বিশ্বকাপ জিতে পরিবারকে কষ্ট থেকে বাঁচিয়েছেন মেসি
২০০৬ সালে জার্মানির বিশ্বকাপে প্রথম আর্জেন্টিনার জার্সিতে অভিষেক ঘটে টিনেজ লিওনেল মেসির। এরপর সময়ের সঙ্গে মেসি হয়েছেন বিশ্বতারকা। ব্যক্তিগত অর্জনে হয়েছেন ভাস্বর। ক্লাব ফুটবলেও সম্ভব সব জিতে নিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন এই জাদুকর।
কিন্তু লে আলবিসেলেস্তেদের জার্সিতে একের পর এক হতাশার গল্পে বিমর্ষিত হয়েছেন। দুঃখ-কষ্ট-অভিমান নিজে পেয়েছেন, পরিবারকেও ভুগিয়েছেন মেসি। এক পর্যায়ে তো জাতীয় দল থেকে অবসরের গল্পও লিখে ফেলেছিলেন ফুটবলের এই মহাজাদুকর। কিন্তু ফুটবল বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ তারকার চিত্রনাট্য দুঃখে শেষ হলে তো ভালো দেখায় না।
তাই বোধ হয় মেসি জাতীয় দলের জার্সিতে আবার ফিরেছেন। আর্জেন্টিনাকে দুই বছরের ব্যবধানে জিতিয়েছেন কোপা আমেরিকা, ফাইনালিসিমা এবং অতি আকাঙ্ক্ষিত বিশ্বকাপের শিরোপা। আর্জেন্টাইনদের দীর্ঘ শিরোপাখরার আক্ষেপও থেমেছে তাতে। কেবল দলকে শিরোপা জেতানো নয়, বিশ্বকাপটাই নিজের করে নিয়ে পরিবারকেও কষ্ট থেকে বাঁচিয়েছেন মেসি।
বিশ্বকাপের শিরোপা জেতার পর রেডিও আরবান প্লেতে দেওয়া প্রথম পূর্ণাঙ্গ সাক্ষাৎকারে মেসি বলেছে, ‘আমি আমার পরিবারকে বলেছি অবশেষে অনেক কষ্ট, অনেক সময়ের পর সবকিছু শেষ হয়েছে। এমন একটা সময় ছিল যখন জাতীয় দলে আমার সময়টা ভালো কাটেনি। হতাশার অনেক মুহূর্ত এসেছে, কাছে গিয়েও অনেক কিছু হয়নি। আমি অনেক দিক থেকে লম্বা সময় ধরে সমালোচনা শুনে এসেছি। আমি জানি, আমার পরিবারও কমবেশি তা শুনেছে।
তারা সবসময় আমাকে দেখাতে চেয়েছে তারা ভালো আছে। তারা মানসিকভাবে শক্ত আছে। তবে ভেতরে ভেতরেও তারা অনেক কষ্ট পাচ্ছিল। কারণটা শুধু আমি পারিনি বলেই নয়, আমাকে এমনকি ফুটবলের বাইরেও যেসব অপ্রিয় কথা শুনতে হয়েছে সেসবের জন্যও। এই ব্যাপারটা আমাকে অনেক বেশি আহত করেছিল। এরপর তো আমরা বৃত্তটা পূরণ করেছি। আমরা বিশ্বকাপ জিতেছি, কোপা আমেরিকা জিতেছি। এরপর আর কিছু বলার নেই।’
মন্তব্য করুন