অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির অপরাজিত ৭৫ রানের ইনিংসে ভর করে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কা নারী দলকে ৬ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ নারী দল। প্রায় ৯ বছর পর টাইগ্রেসরা লঙ্কানদের হারালেও সেই জয় ছাপিয়ে আলোচনায় লঙ্কান এক ধারাভাষ্যকার। নারী দলের নাহিদা আক্তারকে নিয়ে বেফাঁস এক মন্তব্য করে আলোচনায় এসেছেন ধারাভাষ্যকার রোশন আবেসিংহে।
কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ম্যাচ চলাকালীন নাহিদাকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেন তিনি। এরপর থেকেই তার (ধারাভাষ্যকার) বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন টাইগ্রেস সমর্থকরা। এমনকি তাকে ধারাভাষ্য থেকে নিষেধাজ্ঞার দাবিও উঠেছে।
টাইগ্রেস ও লঙ্কানদের মধ্যকার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে লঙ্কানদের ইনিংসের ১৩তম ওভারে নাহিদা বল করছিলেন নাহিদা। সে সময় তার ওভারের তৃতীয় বলে ‘নো’ ডাকেন আম্পায়ার।
ওই সময় ধারাভাষ্যকার রোশন বলেন, এই নো বল ক্ষমার অযোগ্য। তার দুটো কারণ আছে। এক, স্পিনার নো বল করেছে। দুই, একজন নারী নো বল করেছে। নারীদের পা বেশি দূরে যায় না। তাই তাদের নো বল করা উচিত নয়।
এরপর দেখা যায়, নাহিদার পা ক্রিজের ভিতরেই ছিল। কিন্তু বল করার সময় তার হাত লেগে উইকেট ভেঙে গিয়েছিল, তাই আম্পায়ার নো-বল ডেকেছিলেন।
এরপরই অবশ্য রোশন আবেসিংহে বলেন, আমি তো সেই কথাই বলছিলাম। একজন নারীর পা বেশি দূরে যায় না।
তবে তার এই মন্তব্য ভালোভাবে নেননি ক্রিকেট সমর্থকরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এমনকি তাকে নিষিদ্ধ করার দাবিও উঠে। এরপরই অবশ্য ক্ষমা চেয়েছেন এই ধারাভাষ্যকার।
তার ভাষ্য, আমি কাউকে হেনস্থা বা আঘাত করার জন্য এই কথা বলিনি। ক্রিকেটীয় কথা বলেছিলাম; কিন্তু এরপরও যদি কারও খারাপ লাগে তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।