চলতি আইপিএলের ৩০তম ম্যাচে হায়দ্রাবাদের মুখোমুখি হয়েছিল বেঙ্গালুরু। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৫৪৯ রান আইপিএলের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এবং সেই সঙ্গে এক ম্যাচে ৮১টি বাউন্ডারির মাইলফলকও স্পর্শ করেছে এদিন। তবে শেষ পর্যন্ত ২৫ রানে হেরে গেছেন বিরাট কোহলিরা।
প্রথম ইনিংসে আইপিএলের ইতিহাসে রেকর্ড সর্বোচ্চ ২৮৭ রান করে হায়দ্রাবাদ। ৪৯ বলে ৯টি চার আর ৮টি ছক্কায় সেঞ্চুরি করেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা ট্রাভিস হেড। ৩১ বলে ৬৭ রান করেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ব্যাটসম্যান হেইনরিচ ক্লাসেন। মাত্র ১০ বলে ৩৭* রান করেন আবদুল সামাদ। ১৭ বলে ৩২ রান করেন এইডেন মার্করাম।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটে ২৬২ রান করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। দলের হয়ে ৩৫ বলে ৫টি চার আর ৭টি ছক্কায় ৮৩ রান করেন দীনেশ কার্তিক। ২৮ বলে ৭টি চার আর ৪টি ছক্কায় ৬২ রান করেন অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। ২০ বলে ৪২ রান করে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
এই ম্যাচে ৪০ ওভারে দুই দল মিলে ৩৮টি ছক্কা আর ৪৩টি চার মিলে টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড ৮১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৪৯ রান করে; যা আইপিএলের ইতিহাসে রেকর্ড।
এর আগে আসরের অষ্টম ম্যাচে হায়দ্রাবাদের রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে হায়দ্রাবাদের মুখোমুখি হয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। সেই ম্যাচে দুই দল মিলে ৩৮টি ছক্কার বিশ্বরেকর্ড গড়ে ৫২৩ রান করে;যা টি-টোয়েন্টিতে কোনো ম্যাচ সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ছক্কার আগের রেকর্ডটি হয়েছিল আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগে। ২০১৮ সালে বালখ লেজেন্ডস ও কাবুল জাওয়ানানের ম্যাচে হয়েছিল ৩৭টি ছক্কা। আর আইপিএলে এক ম্যাচে আগে সবচেয়ে বেশি ছক্কা ছিল ৩৩টি।
আইপিএলে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ৬৯টি বাউন্ডারির রেকর্ডও হয়েছে হায়দ্রাবাদ-মুম্বাইয়ের ম্যাচটিতে। এই ম্যাচে বাউন্ডারি হয়েছে ৬৯টি। এর আগে ২০১০ সালে চেন্নাই ও রাজস্থানের ম্যাচটিতেও হয়েছিল সমান সংখ্যক বাউন্ডারি।
তবে সোমবার হায়দ্রাবাদ-বেঙ্গালুরু ম্যাচে ৮১টি বাউন্ডারির বিশ্ব রেকর্ড হয়। চার-ছক্কা থেকে আইপিএলে সবচেয়ে বেশি রান হয়েছে এই ম্যাচে ৪০০ রান। এর আগে গত ১৭ মার্চ হায়দ্রাবাদ-মুম্বাই ম্যাচে বাউন্ডারি থেকে আসে ৩৫২ রান।