রিয়াদের কেন্দ্রীয় চুক্তি বাতিলের খবর ভিত্তিহীন
গত মার্চে ইংল্যান্ড সিরিজের পর থেকেই জাতীয় দলের বাইরে রয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মূলত বিশ্রামের কথা বলে একের পর এক সিরিজ থেকে রিয়াদকে বাদ দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। সর্বশেষ ঘোষিত এশিয়া কাপের জন্য ১৭ সদস্যের স্কোয়াডেও অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের জায়গা হয়নি।
জাতীয় দলের হয়ে মাঠে না নামলেও কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটাররা পুরো বছরই বোর্ডের কাছ থেকে মাসিক বেতন পান। কিন্তু সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হয় রিয়াদকে চুক্তি থেকেও বাদ দেওয়া হচ্ছে। অথচ দলে না নিলেও নিয়মানুসারে ডিসেম্বরের আগে চুক্তি থেকে তাকে বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই।
রোববার (২০ আগস্ট) বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এই বিষয়টি আবারও পরিষ্কার করলেন। সেই সঙ্গে তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, রিয়াদের কেন্দ্রীয় চুক্তি বাতিলের খবরটি একেবারে ভিত্তিহীন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন খবর (রিয়াদকে চুক্তি থেকে এখনই বাদ দেওয়া হচ্ছে)। অনেকেই আমাকে ফোন করে বলেছে রিয়াদের নাকি চুক্তি নাই? এসব একদমই ভিত্তিহীন। আমরা তাদের এক বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ করেছি। আমরা শুধু এটুকু বলেছিলাম ৬ মাস পর একটা রিভিউ করতে পারি। জুনে ৬ মাস শেষ, এখন আগস্ট। প্রয়োজনও মনে করিনি তাই এ রকম কোনো রিভিউ আমরা করিনি কারও। তারা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমাদের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার।’
এদিকে বিসিবির চলমান কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রিয়াদকে কেবল ওয়ানডে ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে। নিয়ম অনুসারে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটাররা বোর্ড থেকে বেতন পাবেন। কিন্তু বিসিবির তরফ থেকে ৬ মাস পর ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স মূল্যায়ণ করা হতে পারে বলে একটা বার্তাও দেওয়া হয়েছিল।
যার মানে দাঁড়ায় প্রথম ৬ মাসে কারও পারফরম্যান্স খারাপ হলে তাকে চুক্তি থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে। বেঁধে দেওয়া সেই ৬ মাসের সময়সীমা শেষ হয়েছে গত জুন মাসে। তবে বোর্ড পারফরম্যান্স মূল্যায়ণের যে ঈঙ্গিত দিয়েছিল তা আর বাস্তবায়ণ করেনি। অর্থাৎ বছরের শুরুতে চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটাররা বছরের শেষ পর্যন্ত বহাল আছেন।
মন্তব্য করুন