শীর্ষ পাঁচ লিগের যারা সুযোগ পাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে
![চ্যাম্পিয়নস লিগ](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/05/28/image-275592-1716869121.jpg)
ছবি- সংগৃহীত
শেষ হচ্ছে ২০২৩-২৪ ইউরোপিয়ান ফুটবল মৌসুম। ইতোমধ্যে শীর্ষ পাঁচ লিগের শিরোপাও নির্ধারণ হয়ে গেছে। চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং ইউরোপা লিগে কারা খেলবে, তা-ও প্রায় নিশ্চিত। শুধু শেষ মুহূর্তের কিছু স্থান নির্ধারণ বাকি। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা, না জেতার ওপরই মূলত কয়েকটি স্থান নির্ধারণ নির্ভর করছে। সিরি-আ’তেও একই পরিস্থিতি। কনফারেন্স লিগ আটালান্টা জিতলে হিসাব-নিকাশে কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে। এটুকু বাদে বাকি সবই চূড়ান্ত।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
- চ্যাম্পিয়নস লিগ : ম্যানচেস্টার সিটি (চ্যাম্পিয়ন), আর্সেনাল, লিভারপুল, অ্যাস্টন ভিলা
- ইউরোপা লিগ : টটেনহাম, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (এফএ কাপ জয়ী)
- কনফারেন্স লিগ : চেলসি
- অবনমিত হলো যারা : লুটন টাউন, বার্নলি, শেফিল্ড ইউনাইটেড
- উঠে এলো যারা : লেস্টার সিটি, ইপসউইচ টাউন, সাউদাম্পটন
লা লিগা
- চ্যাম্পিয়নস লিগ : রিয়াল মাদ্রিদ (চ্যাম্পিয়ন), বার্সেলোনা, জিরোনা, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ
- ইউরোপা লিগ : অ্যাথলেটিক বিলবাও, রিয়াল সোসিয়েদাদ
- কনফারেন্স লিগ : রিয়াল বেতিস
- অবনমিত হলো যারা : কাদিজ, আলমেরিয়া, গ্রানাডা
- উঠে এলো যারা : রিয়াল ভায়াদোলিদ, লেগানেস, প্লে-অফ জয়ী দল
বুন্দেসলিগা
- চ্যাম্পিয়নস লিগ : বায়ার লেভারকুসেন (চ্যাম্পিয়ন), ভিএফবি স্টুটগার্ট, বায়ার্ন মিউনিখ, লাইপজিগ, বরুসিয়া ডর্টমুন্ড
- অপেক্ষায় আছে : আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট (ডর্টমুন্ড চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতলে)
- ইউরোপা লিগ : আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট (ডর্টমুন্ড চ্যাম্পিয়নস লিগ হারলে), হফেনহাইম
- কনফারেন্স লিগ : হাইডেনহাইম
- অবনমিত হলো যারা : কোলন, ডার্মস্টাট
- উঠে এলো যারা : সেন্ট পাউলি, হোলস্টাইন কিল, প্লে–অফ জয়ী
সিরি আ
- চ্যাম্পিয়নস লিগ : ইন্টার মিলান (চ্যাম্পিয়ন), জুভেন্টাস, এসি মিলান, আটলান্টা, বোলোনিয়া
- ইউরোপা লিগ : রোমা, লাৎসিও
- অপেক্ষায় আছে : ফিওরেন্তিনা (কনফারেন্স লিগ ফাইনালে জিতলে)
- কনফারেন্স লিগ : ফিওরেন্তিনা, তুরিনো
- অবনমিত হলো যারা : ফ্রোসিনোন, সাসসুয়োলো, সালেরনিতানা
- উঠে এলো যারা : পার্মা, কোমো, ভেনেৎসিয়া ও ক্রেমোনেসের মধ্যকার প্লে-অফে জয়ী দল।
ফ্রেঞ্চ লিগ আঁ
- চ্যাম্পিয়নস লিগ : পিএসজি (চ্যাম্পিয়ন), মোনাকো, ব্রেস্ত, লিল
- ইউরোপা লিগ : নিস, লিওঁ
- কনফারেন্স লিগ : লাঁস
- অবনমিত হলো যারা : লঁরিয়া, ক্লেমঁ (প্লে–অফে হারলে মেস)
- উঠে এলো যারা : অঁসের, আঁজে
মন্তব্য করুন
বিতর্কিত ডেড বল আইনেই বাংলাদেশের হার, দাবি ওয়াকারের
নাটকীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪ রানের পরাজয় দেখেছে বাংলাদেশ। লো স্কোরিং ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইও করেছে লাল-সবুজেরা। তাই হার নিয়ে আক্ষেপ থাকার কথা না টাইগার সমর্থকদের।
