শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেটের কথা উঠলে সবার আগে যেই নামটি উচ্চারিত হয় সেই নামটি হলো গামিনি ডি সিলভা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে ১৭ কাটিয়ে দেয়া ১৭টি বছরের বেশিরভাগ সময়ই আলোচনার চেয়ে সমালোচনাই হয়েছে তাকে নিয়ে বেশি। কিন্তু সকল সমালোচনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দুই বছর পরপরই গামিনির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করে বোর্ড।
অভিযোগ রয়েছে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বাজে উইকেট তারই কীর্তি। এই উইকেট প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের অস্বস্তির কারণ তো বটেই, দেশের ক্রিকেটারদের জন্যও যেন এটি আতঙ্কের আরেক নাম। বলা হয়ে থাকে গামিনির কল্যাণেই ঘরের মাঠের উইকেট ঘরের ছেলেরা কখনোই বুঝে উঠতে পারে না।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে শের-ই-বাংলার উইকেটের অভাবনীয় পরিবর্তন এনেছেন গামিনি। স্লো ও লো উইকেটকে বদলে দিয়েছেন ফাস্ট উইকেটে। এটি সত্যিই প্রশংসাযোগ্য।
কিছুদিন আগেই গামিনির সঙ্গে ২০২৫ সাল পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করেছে বোর্ড। কিন্তু এরপরও চাকরি হারানোর শঙ্কায় পড়তে যাচ্ছেন লঙ্কান এই কিউরেটর। হয়তো পড়তে যাচ্ছেন, হয়তো সেই সম্ভাবনাই নেই।
কিন্তু বিষয়টিকে উড়িয়ে দেয়া যায় না বিসিবির এক পদক্ষেপের কারণে।
আইসিসির সাবেক কিউরেটর টনি হেমিংকে দুই বছরের চুক্তিতে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। শুধু তার নিয়োগের কথাটা জানানো হয়েছে বোর্ডের পক্ষ থেকে। কোন মাঠে কি পদে তাকে দায়িত্ব দেয়া হবে সেই বিষয়ে খোলাসা করেনি বোর্ড।
দুই বছরের চুক্তি নবায়ন করার পর স্বাভাবিক দৃষ্টিতে গামিনির চাকরি হারানোর বিষয়টিকে অবাস্তব ভাবনা হিসেবেই ধরে নেয়া যেতে পারে। কিন্তু শঙ্কার জায়গাটা হলো রাসেল ডমিঙ্গোর ভাগ্যের সঙ্গে কিছুটা মিল খুঁজে পাওয়া।
রাসেল ডমিঙ্গোর সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছিল বিসিবি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়। কিন্তু তার কয়েক মাস পর হুট করেই কোনো এক অজানা কারণে চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন প্রোটিয়া এই কোচ। ক্রিকেটপাড়ায় গুঞ্জন রয়েছে বোর্ডের চাপে তিনি বাধ্য হয়েছিলেন এই সিদ্ধান্ত নিতে। যদিও এই দাবির কোনো যথার্থ ভিত্তি এখনও পাওয়া যায়নি।
ডমিঙ্গোর ভাগ্যের থেকে শিক্ষা নিয়ে কিছুটা শঙ্কায় থাকতেই পারেন গামিনি। থাকাটাই স্বাভাবিক। যদিও বোর্ড থেকে আসেনি কোন নির্দেশনা।
বিসিবির সঙ্গে নতুন সম্পর্ক স্থাপন করা হোমিংয়ের রয়েছে কিউরেটর হিসেবে বেশ সুনাম।
আইসিসি ক্রিকেট একাডেমি ও দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রধান কিউরেটরের দায়িত্বে ছিলেন হোমিং।
অস্ট্রেলিয়ার পার্থের ওয়াকা ক্রিকেট গ্রাউন্ডের সয়েল অ্যাডভাইজার এবং কনসালটেন্টের দায়িত্বও সামলাতে হয়েছিল তাকে। আইসিসি পিচ কনসালেটেন্ট হিসেবে ওমান ক্রিকেট একাডেমিতেও কাজ করেছেন এই কিউরেটর।