এইচপির কোচ হতে চান জেমি সিডন্স
কয়েক দিন আগেই হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে এখনও পর্যন্ত তাদের জন্য প্রধান কোচ নিয়োগ দিতে পারেনি বোর্ড। তাই আপাতত বিসিবির তত্ত্বাবধানে স্কিল ট্রেনিংয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রিকেটাররা।
সবশেষ এইচপির সঙ্গে কাজ করেছেন জাতীয় দলের বর্তমান ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প। তাই এইচপির কোচিং প্যানেলে দেখা যাবে নতুন কাউকে। বয়সভিত্তিক দলে পারফর্ম করা ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া এই দলের সম্ভাব্য প্রধান কোচের তালিকায় আছেন জেমি সিডন্সও।
এইচপির দায়িত্ব নিতে আগ্রহ আছে এই অজি কোচের। দেশের বেসরকারি একটি গণমাধ্যমে নিজের আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছেন সিডন্স।
হাই পারফরম্যান্সের কোচ হতে আগ্রহী কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে এই অজি কোচ বলেছেন, হ্যাঁ। এই কাজটা আমি ভালোবাসি। যদি চুক্তিটা ঠিক থাকে আর পর্যাপ্ত সময় দেয়া হয়, আমি অবশ্যই আসব।
তিনি আরও বলেন, এখন আমি অ্যাডিলেডে আছি। কোথাও কোচিং করাচ্ছি না। ঢাকায় ফেরার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু সেখান থেকে কোনো প্রস্তাব আসেনি এখনও পর্যন্ত। তবে দুর্জয়ের (নাইমুর রহমান দুর্জয়) সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি।
২০০৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ছিলেন সিডন্স। লম্বা বিরতির পর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে ফেরেন তিনি। দুই বছরের জন্য সিডন্সকে ব্যাটিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয় বিসিবি।
দ্বিতীয় দফায় বছর খানেক জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করেন তিনি। বাকি সময় জাতীয় দলের আশপাশে থাকা ‘এ’ দল ও বাংলাদেশ টাইগার্সের সঙ্গে কাজ করেছেন। তবে চুক্তির মেয়াদ শেষে তা আর নবায়ন করেনি বিসিবি।
দুই দফায় বিসিবির সঙ্গে কাজ করেছেন সিডন্স। সেই সুবাদে বাংলাদেশের কন্ডিশন, উইকেট, ক্রিকেটের ধরন কিংবা ক্রিকেটারদের সামর্থ্য সবই জানা তার। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে এইচপির সঙ্গে কাজ করে গেছেন বলে অনেক তরুণ ক্রিকেটারের সঙ্গে পরিচয় আছে তার। সবমিলিয়ে এখানে কাজ করাটা বেশ উপভোগ করেন এই অজি।
বাংলাদেশে কাজ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি এই দেশটার সঙ্গে পরিচিত। আর জানি আমাকে দেশের মানুষ স্বাগত জানাবে। আমি এও জানি খেলোয়াড়দের কি দরকার আর প্রতিবারই তরুণদের সঙ্গে কাজ করে অনেক সাফল্য পেয়েছি। ওখানে আমার অনেক বন্ধু আছে, আর আমি বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে চিন্তা করি।
মন্তব্য করুন