল ভারতীয় দল। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ভারতীয় বোলারদের কাছে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে মাত্র ১০২ রান তুলতেই ৮ উইকেট হারিয়ে বসে টাইগাররা। কিন্তু আর বিপদ না হতে দিয়ে টাইগাররা দ্বিতীয় দিনের শেষ করে ১৩৩ রানে।
ফলোঅন এড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে টাইগারদের দুই টেল-এন্ডার। কিন্তু দলীয় সংগ্রহে মাত্র ১২ রান যোগ হতেই ফিরে যান এবাদত। ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কা এড়াতে হলে বাংলাদেশকে এখনও করতে হবে ৬১ রান, হাতে আছে এক উইকেট।
এর আগে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৬ উইকেটে ২৭৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে ভারত। আগের দিনে ৮২ রানে অপরাজিত থাকা শ্রেয়াস আইয়ার শতকের দিকে এগিয়ে গেলেও আর মাত্র চার রান করতে পারেন তিনি। ডানহাতি এই ব্যাটারকে ম্যাচে নিজের প্রথম শিকারে পরিণত করেন পেসার এবাদত হোসেন।
এরপর টেল-এন্ডারের রবিচন্দন অশ্বিন ও কুলদ্বীপ যাদব ৯২ রানের জুটি গড়ে দলের রান চার শ’র কাছাকাছি নিয়ে যান। দলীয় ৩৮৫ রানে পঞ্চাশোর্ধ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরের পথ ধরেন অশ্বিন। এরপর কুলদ্বীপের ৪০ রানের সঙ্গে উমেশ যাদবের অপরাজিত ১৫ রানে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৪০৪ রান করে লোকেশ রাহুলের দল।
বাংলাদেশের পক্ষে বোলিংয়ে স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও মেহেদি হাসান মিরাজ ৪টি করে উইকেট নেন। এ ছাড়া একটি করে শিকার করেন পেসার খালেদ আহমেদ ও এবাদত হোসেন।
নিজেদের প্রথম ইনিংসের শুরুতেই নাজমুল হোসেন শান্ত ও ইয়াসির আলী রাব্বির উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শান্তর গোল্ডেন ডাকের পর রাব্বি ফেরেন মাত্র ৪ রান করে। এরপর অভিষিক্ত ওপেনার জাকির হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের আভাস দেন লিটন দাস। তবে ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ সিরাজের জোড়া শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই দুই ব্যাটার। লিটনের ২৪ রানের পর অভিষেক রাঙানোর ইঙ্গিত দিয়েও রানে আউট হয়ে যান জাকির।
এদিন টপ অর্ডারের ব্যর্থতার মধ্যে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও ব্যাট হাতে হতাশ করেন। দলীয় ৭৫ রানে কুলদীপ যাদবের বলে ব্যক্তিগত ৩ রান করে ফেরেন এই অলরাউন্ডার। এরপর মুশফিক (২৮), নুরুল হাসান (১৬) ও তাইজুল ইসলামের (০) উইকেটও তুলে নেন এই চায়নাম্যান স্পিনার।
ফলে ১০২ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফলো অনে পড়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে যায় টাইগাররা। তবে দ্বিতীয় দিনে মেহেদী মিরাজ এবং এবাদত হোসেন ক্রিজে টিকে থেকে ১৩৩ রানে দিন পার করেছেন।
বোলিংয়ে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নিয়েছেন স্পিনার কুলদীপ যাদব। এ ছাড়া ৩ উইকেট শিকার করেছেন মোহাম্মদ সিরাজ।