এমবাপ্পের পুতুল নিয়ে উদযাপন বিতর্কে মুখ খুললেন মার্টিনেজ
দীর্ঘ ৩৬ বছরের আক্ষেপ কাটিয়ে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের মঞ্চে বিশ্বসেরার শিরোপা জিতে নিয়েছিল আর্জেন্টিনা। ফুটবল বিশ্বকাপ ইতিহাসের সেরা ফাইনাল উপহার দিয়ে ফ্রান্সকে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছিল লে আলবেসেলেস্তেরা। ম্যাচটিতে কিলিয়ান এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে আর্জেন্টিনার সঙ্গে ১২০ মিনিট পর্যন্ত ৩-৩ সমতা রেখেছিল ফ্রান্স। পরবর্তীতে টাইব্রেকারে গিয়ে আর্জেন্টিনা ৪-৩ গোল ব্যবধানে হারায় ফ্রান্সকে।
শিরোপা জিতে বাঁধভাঙা উদযাপন করেছিল আর্জেন্টাইনরা। যে উদযাপনে নেতৃত্ব দিয়েছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। লকার রুমে ফরাসি তারকা এমবাপ্পেকে নিয়ে উপহাসের অংশ হিসেবে এক মিনিটের নীরবতা পালন করেছিলেন মার্টিনেজ এবং বাকি আলবিসেলেস্তেরা।
কেবল ফাইনালের দিন নয়, নিজ দেশে গিয়েও শিরোপা উদযাপন করতে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন মার্টিনেজ। উদযাপনের এক পর্যায়ে এমবাপ্পের মুখের একটি পুতুল হাতে উল্লাস করতে দেখা যায় এই আর্জেন্টাইন গোলরক্ষককে। এমবাপ্পেকে অপমান করেছে মার্টিনেজ, এমন শিরোনামে পরবর্তীতে সংবাদও প্রচার হয় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে।
তবে এমবাপ্পেকে নিয়ে মার্টিনেজকে ঘিরে ওঠা যত বিতর্ক উঠেছিল, সব বিতর্কের অবসান ঘটালেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক। ফ্রান্স ফুটবলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্টিনেজ জানিয়েছেন, এমবাপ্পে সেরা খেলোয়াড় বলেই হয়ত লকার রুমে উপহাস করে উদযাপন করেছেন তারা। কিন্তু নিজ দেশে এমবাপ্পের পুতুল বিতর্কে মার্টিনেজ জানিয়েছেন, কোনোভাবেই এমবাপ্পেকে অপমান করেননি তিনি।
ফ্রান্স ফুটবলকে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারে এমবাপ্পেকে নিয়ে ওঠা বিতর্ক নিয়ে অ্যাস্টন ভিলায় খেলা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন মার্টিনেজ বলেন,
‘মানুষ আমাদের দিকে একের পর এক পুতুল ছুঁড়ে মারছিল। তখন এমবাপ্পের মুখের একটা পুতুল এসে পড়ে। আমার ওইটা দেখে হাসি পেয়ে যায়। দুই সেকেন্ড ধরেই আমি পুতুলটা আবার ছুঁড়ে মারি। এটাই। এখানে অপমানের কিছুই নেই। আমার বিপক্ষে যে চার গোল করেছে তাকে আমি অপমান করি কীভাবে?
এটা (এমবাপ্পের জন্য ১ মিনিটের নীরবতা) লকার রুমের ঘটনা। এটি বাহিরে আসা উচিত ছিল না। ২০১৮ সালে ফ্রান্স যখন আমাদের হারিয়েছিল, সেই মুহূর্তে তারা মেসিকে নিয়ে উপহাসে মেতেছিল (যেখানে এনগোলো কন্তেও ছিল)। একই ঘটনা ঘটবে, যখন কোনো দল ব্রাজিলকে হারাবে, তখন তারা নেইমারকে নিয়ে গাইতে থাকবে।
এমবাপ্পের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা নেই। আমি তাকে প্রচণ্ড সম্মান করি। যদি কেউ তাকে বা নেইমারকে নিয়ে উপহাস করে গাইতে থাকে, তবে সেটি কেবল তারা শীর্ষ ফুটবলার বলেই।’
মন্তব্য করুন