তবে বাজে আম্পায়ারিং নিয়ে আক্ষেপ ক্রীড়াপ্রেমীদের। তাওহীদ হৃদয়ের আউটসহ ক্রুসিয়াল মোমেন্টে বিতর্কিত ডেড বল আইনে কপাল পুড়েছে বাংলাদেশের। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ও জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার ওয়াকার ইউনুস।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ওয়াকারের ভাষ্য, ‘আম্পায়ারের এলবিডব্লিউ সিদ্ধান্তে বিতর্কিত ডেড বলের আইনটি বদলানো উচিত। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে লো স্কোরিং থ্রিলারে বাংলাদেশের ক্ষতি করে দিয়েছে এটাই।’
যা ঘটেছিল :
ইনিংসের ১৭তম ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার ডানহাতি পেসার ওটেনিল বার্টম্যানের একটি ডেলিভারি ফ্লিক করতে গেলে প্যাডে লেগে যায় মাহমুদউল্লাহর। আবেদন হলে আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। রিভিউতে দেখা যায়, বল লেগ-স্ট্যাম্প মিস করেছে। ফলে বেঁচে যান মাহমুদউল্লাহ।
এদিকে তার প্যাডে লেগে বল বাউন্ডারি পার হয়ে গিয়েছিল। লেগবাই ৪ রান পেতো বাংলাদেশ। কিন্তু আম্পায়ার শুরুতে আউট দেওয়ায় বল ডেড হয়ে বাতিল হয়ে যায় সেই ৪ রান।
উল্লেখ্য, সোমবার (১০ জুন) আগে ব্যাট করে বাংলাদেশকে ১১৪ রানের সহজ লক্ষ্য দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রান তুলতে পারে টাইগাররা। এতে ৪ রানের হার নিয়ে বাংলাদেশকে মাঠ ছাড়তে হয়।
![বিতর্কিত ডেড বল আইনেই বাংলাদেশের হার, দাবি ওয়াকারের](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/11/image-277809-1718079652.jpg)
ডেডবল নাকি ৪, যা বলছে ক্রিকেট আইন
লো-স্কোরিং ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথমবার টি-টোয়েন্টিতে জয়ের স্বপ্ন বুনেছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত স্বপ্নভঙ্গ হয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। বিতর্কিত ডেড বল আইনের মারপ্যাঁচে ৪ রানে হেরেছে শান্ত বাহিনী।
ইনিংসের ১৭তম ওভারে স্ট্রাইকে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ম্যাচের পরিস্থিতিও টাইগারদের নাগালেই ছিল। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার ডানহাতি পেসার ওটেনিল বার্টম্যানের একটি ডেলিভারি ফ্লিক করতে গেলে মাহমুদউল্লাহর প্যাডে লেগে যায়। অনেকটা দ্বিধা নিয়েই আঙুল তুলেছিলেন অনফিল্ড আম্পায়ার স্যাম নোগাস্কি। এতে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। রিভিউতে দেখা যায়, বল লেগ-স্ট্যাম্প মিস করেছে। ফলে বেঁচে যান মাহমুদউল্লাহ।
রিয়াদের প্যাডে লেগে বল বাউন্ডারি পার হয়ে গিয়েছিল। লেগবাই হিসেবে ৪ রান পেত বাংলাদেশ। কিন্তু আম্পায়ার শুরুতে আউট দেওয়ায় বল ডেড হয়ে বাতিল হয়ে যায় সেই ৪ রান। শেষ পর্যন্ত ওই ৪ রানেই হেরেছে বাংলাদেশ।
এদিকে হারের কারণ হিসেবে আম্পায়ারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। সাবেক ক্রিকেটাররাও আম্পায়ারিংয়ের সমালোচনায় মেতেছেন। তবে ডেডবল সংক্রান্ত ক্রিকেটের আইন অবশ্য আম্পায়ারের পক্ষেই কথা বলছে।
ক্রিকেটের ২০.২ ধারায় বলা আছে, ম্যাচে ‘ডেড বল’ নির্ধারণের ক্ষমতা কেবলই আম্পায়ারের; ‘বল শেষ পর্যন্ত মীমাংসা (ওই ডেলিভারির খেলা) হয়েছে কি না, তা সিদ্ধান্ত নেবেন আম্পায়ার।’
