আনফিট তামিম না থাকলেও ফিটনেসহীন সাকিব থাকবেন বিশ্বকাপে!
শতভাগ ফিট না হওয়ায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়নি দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালের। দল ঘোষণার সময় টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে এমনটাই জানানো হয়েছিল। যদিও গুঞ্জন রয়েছে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের মধ্যে চলমান শীতল সম্পর্কের জের ধরেই স্কোয়াড থেকে কাটা পড়তে হয়েছে বাঁহাতি এই ব্যাটারকে।
তামিমকে দলে না নেওয়ার ফিটনেস ইস্যুর খোঁড়া যুক্তি বোর্ডকে দাঁড় করিয়েছিল কঠোর সমালোচনার কাঠগড়ায়। যদিও তামিম পরবর্তীতে ফেসবুকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছিলেন তার বিশ্বকাপের স্কোয়াডে না থাকার বিষয়ে বিধ্বংসী তথ্য।
যদিও সাকিবের একটি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অনেকটা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিল যে ফিট না থাকার কারণেই বাদ যেতে হয়েছে সাকিবকে। অধিনায়ক সাকিব, হেড কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহে ও বোর্ড কর্তাদের সিদ্ধান্তক্রমেই বাদ যেতে হয়েছিল বাঁহাতি এই ব্যাটারকে।
কিন্তু সাকিব হয়তো ভুলেও কল্পনা করেননি যে বিশ্বকাপের মাঝপথে তামিমের জায়গায় তাকে গিয়ে দাঁড়াতে হতে পারে। তাহলে হয়তো ফিটনেসের যুক্তিটা বদলে অন্য কোনো যুক্তি দিতে পারতো সে সময় টিম ম্যানেজমেন্ট।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের সময় পেশির ইনজুরিতে পড়েছিলেন সাকিব। সেই ইনজুরি কাটিয়ে ম্যাচের তিন দিন আগেও পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠতে ব্যর্থ হন তিনি। তবে শতভাগ ফিট না হয়েও তিনি খেলতে চান ভারতের বিপক্ষের ম্যাচটিতে।
যেই ফিটনেসের দোহাই দিয়ে তামিমকে বাদ দেওয়া হয়েছিল দল থেকে, সেই একই ইস্যু সাকিবকে এবারে একই সুতায় বাধলো তামিম ইকবালের সঙ্গে।
যার কারণে সাকিবকে এবারে পড়তে হলো সমালোচনার মুখে। প্রশ্ন উঠছে ফিটনেস ইস্যুতে তামিম বাদ গেছেন, এবারে সাকিবের ভাগ্যে কি হবে?
যদিও ভারতের বিপক্ষে সাকিব থাকবেন কি না সেটি পুরোপুরি নির্ভর করছে টিম ম্যানেজমেন্টের ওপর। এখনই বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারকে নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চায় না বোর্ড।
জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন এ বিষয়ে বলেন, ‘পুনেতে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ব্যাটিং অনুশীলন করবেন সাকিব আল হাসান। এরপরই ভারতে বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে কি না, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে টিম ম্যানেজম্যান্ট।’
তিনি আরও বলেন, ‘ধীরে ধীরে হাঁটা ও মাঠে দৌড়ানোর মধ্যে পার্থক্য আছে। যেহেতু সে গত ম্যাচে রান নিতে গিয়েই ব্যথাটা পেয়েছে। কালকে হয়তো এটা দেখবে। সাকিব যেহেতু চোট পাওয়ার পরেও ব্যাটিং ও ১০ ওভারের কোটার বোলিং করেছে। যদি সে নিজেকে কমফোর্টেবল মনে করে তাহলে খেলবে। সাকিব চাইছে খেলতে। আমরা চাই না (তাকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে)। এটা ডিপেন্ড করে ওর শতভাগ ফিটনেসের ওপর।’
এখন দেখার বিষয় শতভাগ ফিট হয়ে কি সাকিব খেলবেন ভারতের বিপক্ষে নাকি আনফিট হওয়া সত্ত্বেও নামবেন সেই ম্যাচে।
মন্তব্য করুন