বিশ্বকাপে উগান্ডার লজ্জার রেকর্ড
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবার খেলতে এসে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ে চমক দেখিয়েছিল উগান্ডা। গ্রুপ পর্বে নিজেদের পরের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে অন্তত লড়াই করবে, এমনটাই প্রত্যাশা করেছিলেন ক্রীড়াপ্রেমীরা। তবে লড়াইয়ের ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারেনি তারা। আকিল হোসেনের ফাইফারে স্রেফ উড়ে গেছে ব্রায়ান মাসাবার দল। উগান্ডাকে মাত্র ৩৯ রানে অল-আউট করে ১৩৪ রানের বড় জয় পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
রোববার (৯ জুন) প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে দলীয় নৈপুণ্যে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান তুলে স্বাগতিকরা। জবাবে ৪৮ বল বাকি থাকতে মাত্র ৩৯ রানেই গুটিয়ে যায় উগান্ডা। এতে টানা দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে ক্যারিবিয়ানরা।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রান পাহাড়ের নিচে চাপা পড়ে আফ্রিকান দেশটি। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ওপেনার রোজার মোসাকাকে ফেরান আকিল হোসেন।
এরপর বাকি ব্যাটাররাও ছিলেন যাওয়া-আসার মিছিলে। স্পিন ঘূর্ণিতে উগান্ডিয়ানদের দিশেহারা করে ফেলেন আকিল। তার স্পিন জাদুতে জুমা মিয়াগি (১৩) ছাড়া কেউই দুই অঙ্কের কোটা পেরোতে পারেননি। অন্য ব্যাটারদের রান সংখ্যা দিয়ে মোবাইল নম্বর সাজালে দাঁড়ায় ০৪৬৫১৩০১১০! সবশেষ ৩৯ রানেই থামে দলটি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে যাওয়ার রেকর্ড এটি। অবশ্য এই রেকর্ড উগান্ডার একার না। ২০২২ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৯ রানে অলআউট হয়েছিল নেদারল্যান্ডস। এবার লজ্জার এই রেকর্ডে ডাচদের পাশেই বসল উগান্ডা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১১ রান খরচায় ৫ উইকেট নেন আকিল হোসেন। এ ছাড়া আলজারি জোসেফ দুটি এবং রোমারিও শেফার্ড, আন্দ্রে রাসেল ও গুদাকেশ মোতি একটি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে ৪১ রানের জুটি গড়েন দুই ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং ও জনসন চার্লস। পঞ্চম ওভারে ৮ বলে ১৩ রান করে কিং বিদায় নিলে ভাঙে এই জুটি। এরপর দলীয় ৭৬ রানে পুরাণকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান অধিনায়ক ব্রায়ান মাসাবা।
এরপর হাত খুলে খেলার সুযোগই পাননি ক্যারিবীয় ব্যাটাররা। জনসন চার্লস ৪৪, রোভম্যান পাওয়েল ২৩ ও শেরফান রাদারফোর্ডকে ২২ রানে সাজঘরের পথ দেখায় মাসাবার দল। শেষ দিকে আন্দ্রে রাসেলের ১৭ বলে ৬ চারের ৩০ রানের ক্যামিওতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ১৭৩ রানে।
উগান্ডার হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন অধিনায়ক মাসাবা। এ ছাড়া আলপেশ রমজানি, কসমস ও দীনেশ নাকরানির শিকার একটি করে উইকেট।
মন্তব্য করুন