প্রাসঙ্গিক আরেকটি ধারায় (২০.১.১.১) বলা হয়েছে, বল তখনই ‘ডেড’ হবে, যখন তা উইকেটরক্ষক কিংবা বোলারের হাতে জমা পড়বে।
সেই ধারায় আরও বলা আছে, ‘বোলিং প্রান্তের আম্পায়ার যখন বুঝতে পারবেন, ফিল্ডিং দল ও ব্যাটারদের খেলা থেমেছে, তখনই সেটা ডেড বল।’
এদিকে ২০.১.১.৩ ধারাও বাংলাদেশের বিপক্ষে যেতে পারে। যেখানে বলা আছে, যে মুহূর্তে বলের সাপেক্ষে আউটের সিদ্ধান্ত আসবে, সেই মুহূর্ত থেকে এটি ডেডবল ঘোষণা করা হবে। এর অর্থ, আম্পায়ার আবেদনে আঙুল তোলার পরই সেটি ডেডবলই ছিল।
![ডেডবল নাকি ৪, যা বলছে ক্রিকেট আইন](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/11/image-277811-1718081445.jpg)
সুপার এইট নিশ্চিত হলে প্রতিপক্ষ হিসেবে যাদের পাবে বাংলাদেশ
চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় পেলেও, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারের তিতো স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। এতে করে বিশ্বকাপে সুপার এইটের সমীকরণ অনেকটা কঠিন হয়ে গেছে বাংলাদেশের। তবে অসম্ভবও কিছু না টাইগারদের জন্য।
গ্রুপ ‘ডি’ থেকে টানা তিন ম্যাচে জয় তুলে দক্ষিণ আফ্রিকা সবার আগে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে। গ্রুপ সিডিংয়ে তাই চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ‘ডি’ থেকে সুপার এইটে যাবে তারা। আর বাংলাদেশ যদি সুপার এইটে যায় তাহলে ‘ডি’ থেকে রানার্সআপ হিসেবে যাবে। গত দুই আসরের মত পূর্ব নির্ধারিত সিডিং অনুযায়ী ঠিক হবে সুপার এইটের গ্রুপ।
গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের এখানও ম্যাচ বাকি আছে দুইটি ম্যাচ। যেখানে ১৩ মে প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস এবং ১৭ মে প্রতিপক্ষ নেপাল। এই ম্যাচ দুটিতে জিতলেই সুপার এইট নিশ্চিত হবে নাজমুল হোসেন শান্তদের।
আর যদি একটি হারে ও একটিতে জয় নিয়ে মাঠ চাড়ে তখন রান রেটের মারপ্যাচে পড়তে হবে। তাই দুটি জিতেই গ্রুপ ডির দ্বিতীয় দল হিসেবে পরের রাউন্ড নিশ্চিত করতে চাইবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সুপার এইটে গেলে আইসিসির নির্ধারিত গ্রুপ-১ তে জায়গা পাবে বাংলাদেশ। যেখানে বাংলাদেশের সঙ্গী হবে ‘এ’ এবং ‘সি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল। আরেকটি দল হলো ‘বি’ রানার্স আপ দল।
সুপার এইট
গ্রুপ ১: এ১, বি২, সি১, ডি২
গ্রুপ ২: এ২, বি১, সি২, ডি১
তাই ডি গ্রুপে রানার্স হিসেবে সুপার এইটে উঠলে বাংলাদেশের প্রথম প্রতিপক্ষ হবে স্কটল্যান্ড। কারণ, বি গ্রুপে ৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে সুপার এইট অনেকটা নিশ্চিত স্কটিশদের। কারণ, টানা দুই হারে কপাল পুড়েছে ইংল্যান্ডের। আর টানা দুই ম্যাচ জিতেছে অজিরা। পরের দুই ম্যাচ হলো স্কটল্যান্ড এবং নামিবিয়া এবং স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। তাই বি গ্রুপ থেকে অস্ট্রেলিয়া গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে তা বলায় যায়।
সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ম্যাচে লড়াই করতে হবে ভারতের বিপক্ষে। কারণ, এ’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবেই সুপার এইটে পা রাখতে যাচ্ছে রোহিত শর্মার দল।
অন্যদিকে টাইগারদের সেমিফাইনালে ওঠার শেষ সমীকরণটা মেলাতে হতে পারে আফগানিস্তান অথবা স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে যে কোনো এক দলের বিপক্ষে। কারণ, টানা দুই ম্যাচ জিতে সুপার এইটে ওঠার লড়াইয়ে এগিয়ে রয়েছে এই দুই দল।
