বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টির সক্ষমতা নিয়েই প্রশ্ন!
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে লজ্জাকর সিরিজ হারের পর বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টির সক্ষমতা নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠেছে। বিশ্ব ক্রিকেটে এই ফরমেটে যেখানে হরহামেশাই হচ্ছে ২০০ রানের স্কোর, সেখানে বাংলাদেশের সক্ষমতার গণ্ডি বেশিরভাগ ম্যাচেই ১৫০ থেকে ১৭০-এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সবশেষ ম্যাচে হারের পর যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রস্তুতির সিরিজে লজ্জাজনক পরাজয়ে মানুষিকভাবে ব্যাকফুটে হাথুরুর দল।
প্রথম ম্যাচে হারের পর আক্ষেপ আর হতাশা ঝরে পড়েছিল বিসিবি পরিচালক ও সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের কণ্ঠ থেকেও। তবে সে হারের কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি কেউই।
দুর্জয়ের ভাষ্য, ‘সবাই হোম কন্ডিশনের একটা সুবিধা নেয়, দলের চাওয়া থেকেই সেটা করা হয়। কোন উইকেট হলে দল পারফর্ম করবে, সে চাওয়াটা দল থেকেই আসে। কাজেই এখন উইকেটে দোহাই দিলে তো আমরা মানতে পারি না।’
নির্বাচক হান্নান সরকারের মন্তব্য, ‘আমাদের টপ অর্ডার সংগ্রাম করছে, এটা লুকানোর কিছু নেই। লজ্জার কিছু নেই। এটা বাস্তবতা। আমরা দেখছি যে—আমদের এক, দুই, তিন নম্বরে যেভাবে চাচ্ছি, সেভাবে পাচ্ছি না। তানজিম তামিম কিছুটা অবদান রেখেছে অভিষেকের পর। সৌম্য, লিটন সংগ্রাম করছে। শান্তর ব্যাটে রান পাচ্ছি না। কিন্তু, এরা যার যার জায়গায় নিজেদের প্রমাণ করেছে। তাদের নতুনভাবে প্রমাণ করার কিছু নেই।’
কিন্তু সিরিজ হারের পর কি ব্যাখ্যা দেবেন তারা। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে লজ্জাকর হারের পর তার ব্যাখ্যা দিতে পারেননি স্বয়ং সাকিব আল হাসান।
দীর্ঘসময় ধরে চলা এমন বাজে পারফর্মেন্সের পর বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি অ্যাপ্রোচ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। চলুন দেখে নেই, টাইগারদের শেষ ১০ টি-টোয়েন্টির ব্যাটিং স্কোর।
১০ ম্যাচে সমান পাঁচটি করে জয় ও হারের রেকর্ড বাংলাদেশের। যেখানে দুইশোর উপরে স্কোর মাত্র এক ম্যাচে। বাকি ম্যাচগুলোতে ১৩০ থেকে ১৭০ রানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছে দলীয় সংগ্রহ। এর মধ্যে যে ম্যাচগুলোতে লো স্কোর তাড়া করতে নেমেছে বাংলাদেশ দল, সেসব ম্যাচও একপেশে করে শেষ করতে পারেনি শান্তর দল। অথচ বিশ্ব ক্রিকেটের বাস্তবতায় টে-টোয়েন্টিতে ২০০ রানের স্কোর হচ্ছে হরহামেশাই।
এক বাক্যে, দলের এমন ব্যাটিং দুর্বলতার বাস্তবতায় বিশ্বকাপে শান্তদের কাছ থেকে বড় কোনো আশা করছে না কেউ। ক্রিকেটে জয় পরাজয় থাকলেও পরাজয়ের ধরণ অনেক সময় দিয়ে দেয় অনেক প্রশ্নের উত্তর।
এবারের উত্তরটাও অনেকে এভাবেই দিতে পারে। অনেকটা বাংলায় প্রচলিত এই প্রবাদের মতো। ‘উপর দিয়ে ফিটফাট, আর ভেতরে সদরঘাট’।
উল্টোদিকে অনেক আশাবাদী ক্রিকেটপ্রেমীরা নিজেকে শান্তনা এভাবেও দিতে পারে, ‘বাঘ তো লম্বা লাফ দেওয়ার সময় দুই পা পেছায়’।
মন্তব্য করুন