লজ্জার হারের পর বিশ্বকাপের সূচি নিয়ে অভিযোগ শ্রীলঙ্কার
বড় হারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে শ্রীলঙ্কা। এমনকি ম্যাচ শেষে দ্রুতই টিম হোটেলে ফেরে লঙ্কানরা। নিউইয়র্কে ম্যাচ শেষেই ডালাসের বিমান ধরেছে তারা।
চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চার ভেন্যুতে চারটি ম্যাচ খেলবে লঙ্কানরা। লঙ্কানরা বাদে শুধুই নেদারল্যান্ডসই আলাদা চারটি ভেন্যুতে চারটি ম্যাচ খেলবে।
অন্যদিকে নিউইয়র্কেই তিনটি করে ম্যাচ খেলবে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এমনকি স্টেডিয়ামের কাছেই হোটেল পেয়েছে দল দুটি। তবে মাঠ থেকে দেড় ঘণ্টার দূরত্বের এক হোটেলে শ্রীলঙ্কাকে উঠতে হয়। সব মিলিয়ে মাঠে যেতে ও মাঠ থেকে ফিরতে বেশ ভোগান্তিই পোহাতে হয় তাদের।
ম্যাচের আগেও ভুগেছে লঙ্কানরা। ফ্লাইট বিপর্যয়ের কারণে বিমানবন্দরে ৭ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় তাদের। সব কিছু বিবেচনায় এবার সূচি ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা-আইসিসির কাছে অভিযোগ জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
এ নিয়ে অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও স্পিনার মহীশ থিকশানার দাবি, সূচি ও লজিস্টিকাল অব্যবস্থাপনার শিকার তারা।
এ প্রসঙ্গে দলটির ম্যানেজার মাহিন্দ হালানগোদার মন্তব্য, আইসিসির কাছে এ নিয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছে শ্রীলঙ্কা দল।
প্রোটিয়াদের সঙ্গে ম্যাচের পর নিজেদের দুর্ভোগের কথাও জানিয়েছেন থিকশানা। তার ভাষ্যমতে, ‘আমাদের জন্য এটা অন্যায্য হয়ে গেছে। প্রতিটি ম্যাচের পরই আমাদের দৌড়াতে হবে। কারণ, চারটি ভিন্ন ভেন্যুতে খেলা পড়েছে আমাদের। এটা অন্যায়। ফ্লোরিডার মায়ামি থেকে ফ্লাইট ধরতে বিমানবন্দরে ৮ ঘণ্টার মতো অপেক্ষা করতে হলো। রাত ৮টার ফ্লাইট পেলাম ভোর ৫টায়। এটা অন্যায্য, তবে খেলায় এর প্রভাব পড়েনি।’
এদিকে দেরি হওয়ার কারণে ম্যাচের আগের অনুশীলনও বাতিল করেছিল তারা। এ প্রসঙ্গে থিকশানার মন্তব্য, ‘হোটেল থেকে অনুশীলনের ভেন্যু ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের পথ। আজ ম্যাচের দিনে তো ভোর ৫টায় উঠতে হয়েছে এখানে আসার জন্য।’
অন্যদিকে প্রোটিয়াদের সঙ্গে ৭৭ রানে অলআউট হওয়ার ম্যাচে ৬ উইকেটে হেরেছে লঙ্কানরা। তবে এর পেছনে অব্যবস্থাপনার কোনো ব্যাখ্যা দেননি লঙ্কান অধিনায়ক হাসারাঙ্গা।
তার (হাসারাঙ্গা) ভাষ্য, ‘আমরা এটি (পারফরম্যান্স) বলতে পারব না। গত কিছু দিন আমাদের কঠিন সময় ছিল। আমাদের চার ম্যাচ চারটি ভিন্ন ভেন্যুতে। এখানের (নিউইয়র্ক) কন্ডিশন সম্পর্কে আমরা জানতাম না। পরের ম্যাচ ডালাসে। সেখানের কিছুও জানি না। এরপর খেলব ফ্লোরিডায়। সেখানে দুটি (প্রস্তুতি) ম্যাচ খেলেছি। তো এটিই একমাত্র ইতিবাচক দিক।
মন্তব্য করুন