আইসিসির আম্পায়ার প্যানেলে চার বাংলাদেশি নারী
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। তার আগেই আইসিসি থেকে সুখবর পেলেন বাংলাদেশর চার আম্পায়ার। অনেক পর্যালোচনার পর বাংলাদেশের পাঁচজনকে আম্পায়ারকে প্যানেলে যুক্ত করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা (আইসিসি)।
শুক্রবার (২২ মার্চ) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিসিবির আম্পায়ার্স বিভাগের প্রধান ইফতেখার আহমেদ। আইসিসির ডেভেলপমেন্ট প্যানেলে যুক্ত হয়েছেন চার আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি, ডলি রানি, চম্পা চাকমা ও রোকেয়া সুলতানা। এ ছাড়াও আইসিসি ম্যাচ রেফারিদের আন্তর্জাতিক প্যানেলে জায়গা পেয়েছেন সুপ্রিয়া রাণী দাস।
দেশের ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ের জন্য এটিকে বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন বিসিবির আম্পায়ার্স বিভাগের প্রধান। গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এত দ্রুত এমন একটা স্বীকৃতি অনেক বড় অর্জন। তারা আরও আগে থেকেই শুরু করেছে। তবে আমরা ২০২২ সালের মার্চে প্রথম তাদের দায়িত্ব দেওয়া শুরু করেছিলাম। আরেকটি মার্চেই তারা আইসিসি প্যানেলে। অবশ্যই অনেক বড় ব্যাপার
তিনি বলেন, দেশের নারী আম্পায়ারিংয়ের জন্যও এটি অনুপ্রেরণার বিষয়। তারা এখন এটিকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারবে। বাংলাদেশের মেয়েরাও যে আম্পায়ারিং করছে, এই কয়েকজনের মাধ্যমে সেটি এখন বিশ্বেও প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল। এখন অন্যরাও এটিকে ক্যারিয়ার হিসেবে নেওয়ার সাহস করতে পারবে।
ঘরের মাঠে আসন্ন বিশ্বকাপ নিয়ে তিনি আরও বলেন, তারা আইসিসি প্যানেলে ঢোকায় এখন বিশ্বকাপের দ্বারটা উন্মুক্ত হয়ে গেল। হয়তো এখনই তারা মূল আম্পায়ার হিসেবে সুযোগ পাবে না। তবে টিভি আম্পায়ার বা রিজার্ভ আম্পায়ার হিসেবে বাংলাদেশের কাউকে দেখা যেতেও পারে।
এমন খুশি সংবাদের পর ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে জেসি লিখেছেন, খুশির সঙ্গে জানাচ্ছি যে, অবশেষে আমি আইসিসির ডেভেলপমেন্ট প্যানেলের অংশ হয়েছি। আমি কতটা খুশি এবং ভাগ্যবান সেই অনুভূতি প্রকাশের ভাষা জানা নেই। পরের ধাপের জন্য অপেক্ষা করছি। আমার জন্য দোয়া করবেন।
এর আগে ২০২২ সালের মার্চে প্রথম শীর্ষ পর্যায়ে সুযোগ করে দেওয়া হয় সাথিরা, ডলি, সুপ্রিয়াদের। দুই বছরের ব্যবধানে আইসিসি প্যানেলে জায়গা করে নিলেন তারা।
অন্যদিকে পুরুষ ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ে আইসিসির আন্তর্জাতিক প্যানেলে আছেন বাংলাদেশের চার জন- শরফুদৌল্লা ইবনে শহীদ, মাসুদুর রহমান, গাজী সোহেল ও তানভির আহমেদ। এছাড়া আন্তর্জাতিক ম্যাচ রেফারি হিসেবে আছেন আখতার আহমেদ ও নিয়ামুর রশিদ।
আম্পায়ারদের মধ্যে শরফুদৌল্লা গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে মূল আম্পায়ার হিসেবে মাঠে দায়িত্ব পালন করেছেন। চলতি বছর অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে টেস্ট ম্যাচও পরিচালনা করেছেন তিনি।
মন্তব্য করুন