আফগানিস্তানের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে পয়েন্ট টেবিলে তলানিতে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। সেই সঙ্গে রয়েছে রান রেটের বড় ধাক্কা। তাই বড় কোনো অঘটন ছাড়া কিউইদের সুপার এইটে ওঠার প্রায় অসম্ভব।
সুপার এইটে বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ ও সূচি:
২১ জুন বি২ (স্কটল্যান্ড) -ডি২ (বাংলাদেশ) সকাল ৬টা ৩০ মিনিট
২২ জুন এ১ (ভারত) -ডি২ (বাংলাদেশ) রাত ৮টা ৩০ মিনিট
২৫ জুন (আফগানিস্তান)-ডি২ (বাংলাদেশ) সকাল ৬টা ৩০ মিনিট
![সুপার এইট নিশ্চিত হলে প্রতিপক্ষ হিসেবে যাদের পাবে বাংলাদেশ](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/11/image-277902-1718110962.jpg)
বড় দুঃসংবাদ পেলেন সাকিব
দুঃসময়ের সংজ্ঞাটা আসলে কী! খারাপ সময়ে পড়ার আগে কখনও কি ভেবেছেন কেউই! না, অবশ্যই না। তবে সাম্প্রতিক সময়ে হাড়ে হাড়ে বিষয়টি টের পাচ্ছেন দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তার ব্যাটে রান নেই, বোলিংয়েও আস্থা হারিয়েছেন।
সাংবাদিকের ফোন কেড়ে পুলিশকে দিয়ে মাঠের বাইরেও জড়িয়েছেন নানারকম সমালোচনা আর নেতিবাচক শিরোনামে। এবার বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত আরও এক দুঃসংবাদ পেয়েছেন সাবেক এই টাইগার দলপতি। আইসিসি টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান খুইয়েছেন ব্যাটে-বলে নিষ্প্রভ সাকিব।
বুধবার (১২ জুন) র্যাঙ্কিংয়ের হালনাগাদ প্রকাশ করে আইসিসি। যেখানে অবনমন হয়েছে সাকিবের। এতে শীর্ষস্থান থেকে এক ধাক্কায় পঞ্চম স্থানে নেমে গেছেন বাংলাদেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার।
সাকিবকে ছাড়িয়ে শীর্ষে উঠেছেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবি, শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, অস্ট্রেলিয়ার মার্কাস স্টয়নিস। এই তালিকায় জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজাও আছেন, যেই ক্রিকেটারের বিশ্বমঞ্চে খেলার সৌভাগ্যও হয়নি।
২৩১ রেটিং পয়েন্টে এই তালিকায় রাজত্ব করছেন আফগান অলরাউন্ডার নবি। ২২৫ রেটিং পয়েন্টে দুইয়ে মার্কাস স্টয়নিস, ২১৬ রেটিং পয়েন্টে তিনে লঙ্কান অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা এবং ২১০ রেটিং পয়েন্টে সাকিবের ওপরেই আছেন রাজা। রোডেশিয়ান অধিনায়ক থেকে দুই পয়েন্টে পিছিয়ে পাঁচে সাকিব।
শীর্ষে থাকা নবির সঙ্গে সাকিবের পার্থক্য ২৩ রেটিং পয়েন্ট। তাই সাকিবের এখন ঘুরে দাঁড়ানোও কঠিন। কেননা, ব্যাটে-বলে সাকিব এমন একটা মলিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, যেখানে অনেকেই তাকে একাদশের বাইরেও রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। অতীতে ব্যাটে না হয়, বল হাতে দলের হয়ে সর্বোচ্চ অবদান রেখেছেন সাকিব। তবে গত কয়েক ম্যাচ ধরেই একেবারেই অনুজ্জ্বল সাবেক বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
![বড় দুঃসংবাদ পেলেন সাকিব](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/12/image-278051-1718189629.jpg)
ডাচ পরীক্ষার আগে টাইগার শিবিরে সুসংবাদ
আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে মাঠের ভালো পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেলেন তাওহিদ হৃদয়, রিশাদ হোসেনরা। সর্বশেষ প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন তারা। এ ছাড়া মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদরাও উন্নতি করেছেন।
বুধবার (১২ জুন) টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রকাশ করেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
বোলিংয়ে ১০ ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৭ রানে ৩ উইকেট নিলেও, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৮ রান দিয়ে উইকেট পাননি তিনি। এরপরও ৬২০ রেটিং নিয়ে ত্রয়োদশ স্থানে উঠেছেন ফিজ। যা বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সেরা অবস্থান।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম দুই ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়ে ৮ ধাপ এগিয়ে ৫৯৭ রেটিং নিয়ে ১৯তম স্থানে উঠেছেন পেসার তাসকিন আহমেদ।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন স্পিনার রিশাদ হোসেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১ উইকেট নেন তিনি। তাই ৫৪৮ রেটিং নিয়ে ২৪ ধাপ এগিয়ে ৩০তম স্থানে উঠেছেন রিশাদ।
শ্রীলংকার বিপক্ষে ১ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩ উইকেট নিয়ে ১০৮ ধাপ এগিয়ে ৩৮৮ রেটিং নিয়ে ৯৮তম স্থানে আছেন আরেক পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
এদিকে অলরাউন্ডার তালিকায় ২২৩ রেটিং নিয়ে শীর্ষে থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করেছিলেন সাকিব। চলমান বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাট-বল হাতে ফ্লপ ছিলেন তিনি। তাতেই শীর্ষস্থান হারিয়েছেন সাকিব। ১৫ রেটিং হারিয়ে র্যাঙ্কিংয়ের পঞ্চম স্থানে নেমে গেছেন সাকিব। তার রেটিং এখন ২০৮। এই তালিকায় রাজত্ব করছেন মোহাম্মদ নবি।
ব্যাটিং তালিকায় ৩২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের হয়ে এখন সেরা অবস্থানে আছেন তাওহিদ হৃদয়। বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ২০ বলে ৪০ রানের ঝোড়ো ইনিংসে দলের জয়ের বড় অবদান রাখেন হৃদয়। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৪ বলে ৩৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন তিনি। এই দুই ইনিংসের সুবাদে ৫৭৪ রেটিং নিয়ে তালিকার ২৭তম স্থানে উঠেছেন হৃদয়।
হৃদয়ের পর ব্যাটিং তালিকায় বাংলাদেশের পক্ষে আছেন লিটন দাস। ৫২৪ রেটিং নিয়ে ৪১তম স্থানে আছেন তিনি।
তবে টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ভারতের সূর্যকুমার যাদব। পরের দু’টি স্থানে আছেন যথাক্রমে ইংল্যান্ডের ফিল সল্ট ও পাকিস্তানের বাবর আজম।
অন্যদিকে বোলিং তালিকায় শীর্ষ তিনটি স্থানে আছেন যথাক্রমে- ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ, শ্রীলঙ্কার হাসারাঙ্গা ও আফগানিস্তানের রশিদ খান।
![ডাচ পরীক্ষার আগে টাইগার শিবিরে সুসংবাদ](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/12/image-278106-1718208382.jpg)
সুপার এইটে গেলে প্রতিপক্ষ হিসেবে যাদের পাচ্ছে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপে সুবিধাজনক অবস্থানে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে চতুর্থ ও শেষ ম্যাচে নেপালকে হারালেই শেষ আটে জায়গা নিশ্চিত করবে টাইগাররা। তবে হারলেও সম্ভাবনা থাকবে। সেক্ষেত্রে নেট রানরেট ও নেদারল্যান্ডসের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।
