কাতার বিশ্বকাপে দল মাঠে জয়ের জন্য লড়াই করলেও বেঞ্চে বসে সময় কাটিয়েছেন পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তার এমন করুণ অবস্থা দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন বিশ্বকাপের পরই বুটজোঁড়া তুলে রাখবেন তিনি। তবে সব বিতর্ককে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিদায়ী বছরের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন সিআর সেভেন। সেই সঙ্গে এবার ম্যারাডোনা অ্যাওয়ার্ড জিতলেন আল নাসর তারকা।
২০২৩ সালে আল নাসর ও নিজ দেশ পর্তুগালের জার্সিতে ৫৪ গোল করেন রোনালদো। যা ছেলেদের ফুটবলে এত গোল আর কেউ করতে পারেনি। যেখানে পিএসজির ফরাসি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে (৫২ গোল), বায়ার্ন মিউনিখের ইংলিশ ফরোয়ার্ড হ্যারি কেইন এবং ম্যানচেস্টার সিটির নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ডকে পিছনে ফেলেছেন ৩৮ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
আগামী ১৯ জুন দুবাইয়ের কৃত্রিম দ্বীপ দ্য পামে অবস্থিত বিলাসবহুল হোটেল আটলান্টিসে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে রোনালদোকে। শুধু সেরা গোল স্কোরারের পুরস্কারই নয়। দুবাই গ্লোব সকারের বর্ষসেরা খেলোয়াড়, মধ্যপ্রাচ্যের সেরা খেলোয়াড় ও ফ্যান ফেভারিট পুরস্কারের দৌড়েও এগিয়ে আছেন এই পর্তুগিজ পোস্টারবয়।
মাঠের ব্যস্ততা না থাকায় নতুন বছরের প্রথম দিন উদযাপনের জন্য নিজ দেশ পর্তুগালে গেছেন তিনি। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি রিয়াদ কাপের প্রীতি ম্যাচে তার দল আল নাসর মুখোমুখি হবে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামির। বহুল আকাঙ্ক্ষিত এই ম্যাচ দিয়েই মাঠে ফিরবেন রোনালদো।
ইউরোপ ছেড়ে সৌদি ক্লাব আল নাসরে যোগ দেওয়ার পর কিছুদিন খারাপ খেললেও সময়ের সঙ্গে নিজেকে ছন্দে ফিরিয়েছেন তিনি। এরপর নতুন কোচের অধীনে জাতীয় দলেও ফেরেন রোনালদো। সেই সঙ্গে ৫৪ গোল করে বিদায়ী বছরটা স্মরণীয় করে রাখলেন তিনি।