মঈন খানের ঘরে জন্ম নেওয়া আমার ভুল নয় : আজম খান
‘আলু, লাড্ডু, হাতি’ এই শব্দগুলো কখনো কাউকে অনুপ্রেরণা জোগাতে পারে না। কিন্তু চেনা-অচেনাদের এমন শব্দগুলোকেই আজম খান বেছে নিয়েছেন নিজের অনুপ্রেরণা খুঁজে পেতে। যার কারণে নিজের থাকার ঘরে এই শব্দগুলোকে লিখে দেয়ালে সেটে দিয়েছেন পাকিস্তানের তরুণ ক্রিকেটার আজম।
সন্তানের এমন কাজে বেশ অবাক হয়েছেন বাবা কিংবদন্তিতুল্য মঈন খান। তাইতো সন্তানের কাছে জানতে চাইলেন, ‘তুমি কী পাগল হয়ে গেছ, এসব কেন করছ তোমার সঙ্গে?’ ক্রিকেট মান্থলিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এর উত্তরে আজম জানিয়েছিলেন, ‘এটাই আমাকে অনুপ্রেরণা জোগায়।’
মূলত, শারীরিকভাবে বিশালাকার হওয়ায় পাকিস্তানের ক্রিকেটার আজম খানকে এই শব্দগুলো শুনতে হরহামেশাই। আনফিট বলে সুযোগও সেভাবে ধরা পড়ে না আজমের সামনে। আধুনিক ক্রিকেটে ফিট ক্রিকেটারদের মূল্য থাকে বেশি, সুযোগও বেশি পেয়ে থাকেন তারা। আজম প্রথম সুযোগ পান বাবার সৌজন্যে।
২০১৯ সালে মঈন খান যখন পিএসএলে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের কোচ ছিলেন, তখন নিজের ২০ বছরের সন্তানকে সুযোগ দিয়েছিলেন তিনি। সে আসরে অবশ্য নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি এই ক্রিকেটার। একটি ম্যাচ খেলেছিলেন। যেখানে ১৫ বল খেলে করেছিলেন ১২ রান। এমন পারফরম্যান্সের জন্য আনফিট হওয়ার পাশাপাশি নতুন আরেকটি খোঁচাও হজম করতে হয়েছিল আজমকে।
সবাই বলাবলি করতে লাগলো, মঈন খানের সন্তান হয়েছে বলেই সুযোগ মিলেছে আজমের। বডি শেমিং এবং নেপোটিজম দুই দিক থেকে খোঁচা শুনে আজম বিরক্ত ছিলেন ভীষণরকম। তাই প্রচন্ড ক্ষোভ নিয়েই এই ক্রিকেটার বলেছিলেন,
‘আমার বাবা পাকিস্তানের পক্ষে ক্রিকেট খেলেছিল বলে সবাই আমাকে সে চোখেই বিচার করে থাকে। কিন্তু এটা তো আমার ভুল নয় যে, আমি মঈন খানের ঘরে জন্ম নিয়েছি। পিএসএলে সুযোগ পাওয়ার পর আমাকে এ নিয়ে এবং অতিরিক্ত ওজন নিয়ে কথা শুনতে হয়েছে। আমি নাকি এই পর্যায়ের ক্রিকেট খেলার জন্য উপযুক্ত নয়।’
অবশ্য নিজের ওজন নিয়ে ভাবেন না আজম। বরং এই ক্রিকেটারের ভরসা নিজের ক্রিকেটীয় সামর্থ্য। এই ক্রিকেটার বিশ্বাস করেন, ওজন বেশি হওয়া সত্ত্বেও যদি পারফরম্যান্স করা যায় তবে পারফর্মকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
আজমের ভাষ্যে, ‘এখানে অতিরিক্ত ওজন নিয়ে কথা বলাটা বেমানান বরং পারফরম্যান্সটাই আসল। যদি কোনো ক্রিকেটার সুপার-ফিট হয় এবং ৪০০ রান করতে সক্ষম হয়; অন্যদিকে কেউ সুপার ফিট নয় তবে যদি ৮০০ রান করতে পারে, আমি অবশ্যই তাকে আমার দলে রাখতাম যে কিনা আমাকে ৮০০ রান দিতে পারবে। এটাই আমার দৃষ্টিভঙ্গি।’
মন্তব্য করুন