চলতি বিশ্বকাপে চারটি গ্রুপে পাঁচটি করে মোট ২০টি দল খেলছে। সেখান থেকে প্রতিটি গ্রুপ থেকে দুটি করে মোট আটটি দল সুপার এইটে খেলবে। তবে পরের পর্বের জন্য আগেই দুটি করে দল বাছাই করে নাম (যেমন এ-১, এ-২) দিয়ে রেখেছিল আইসিসি।
ডি গ্রুপ থেকে ডি-১ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা, ডি-২ হিসেবে শ্রীলঙ্কাকে ধরে রেখেছিল আইসিসি। ইতোমধ্যেই শেষ আটে কোয়ালিফাই করেছে প্রোটিয়ারা। অন্যদিকে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই আসর থেকে ছিটকে গেছে লঙ্কানরা। তাই এই গ্রুপের বাকি দলটি হবে ডি-২। তাই দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। কাগজে-কলমে ডাচদেরও সম্ভাবনা আছে।
সুপার এইটে আটটি দলকে ফের দুটি গ্রুপে ভাগ করা হবে। অর্থাৎ সুপার এইটে উঠলে গ্রুপে-১ এ থাকবে বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানকে পাচ্ছে লাল-সবুজেরা।
সুপার এইটে প্রতিটি দল একে অপরের বিপক্ষে একটি করে ম্যাচ খেলবে। যেখানে তিন দলের দুটিকে হারাতে পারলেও সেমিতে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
![সুপার এইটে গেলে প্রতিপক্ষ হিসেবে যাদের পাচ্ছে বাংলাদেশ](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/14/image-278311-1718345231.jpg)
তানজিদ তামিমের বুদ্ধির প্রশংসায় আইসিসি
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে শান্ত-লিটনদের ব্যর্থতার পর সাকিবের সঙ্গে দলের হাল ধরেন ওপেনার তানজিদ তামিম। সেই সঙ্গে নিজের বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেওয়ায় তার প্রশংসা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লের তৃতীয় ওভার চলাকালীন একটি বল লাফিয়ে উঠে আটকে যায় এই তামিমের হেলমেটে। সে সময় হেলমেটে আটকে যাওয়া বল ফিল্ডাররা ধরে ফেলার আগেই মাটিতে স্পর্শ করে দেন বাংলাদেশের উদীয়মান ব্যাটার।
তানজিদের তাৎক্ষণিক এই বুদ্ধিতে মুগ্ধ হয়েছে আইসিসি। হেলমেটে আটকে যাওয়া বলের সেই মুহূর্তটি নিজেদের অফিশিয়াল সামাজিক মাধ্যমে দিয়ে বাঁহাতি ব্যাটারের বুদ্ধির প্রশংসা করেছে আইসিসি।
ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা লিখেছে, শেষ পর্যন্ত দুর্দান্ত চিন্তা। তানজিদের প্রশংসা না করে উপায় নেই। ক্রিকেটে অনেক ধরনের অদ্ভূত আউট হওয়ার ঘটনা আছে। সেদিক থেকে তানজিদ তামিমের হেলমেটে আটকে যাওয়া বল ধরেও প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস আউটের আবেদন করতে পারত।
ম্যাচ শেষে ঘটনাটি নিয়ে তানজিদ তামিম বলেছেন, দুর্ভাগ্যক্রমে বলটা বাউন্স হয়েছিল। ফলে ঠিকমতো ব্যাটে-বলে সংযোগ করতে পারিনি এবং তা আমার হেলমেটে আঘাত করে। আমি ঠিক ছিলাম। আমি আসলে তখন চিন্তা করছিলাম বল হয়তো ওপরে উঠে গেছে।
‘কিন্তু দেখতে পাই বল আমার সামনের চোখের হেলমেটের পাশে আটকে গিয়েছে। এ সময় আমি ভাবছিলাম তারা (প্রতিপক্ষ) এসে হয়তো বল ধরে আউটের আবেদন করতে পারে। তাই হেলমেট খুলে মাটিতে রাখি। এতে করে তারা আউট করতে পারেনি।’
![তানজিদ তামিমের বুদ্ধির প্রশংসায় আইসিসি](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/14/image-278354-1718361177.jpg)