গত দুই দিনের সব জল্পনা কল্পনার অবসান হয়েছে। অবসর ভেঙে আবারও জাতীয় দলের হয়ে মাঠে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে গণভবনে সাক্ষাতের পর অবসর ভেঙে লাল সবুজের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার কথা নিজেই জানান দেশসেরা এই ওপেনার।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রামের এক হোটেলে অশ্রুসিক্ত হয়ে অবসরের ঘোষণা দেন তামিম। তার আকস্মিক অবসরের ঘোষণায় দেশের ক্রীড়াঙ্গনে শোকের ছায়া ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে একদিনের ব্যবধানেই অবসর ভেঙে ফেরার কথা জানান তামিম। টাইগার বাঁহাতি এই ব্যাটারের প্রত্যাবর্তনের খবর গণমাধ্যমে আসার সাথে সাথেই সারাদেশে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়।
তামিমের এমন প্রত্যাবর্তনের খবরে নিজের শহর চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে বাড়তি উন্মাদনা। তামিমের পরিবারের পক্ষ থেকে ভক্তদের মাঝে মিষ্টি, কোক এবং পেপসি বিতরণ করেন। এর আগে দুপুর থেকেই তার বাসার সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেন ভক্তরা।
টাইগার ভক্তদের দাবি ছিল, ক্রিকেট এবং দেশের স্বার্থেই আরও একবার লাল সবুজের জার্সিতে ফিরে আসুক তামিম ইকবাল। অধিনায়কের পদ ছেড়ে দিলেও তাকে বাংলাদেশের জার্সিতে দেখতে চান এসব ভক্ত। শেষ পর্যন্ত তাদের সেই অনুরোধই যেন রাখলেন তামিম।
গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি অবসর ভেঙে ফিরে আসার কথা জানান। জাতীয় দলে ফেরার কথা জানালেও চলমান আফগানিস্তান সিরিজে থাকছেন না টাইগার কাপ্তান। আপাতত দেড় মাসের বিশ্রামে থাকবেন তিনি। এশিয়া কাপ দিয়ে অধিনায়ক হয়েই ফিরবেন এই তারকা।
গণভবন থেকে বেরিয়ে তামিম বলেন, ‘আজ দুপুরে আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার বাসায় দাওয়াত করেছিলেন। উনার সঙ্গে অনেকক্ষণ আমরা আলোচনা করেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন খেলায় ফিরে আসতে। আমি আমার রিটায়ারমেন্ট এই মুহূর্তে তুলে নিচ্ছি।’
অবসর ভেঙে ফেরার বিষয়ে তামিম আরও বলেন, ‘আমি সবাইকে না বলতে পারি, কিন্তু দেশের সবচেয়ে বড় ব্যক্তিকে (প্রধানমন্ত্রী) না বলা আমার পক্ষে অসম্ভব। তাতে অবশ্যই পাপন ভাই ও মাশরাফি ভাইয়ের বড় ভূমিকা ছিল। মাশরাফি ভাই আমাকে ডেকে নিয়েছেন। পাপন ভাই সঙ্গে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দেড় মাসের জন্য একটা ছুটিও দিয়েছেন।’
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুপুরে তামিম তার নিজ শহর চট্টগ্রামের হোটেল টাওয়ার ইনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে অশ্রুসিক্ত হয়ে অবসরের ঘোষণা দেন। এসময় তিনি জানান, বিগত কয়েকদিন ধরে পরিবারের সাথে আলোচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এ সময় নিজের আবেগকেও ধরে রাখতে পারেননি তিনি।