যেসব তারকা ক্রিকেটারের বিদায়ের মঞ্চ হতে পারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
টি-টোয়েন্টি মানেই ব্যাটে-বলে উত্তাপ ছড়ানো। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশ্বমঞ্চে উত্তাপ ছড়াতে, তরুণ ক্রিকেটারদের ওপরই ভরসা রাখে দলগুলো। তবে এর মাঝেও বুড়ো হাড়ের ভেলকি দেখাতে মুখিয়ে রয়েছেন, বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার।
লাল-সবুজ জার্সিতে এবারের বিশ্বকাপটি শেষ আসর হতে পারে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব একমাত্র বাংলাদেশি ক্রিকেটার, যিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসর থেকে টাইগারদের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
৩৭ বছরের সীমানা পেরোনো মিস্টার ৭৫, ৩৬ ইনিংসে ৪৭ উইকেট নিয়ে অবস্থান করছেন, সীমিত ওভারের বিশ্ব আসরের উইকেট শিকারির তালিকায় সবার শীর্ষে। ব্যাট হাতে করেছেন ৭৪২ রান। এবারের আসর থেকে টি-টোয়েন্টির আন্তর্জাতিক অধ্যায়ের ইতি টানতে পারেন এই অলরাউন্ডার।
টাইগারদের টি-টোয়েন্টি দলের সবচেয়ে প্রবীণ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অভিষেক হলেও, ৩৮ বছর বয়সী এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার খেলেছেন মাত্র ২৬ ম্যাচ। যেখানে ব্যাট হাতে তার সংগ্রহ ৩৬৩ রান, আর বল হাতে নিয়েছেন ৮ উইকেট। সাইলেন্ট কিলারখ্যাত এই অলরাউন্ডারের টি-টোয়েন্টি ব্যাটের ঝলক, বিশ্বকাপের পর হয়তো আর দেখা যাবে না।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরমেটের অন্যতম সফল খেলোয়াড় ভারতের ৩৭ বছর বয়সী অধিনায়ক রোহিত শর্মা, ৩৫ বছর বয়সী বিরাট কোহলি ও রবীন্দ্র জাদেজার জন্যও এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হতে পারে শেষ আসর।
বর্তমান বিশ্বকাপ জয়ী ইংল্যান্ডের ৩৬ বছর বয়সী অলরাউন্ডার মঈন আলী ও অস্ট্রেলিয়ার ৩৮ বছরের ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারও রয়েছেন টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানানো সম্ভাব্য তালিকায়।
এবারের বিশ্বকাপই হতে পারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের শেষ বিশ্বকাপ। যদিও অজিদের স্কোয়াডে তার থাকাই নিয়েই শঙ্কা ছিল।
জাতীয় দলে অনিয়মিত হলেও এবার বিশ্বআসর মাতাবেন টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা আন্দ্রে রাসেল। তবে বৈশ্বিক এই মহারণের পর ক্যারিবিয়ানদের জার্সিতে তাকে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা কম। বিশ্বমঞ্চের লড়াই দিয়ে বিদায় বলতে পারেন দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক-ডেভিড মিলার ও আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবিরাও।
মন্তব্য করুন