উজ্জীবিত ইংল্যান্ডের মুখোমুখি অপরাজিত স্পেন
ইংলিশ ফুটবলে মেধার অভাব কোনোকালেই ছিল না। কিন্তু ৬৪ বছর আর ১৬টি আসর পার হলেও, ইউরোর শিরোপা ছোঁয়া হয়নি থ্রি-লায়ন্সদের। শেষ আসরে প্রথমবারের মতো ফাইনালের বৃত্ত ভাঙলেও, ইতালির কাছে স্বপ্নভঙ্গ হয়, হ্যারি কেন-কাইল ওয়াকারদের। টানা দ্বিতীয়বারের ফাইনালে, সেই আক্ষেপ ঘোচাতে প্রতিজ্ঞ ইংল্যান্ড।
খুড়িয়ে এগোলেও সেমিফাইনালে নিজেদের সেরাটা বের করে আনে সাউথগেটের শিষ্যরা। যা খেলোয়াড়দের পাশাপাশি উজ্জীবিত করেছে ইংলিশ সমর্থকদেরও। জুড বেলিংহ্যামের অলরাউন্ড পারফর্মেন্সের সঙ্গে বুকায়ো সাকার উইং ভাঙার দক্ষতা, শাণিত করেছে ইংলিশদের আক্রমণের ধার। ফোডেনের প্লে-মেকিংয়ের সঙ্গে কব্বি মাইনোর বল সরবরাহ, থ্রি-লায়ন্সদের দিয়েছে গভীরতা।
গুয়েহি-ট্রিপিয়ার-লুক শোর ডিফেন্স, ফিজিক্যাল অ্যাডভানটেজ পাবে স্প্যানিশদের বিপক্ষে। টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠলেও, কিছুটা শঙ্কা রয়েছে গ্যারেথ সাউথগেটের ট্যাকটিকস নিয়ে। তবুও ইতিহাসে নতুন পাতা খোলার আশা ইংল্যান্ডের।
ইতিহাস গড়ার প্রত্যয় লা-রোজাদের চোখে-মুখেও। তিনটি শিরোপা জিতে জার্মানির সঙ্গে শীর্ষস্থান ভাগাভাগি করছে স্পেন। এবার এককভাবে সর্বোচ্চ আসনে বসার সুযোগ, দে লা ফুয়েন্তের শিষ্যদের। এ ছাড়া টানা ৭ জয়ের রেকর্ড তো থাকছেই।
ক্রোয়েশিয়াকে উড়িয়ে দিয়ে আসর শুরু করা স্পেন, ফাইনালের পথে হারিয়েছে জার্মানি-ফ্রান্সের মতো পরাশক্তিদের। রেকর্ড গড়েছে এক আসরে টানা ৬ জয়ের। সর্বোচ্চ ১৩ গোল ও ৯৬টি সুযোগ তৈরি, তুলে ধরে স্পেনের আক্রমণাত্মক ফুটবলের নজীর। দুই উইংয়ে ত্রাস ছড়ানো লামিনে ইয়ামাল ও নিকো উইলিয়ামসের সঙ্গে ড্যানিয়েল ওলমোর অলরাউন্ড পারফর্মেন্স, প্রতিপক্ষের মাথাব্যথার কারণ।
মাঝমাঠের কাণ্ডারি রদ্রি ও রুইজের খেলা নিয়ন্ত্রণ হতে পারে, ম্যাচের পার্থক্যকারী বিষয়। আর কারাভাহালের ফেরা আত্মবিশ্বাস বাড়াবে রক্ষণে। সেই সঙ্গে ডাগ আউটে, গেল বছর নেশন্স লিগজয়ী লুইস দে লা ফুয়েন্তের উপস্থিতি, স্পেনকে দিচ্ছে ফেভারিটের তকমা।
মন্তব্য করুন