ঢাকাশুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১

জিমন্যাস্টিকসে প্রথম ভারতীয় হিসেবে ইতিহাস গড়লেন দীপা কর্মকার

স্পোর্টস ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪ , ০৬:০১ পিএম


loading/img
ছবি- সংগৃহীত

গত রোববার কলকাতা নাইট রাইডার্সের শিরোপা উল্লাসের মধ্য দিয়ে পর্দা নেমেছে আইপিএলের ১৭তম আসরের। এদিন মাঠে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মালিক বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। দলটির তৃতীয় শিরোপা জয়ের খবর ছিল প্রতিটি গণমাধ্যমের শিরোনামে।

বিজ্ঞাপন

তবে আইপিএলের কোটি কোটি টাকার ভিড়ে চাপা পড়ে গিয়েছে ভারতীয় জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকারের অনন্য কীর্তি। কলকাতার ট্রফি জয়ের দিনে প্রথম ভারতীয় হিসাবে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতেছেন দীপা কর্মকার। উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্ডে ইতিহাস লিখেছেন দীপা কর্মকার। 

এশিয়ান জিমন্যাস্টিকস চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় ভল্ট অ্যাপারেটরস এর মহিলা বিভাগের ফাইনালে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে সেরা পারফর্ম করে দীপা স্বর্ণ পদক ছিনিয়ে এনেছেন। সেই সঙ্গে তার হাত ধরে এই প্রথম কোনো ভারতীয় জিমন্যাস্ট এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের কোনো ইভেন্টে স্বর্ণপদক জিতলেন।

বিজ্ঞাপন

মহিলাদের ভল্টের ফাইনালে ৩০ বছর বয়সী দীপা কর্মকারের গড় স্কোর ছিল ১৩.৫৬৬ পয়েন্ট। এতে কোরিয়ার কিম সং হিয়াং এবং জো কিয়ং-বায়োল এর থেকে এগিয়ে যান। এই দুই প্রতিযোগীর গড় স্কোর ছিল যথাক্রমে ১৩.৪৬৬ এবং ১২.৯৬৬ পয়েন্ট।

ফাইনালের আগে গত শুক্রবার দীপা ৪৬.১৬৬ স্কোর করে অলরাউন্ডার বিভাগে ১৬তম স্থান অর্জন করেছিলেন। তবে আশানুরূপ ফলাফল না হওয়ায় ২০২৪ এর প্যারিস অলিম্পিকে (জিমন্যাস্টিকসে) ভারতের জন্য কোটা নিশ্চিত করতে তিনি ব্যর্থ হন। 

তবে প্যারিস অলিম্পিকে জায়গা নিশ্চিত করতে না পারলেও তিনি প্রথম ভারতীয় মহিলা জিমন্যাস্ট হিসেবে অলিম্পিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এছাড়া রিও ২০১৬ -এর মহিলাদের ভল্টে তিনি চতুর্থ স্থান অর্জন করেন। 

বিজ্ঞাপন

এছাড়া তিনি ২০১৮ সালের এফআইজি বিশ্বকাপে মহিলাদের ভল্টে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। তিনিই প্রথম ভারতীয় মহিলা, যিনি জিমন্যাস্টিসকে প্রথম ভারতীয় হিসেবে স্বর্ণপদক জিতলেন।

রিও অলিম্পিকের পর ডোপ টেস্টে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ২১ মাস নির্বাসনের আঁধারে ছিলেন দীপা। নির্বাসন ও ঠিক সময়ে নাম না পাঠানোর কারণে দীপার প্যারিসে যাওয়া হবে না। এই দুঃখের মধ্যে দীপার কাছে এই অর্জনটা নিঃসন্দেহে অক্সিজেনের মতো।

স্বর্ণ জয়ের পর সংবাদ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দীপা বলেন, খুবই ভালো লাগছে। আসলে আমি অনেকদিন জিমন্যাস্টিকস থেকে দূরে ছিলাম। মূলত চোটের জন্য। আবার একটা লম্বা সময় বাইরে থাকতে হয়েছে এমন একটা কাজের শাস্তির জন্য, যে কাজটা আমি করিনি। ফলে এই পদকটা আমার খুব দরকার ছিল। এতদিন ধরে যে সমালোচনা শুনেছি, তার জবাব দেওয়ার জন্য। 

তিনি আরও বলেন, নির্বাসনের পর্বটা আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময় ছিল। সেটা আমি কাটিয়ে এসেছি ঠিকই। তবে আমার একটা জেদ ছিল নিজেকে প্রমাণ করার। আজকের সোনাটা সেই জেদেরই ফল। আমি পেরেছি এশিয়ান চ্যম্পিয়নশিপে আমার দেশ এবং কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দীর মাথা উঁচু করতে। সেটাই আমার কাছে সবচেয়ে বেশি তৃপ্তির, সবচেয়ে বেশি আনন্দের।
 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |