বিশ্বকাপে অচেনা মাঠে লড়াই করবে বাংলাদেশ
দিন ঘুরলেই পর্দা উঠবে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। যেখানে গ্রুপ ‘ডি’তে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, নেপাল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডস। গ্রুপ পর্বের এই চারটি ম্যাচ, বাংলাদেশ খেলবে মোট তিনটি ভেন্যুতে। যার দুটি নিয়ে, কোনো দলেরই নেই পূর্ব অভিজ্ঞতা।
টাইগারদের শিরোপা মিশন শুরু হবে ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে। সব দেশের জন্যই মাঠটা অপরিচিত। ২০০৯ সালে তৈরি হওয়া স্টেডিয়ামটিতে, ২০১৯ সাল পর্যন্ত খেলা হয়েছে বেসবল। মেজর লিগ ক্রিকেটের সবশেষ আসরে, বেশ কয়েকটি ম্যাচে এসেছে ১৮০ ছাড়ানো ইনিংস। ফলে মাঠটির উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হওয়ার দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। ডালাসের আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, এই ম্যাচে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম।
শান্ত বাহিনীর পরের ম্যাচটি হবে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে। তিন মাস আগেও এই স্টেডিয়ামের কোনো অস্তিত্বই ছিল না। ফলে এই মাঠ নিয়ে কোনো দলের ধারণা থাকার প্রশ্নই আসে না। ইসেনহাওয়ার পার্ককে রূপ দেওয়া হয়েছে ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। যার পিচ তৈরি করা হয়েছে ফ্লোরিডায়। তাই এখানকার উইকেটের আচরণ নিয়ে, প্রতিটা দলকেই থাকতে হবে অন্ধকারে।
অবশ্য ১০ তারিখ বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াইয়ের আগে, এ মাঠে ভারত-পাকিস্তানসহ পাঁচটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ফলে সাকিব-রিয়াদরা অন্তত কিছুটা ধারণা নিয়ে, মাঠে নামার সুযোগ পাবে। নিউইয়র্কের আবহাওয়ার তথ্য অনুযায়ী, ম্যাচটি বৃষ্টির বাগড়ায় পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশের পরের দুটি ম্যাচ হবে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংস্টাউনের সেন্ট ভিনসেন্টে। বাংলাদেশ সবশেষ এই মাঠে খেলেছিল ২০১৪ সালে। এরপর এ মাঠে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচই হয়নি। এমনকি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ভেন্যু তালিকায়ও ছিল না এ মাঠ। তাই পূর্ব অভিজ্ঞতাই কাজে লাগাতে হবে লাল-সবুজদের।
কিংস্টাউনে ১৩ জুন নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে টাইগাররা। আর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে, ১৭ জুন নেপালের বিপক্ষে একই ভেন্যুতে নামবে। দুটি ম্যাচের দিনই আকাশ হালকা মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন