সমালোচনার মুখে ড্রপ-ইন পিচ বসানো নাসাউ স্টেডিয়াম
চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে গড়ে তোলা হয় নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম। তবে মাত্র দুই ম্যাচ পরই সমালোচনার শিকার হয়েছে স্টেডিয়ামটি। কারণ, আইসিসির ইভেন্ট গুলোতে যেমন পিচ হওয়া কথা ঠিক, তার উল্টোটা ঘটছে ড্রপ-ইন পিচ বসানো মাঠেটিতে।
বিশ্বকাপে ভারত-বাংলাদেশ প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে স্টেডিয়ামটি উদ্বোধন করা হয়েছিল। সেই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে রোহিতরা ভালো ব্যাটিং করলেও, পিচে দাঁড়াতে পারেননি শান্ত-লিটনরা।
এরপর গতকাল (৩ জুন) একই মাঠে খেলতে নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা। তারপর যা ঘটলো তাতে রীতিমতো সমালোচনার ঝড় উঠেছে। আগে ব্যাট করে প্রোটিয়াদের কাছে মাত্র ৭৭ রানে অলআউট হয় লঙ্কানরা। মামুলি লক্ষ্য দেখে মনে হচ্ছিলো, মাত্র ৫-৬ ওভারেই জয় তুলে নিবে শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন নিয়ে গড়া দক্ষিণ আফ্রিকা।
তবে এই সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে চার উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৭৮ রান তুলতে ক্লাসেন-মিলারদের খেলতে হয়েছে ১৬ ওভার ২ বল পর্যন্ত।
নাসাউ স্টেডিয়ামে ড্রপ-ইন পিচে মূলত পেসারদের সামনে ঠিকমতো দাঁড়াতেই পারছিলেন না ব্যাটাররা। অতিরিক্ত বাউন্সের কাছে খাবি খাচ্ছিলেন রীতিমত। তাছাড়া আউটফিল্ডও তেমন একটা দ্রুতগতির নয়। সবমিলিয়ে তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ আয়োজনেই সমালোচনার তোপের মুখে পড়েছে স্টেডিয়ামটি।
এমন পেস বান্ধব উইকেট যে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য আদর্শ নয়, ম্যাচ শেষে তা জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এইডেন মারক্রাম। তিনি বলেন, ব্যাটিংয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে এটা বেশ কঠিন উইকেট।
এ ছাড়াও সাবেক প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি এটিকে ‘স্পাইসি’(ঝাঁজাল) হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ভারতীয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে টুইটারে লিখেন, একটি নতুন দেশে ক্রিকেটকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার এটাই সেরা পন্থা কি না আমি নিশ্চিত নই।
মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে তৈরি স্টেডিয়ামটিতে ড্রপ-ইন পিচ বসানোর কাজটি করা হয়েছিল অ্যাডিলেড ওভালের প্রখ্যাত মাঠকর্মী ড্যামিয়েন হফের তত্ত্বাবধানে।
আগামী ৯ জুন এ মাঠেই মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। ঠিক পরের দিনই একই ভেন্যুতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন