ক্রাইস্টচার্চে শেষ রোমাঞ্চের অপেক্ষা
ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট জিততে বাকি দুদিনে অস্ট্রেলিয়ার দরকার আরও ২০২ রান। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ৬ উইকেট। ব্ল্যাক-ক্যাপসদের ছুড়ে দেওয়া ২৭৯ রানের টার্গেটে তৃতীয় দিন শেষে ৪ উইকেটে ৭৭ রান তুলেছে অজিরা।
সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৯৪ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে দ্বিতীয় দিন শেষে ২ উইকেটে ১৩৪ রান করেছিল কিউইরা। দিন শেষে ৮ উইকেট হাতে নিয়ে ৪০ রানে এগিয়ে ছিল তারা। টম লাথাম ৬৫ এবং রাচিন রবীন্দ্র ১১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
তৃতীয় দিনে মাত্র ৮ রান তুলে আউট হন লাথাম। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের শিকার হবার আগে ৮ চারে ১৬৮ বলে ৭৩ রান করেন কিউই এই ব্যাটার।
লাথাম ফেরার পর শতরানের জুটি গড়ে নিউজিল্যান্ডকে লড়াইয়ে রাখেন রবীন্দ্র ও ড্যারিল মিচেল। কিন্তু মাত্র ৮ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন রবীন্দ্র ও মিচেল। দলীয় ২৭৮ রানে মিচেলকে শিকার করে জুটি ভাঙেন পেসার জশ হ্যাজেলউড। ৬ চার ও এক ছক্কায় ৫৮ রান করেন মিচেল। এরপর ১৫৩ বলে ১০ চারে ৮২ রান করা রবীন্দ্রকে বিদায় করেন কামিন্স।
জোড়া আঘাতের পরপরই ৯ রানে আউট হন নিউজিল্যান্ডের উইকেটরক্ষক টম ব্ল্যান্ডেলও। এতে ২৬৯ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড।
সপ্তম উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন গ্লেন ফিলিপস ও স্কট কুগেলিজন। তবে জুটিতে হাফ-সেঞ্চুরির জুটির পর তাদেরও থামতে হয়। ১৬ রান করে স্পিনার নাথানের শিকার হন ফিলিপস।
শেষ ব্যাটার হিসেবে কুগেলিজনকে আউট করে নিউজিল্যান্ডকে ৩৭২ রানে থামিয়ে দেন নাথান। এতে অস্ট্রেলিয়াকে ২৭৯ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুড়ে দেয় নিউজিল্যান্ড। ৫ চার ও দুটি ছক্কায় ৪৯ বলে ৪৪ রান করেন কুগেলিজন।
জবাবে খেলতে নেমে নিউজিল্যান্ডের দুই পেসার ম্যাট হেনরি ও বেন সিয়ার্সের তোপের মুখে পড়ে ৩৪ রানে ৪ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। স্টিভেন স্মিথকে ৯ ও উসমান খাজাকে ১১ রানে আউট করেন প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নেওয়া হেনরি। এরপর মার্নাস ল্যাবুশেন ৬ ও ক্যামেরুন গ্রিনকে ৫ রানে বিদায় দেন সিয়ার্স।
পঞ্চম উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার উইকেট পতন ঠেকান ট্রাভিস হেড ও মিচেল মার্শ। ৪৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দিনের খেলা শেষ করেন তারা। তৃতীয় দিন শেষে হেড ১৭ ও মার্শ ২৭ রানে অপরাজিত আছেন।
মন্তব্য করুন