বড় জয়ে সেমিফাইনালের আশা জিইয়ে রাখল বাংলাদেশ
পরাজয় দিয়েই চলমান নারী এশিয়া কাপ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগ্রেসরা। কিন্তু প্রথম ম্যাচে পরাজয়ের কারণে পয়েন্ট টেবিলে পিছিয়ে থাকায় সেমিফাইনালে ওঠা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবে সেমিফাইনাল নিশ্চিতের জটিল সমীকরণ মাথায় নিয়ে গ্রুপ পর্বে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে বড় জয় পেয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এতে সেমির আশা জিইয়ে রাখল নিগার সুলতানার দল।
বুধবার (২৪ জুলাই) ডাম্বুল স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মুর্শিদার ৫৯ বলে ৮০ এবং নিগার সুলতানা জ্যোতির ৩৭ বলে ৬২ রানে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯১ রানের রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৭৭ রানে থামে মালয়েশিয়ার ইনিংস।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে মালয়েশিয়া। ইনিংসের প্রথম ওভারে জাহানারা আলমের দ্বিতীয় ডেলিভারিতে দিলারার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আইনা হামিজাহ। রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন এই ওপেনার। অন্যপ্রান্তে রিতু মনির বলে ২৫ বলে ১১ রান করে ফেরেন আরেক ওপেনার ওয়ান জুলিয়া।
টাইগ্রেসদের বোলিং তোপে দাঁড়াতেই পারেনি মালয়েশিয়ার মেয়েরা। ওপেনার জুলিয়া ছাড়া কেবল এলসা হান্টার (২০) এবং ইজ্জাতি ইসমাইল (১৫) দুই অঙ্কের কোটা পেরোতে পেরেছিলেন। বাকিরা আসা-যাওয়ার মিছিলে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৭৭ রানে থামে মালয়েশিয়ার ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন নাহিদা। এ ছাড়া জাহানারা, জেসমিন, রিতু, রাবেয়া ও স্বর্ণা একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে, টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন দুই টাইগ্রেস ওপেনার দিলারা এবং মুর্শিদা। তাদের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লে'তে ৫১ রান তুলে বাংলাদেশ। তবে ফিফটির আগেই ফেরেন দিলারা। ২০ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন টাইগ্রেস এই ওপেনার।
এরপর অধিনায়ক নিগার সুলতানাকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট চালাতে থাকেন মুর্শিদা খাতুন। ৪৫ বলে ফিফটি তুলে নেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তবে সেঞ্চুরির খুব কাছে থেকে ফেরেন তিনি। ৫৯ বলে ৮০ রান করে ক্যাচ আউট হন তিনি।
শেষদিকে রুমানা আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন টাইগ্রেস অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত রুমানার ৬ এবং জ্যোতির অপরাজিত ৬২ রানে ভর করে ২ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রানের বড় পুঁজি পেয়েছিল বাংলাদেশ।
মালয়েশিয়ার হয়ে একটি করে উইকেট নেন ইজ্জাতি ইসমাইল এবং এলসা হান্টার।
মন্তব্য করুন