চলমান আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের একমাত্র অপরাজিত দল ভারত। সবশেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে টানা সাত ম্যাচে জয় পেয়েছে তারা। সেই সঙ্গে ১০ দলের এই টুর্নামেন্টে প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পা দিয়েছে রোহিত শর্মারা।
গতকাল (২ নভেম্বর) মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড় স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত সময়ে ৮ উইকেটে ৩৫৭ রান করে ভারত। জবাবে লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১৯.৪ ওভারে মাত্র ৫৫ রানেই গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা। এতে ৩০২ রানের জয় তুলে নেয় ম্যান ইন ব্লুজরা।
এদিন হোম গ্রাউন্ড মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে নিজের ভাস্কর্য উন্মোচন করেন ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার। এরপর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, বিশ্বকাপে ভারতীয় দলকে দেখে ‘আনন্দ’ লাগছে তার।
২০১১ সালে এই স্টেডিয়ামেই শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল ভারত। ওই দলের সদস্য ছিলেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচিন টেন্ডুলকার। তাই তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের পথে দলকে চাপে না রাখার পরামর্শ দিয়েছেন শচীন।
তবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে সহজেই ১০০ রানের বড় ব্যবধানে হারানোসহ ‘ভারতীয় দলের এমন জয় দেখে আনন্দ হচ্ছে’ বলেও জানিয়েছেন লিটল মাস্টার। তিনি বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টে তারা যেভাবে খেলছে তা দেখে আমি খুবই খুশি।’
এর আগে ফটোগ্রাফার, টেলিভিশন ক্রু এবং পুলিশ বেস্টিত হয়ে ভারতের ঐতিহ্যবাহী ঢোল বাজিয়ে কির্তন গাইতে গাইতে আউটফিল্ডে যান শচীন। এরপর বোতাম টিপে আতশবাজির ঝলকানিতে নিজের ভাস্কর্য উন্মেচন করেন তিনি। ভাস্কর্যটি তৈরি করেছেন স্থানীয় শিল্পী ভাস্কর প্রমোদ কাম্বলে।
স্টেডিয়ামের শচীন টেন্ডুলকার স্ট্যান্ডে স্থাপিত হয়েছে এই ভাস্কর্যটি। একটি ক্লাসিক স্ট্রেট ড্রাইভের সমাপ্তির আদলে ‘লিটল মাস্টার’ নামের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে। এটি শচীনের সবচেয়ে পরিচিত শটগুলোর মধ্যে একটি।
যদিও বিশ্বের অনেক মাঠের স্ট্যান্ডের নাম বিখ্যাত খেলোয়াড়দের নামে রাখা হয়েছে। তবে জীবন্ত ক্রিকেটারদের মূর্তির সংখ্যা খুবই কম। নিজের ভাস্কর্য উন্মোচনের পর ৫০ বছর বয়সী টেন্ডুলকার বলেন, ‘এটি সত্যিই আমার জন্য একটি বিশেষ মুহূর্ত, আমি সত্যিই আপ্লুত। এখানে দাঁড়িয়ে অনেক স্মৃতি মনে পড়ছে।
তার মানসপটে ভেসে আসে ১৯৮৩ সালে মাত্র ১০ বছর বয়সে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আসার ঘটনা। লর্ডসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের পর ভারতীয় দলের খেলা দেখতে এসেছিলেন তিনি। বড় ভাইসহ ২৫ জনের একটি দলের সঙ্গে এসেছিলেন তিনি। যদিও তাদের কাছে টিকিট ছিল মাত্র ২৪টি।