জাতীয় দল থেকে নাসুম আহমেদের বাদ পড়া নিয়ে ক্রিকেটপাড়ায় জোর আলোচনা-সমালোচনা চলছে। সীমিত ওভারের দুই ফরম্যাটেই নিয়মিত মুখ এই স্পিনার। তবে আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফরের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে তাকে রাখা হয়নি।
এরপর থেকেই ক্রীড়াপ্রেমীরা বলছেন, এই ক্রিকেটারকে কোচের বিরাগভাজন হওয়ার দায় চুকাতে হচ্ছে। তবে নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনের দাবি, পারফরম্যান্সের কারণেই বাদ পড়েছেন নাসুম।
নির্বাচক ও সাবেক অধিনায়ক বাশারের ভাষ্য, নাসুম তো সাদা বলে নিয়মিত খেলছিল। তাকে আমরা দেখেছি অনেক। নাসুম যে খুব খারাপ করেছে, তা বলব না। তবে ওর (নাসুম) কাছ থেকে আমরা যেটা চাচ্ছিলাম, উইকেট শিকার করা, সেটা সাম্প্রতিক সময়ে পাচ্ছিলাম না। হ্যাঁ, ওকে (নাসুম) একটা ভূমিকা পালন করতে বলা হয়েছিল, আক্রমণ করার চেয়ে একটু রান বাঁচানো। তবে এরকম একজনকেও আমাদের দরকার, যে উইকেট নিতে পারে।
এই নির্বাচক আরও যোগ করেন, এখন যে ফরম্যাট, মাঝখানে উইকেট নিতে না পারলে রান বাঁচানো কঠিন হয়। তিন শ’র বেশি রান হয়েই যায়। এজন্যই মনে হয়েছে, এমন একজনকে দেখে চেষ্টা করি, যে মাঝের ওভারগুলোয় উইকেট নিতে পারে।
এদিকে লেগ-স্পিনার বিবেচনায় স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন রিশাদ হোসেন। কিউই কন্ডিশনে রিশাদের লেগ-স্পিন কার্যকরী হবে বলেই বিশ্বাস নির্বাচকদের।
বাশারের ভাষ্যমতে, বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স কিছুটা ভাবনায় রেখেছি আমরা অবশ্যই। তবে আমরা এখন চাচ্ছি একজন আগ্রাসী বোলার, সত্যি বলতে। যে কি না আমাদের উইকেট এনে দেবে। দেখুন আমরা রিশাদকেও নিয়েছি। কারণ, সবাই অনুভব করছে যে একজন রিস্ট স্পিনার আমাদের গড়ে তোলার দরকার।
এই নির্বাচকের মন্তব্য, আমরা কিন্তু শেখ মেহেদীকেও ওয়ানডে দলে নেইনি। কারণ, ওই কন্ডিশনে অর্থোডক্স স্পিনারদের পারফর্ম্যান্স আশাব্যঞ্জক নয়। সেজন্যই আমরা ভিন্ন কিছু চেষ্টা করছি। অবশ্যই লেগ-স্পিনার নিয়ে অনেক কথা হয় আমাদের। আমরা আশা করছি যে আমাদের যে চাহিদা, রিশাদ তা পূরণ করতে পারবে। মাঝের ওভারগুলোয় আমরা যদি উইকেট নিতে না পারি, বড় টুর্নামেন্ট খেলতে গেলে রান বাঁচানো খুব কঠিন হয়ে যায়।