জিম্বাবুয়েও পারলো না লিটনকে ফর্মে ফেরাতে!
ক্যারিয়ারের শুরুতে নিজের স্কিল এবং দুর্দান্ত সব শট খেলে ক্লাসিক ব্যাটসম্যানের খেতাব অর্জন করেছিলেন তিনি। নেটিজেনরা এই টাইগার ওপেনারের নাম দিয়েছিলেন গরিবের বিরাট কোহলি। বলছি টাইগার ওপেনার লিটন কুমার দাসের কথা।
তবে সময় যত গড়িয়েছে লিটনের ব্যাটের ধার ততই কমে চলেছে। একটি ভালো ইনিংস খেললে, বাকি দশ ইনিংসে ব্যর্থ হচ্ছে তিনি। এভাবেই চলছে লিটনের আন্তজার্তিক ক্যারিয়ার। তবুও নির্বাচক, কোচ এবং অধিনায়কের প্রিয় খেলোয়াড় এলকেডি।
বিশ্বের বড় দলগুলোর বিপক্ষে লিটনের পারফরম্যান্স যেমনই হোক না কোনো জিম্বাবুয়েকে পেলেই যেনও জ্বলে ওঠেন লিটন। অনন্ত লিটনের ট্র্যাক রেকর্ড তো এই কথাই বলে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে খেলেছিলেন ক্যারিয়ার সেরা ১৭৬ রানের ইনিংস। ওয়ানডেতে মোট ১৩ ইনিংসে ৯৮ স্ট্রাইক রেট এবং ৫৯ দশমিক ৮১ গড়ে ব্যাট করে তুলেছেন ৬৫৮ রান।
এরপর মধ্যে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করেছে ৯ বার। প্রথম ইনিংসে ৭৪ দশমিক ৫৭ গড়ে ৫২২ রান তোলে লিটন।
দিকে আসন্ন বিশ্বকাপের আগে লিটনের ব্যাটিং ফর্ম নিয়ে বেশ চিন্তিত টাইগার ম্যানেজমেন্ট। তবে আশা ছিল হয়তো জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে রানে ফিরবেন এই ওপেনার ব্যাটার। কিন্তু প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মধ্যে যে যোজন যোজন পার্থক্য রয়েছে তা ভালোভাবেই টের পেয়েছেন নির্বাচকরা।
চট্টগ্রাম পর্বের তিন ম্যাচেই একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন লিটন। তিন ম্যাচে লিটনের রান (১, ২৩ ও১২) মোটে ৩৬, গড় ১২। ফলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য অন্য কাউকে নিয়ে ভাবতেই পারেন নির্বাচকরা। এতে মনে হচ্ছে, জিম্বাবুয়ে চেষ্টা করেও লিটনকে ফর্মে ফেরাতে পারলো না।
টি-টোয়েন্টিতে লিটন সবশেষ ৫০ প্লাস ইনিংস খেলেছিলেন গত বছর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। ৮৩ করেছিলেন সেই ম্যাচে। তার আগে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৩ রান এবং ২০২২ সালে ভারতের বিপক্ষে ৬০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। যা অনেকটাই হ্যালির ধুমকেতুর মতো। যা ফিরে আসে ৭৬ বছর পর পর।
অন্যদিকে অফ ফর্মের মধ্যে লিটন যেন অনেকটাই চিল মুডে রয়েছে। তৃতীয় ম্যাচের আগে সৌম্য যখন ক্যাম ব্যাক করতে মরিয়া হয়ে অনুশীলনে ঘাম ঝরাতে ব্যস্ত, তখন লিটন টিম হোটেলে অবসর সময় কাটিয়েছেন।
যেখানে ছন্দে ফেরার জন্য অনুশীলনে বাড়তি সময় দেন সাকিবের মতো ক্রিকেটাররা। সেখানে লিটন যেনো অনেকটাই চিল মুডে। গত বিপিএলে ফর্মে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে অনুশীলন করেছিলেন সাকিব। আর তার ফল তো সবারই জানা।
তবে লিটনরা কবে এমন পরিশ্রমী এবং পেশাদার হয়ে উঠবে, তা নিয়েও রয়েছে অনেক প্রশ্ন। তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে লিটন থাকবে কিনা সেটাই দেখা বিষয়।
মন্তব্য করুন