যেসব শহর এবং স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ আয়োজন করবে সৌদি আরব
আসন্ন ২০২৬ বিশ্বকাপ দিয়ে বদলে যাবে ফুটবল বিশ্বকাপের চেহারা। প্রথমবারের মতো ৪৮টা দল নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কানাডা, মেক্সিকো এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একই ফরম্যাটে ২০৩০ সালেও বিশ্ব ফুটবলের এই মহা আসরের আয়োজক তিন দেশ (মরক্কো, পর্তুগাল এবং স্পেন)। এদিকে ২০৩৪ সালে ৪৮ দল নিয়ে এককভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করার পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি আরব।
কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় একমাত্র দেশ হিসেবে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এই টুর্নামেন্টের এককভাবে আয়োজক হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব। এর আগে একমাত্র আয়োজক দেশ হিসেবে প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্যে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল কাতার। এবার দ্বিতীয় আরব দেশ হিসেবে সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে সৌদি আরব।
এবার টুর্নামেন্টটি আয়োজনের ভেন্যু কোথায় কোথায় হবে তা জানিয়েছে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম। ৪৮ দলের অংশগ্রহণে ২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ হবে ৫টি শহরের ১৫টি স্টেডিয়ামে, এর মধ্যে ৮টি হলো রাজধানীর রিয়াদে।
ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা শুরু করেছিল সৌদি আরব। বিশেষত ফুটবলে বিশাল বাণিজ্যের বাজার ধরতে তারা পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড খুলেছিল। তার অধীনে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও নেইমার জুনিয়রসহ ইউরোপ মাতানো অসংখ্য ফুটবলারকে নিজেদের ক্লাবে ভিড়িয়েছে সৌদি।
অবশেষে তাদের উদ্দেশ্য সফল হতে যাচ্ছে। এর আগে প্রথমে ২০৩০ বিশ্বকাপের বিড করার কথা ছিল সৌদির। এমন শোনা গেলেও তারা ২০৩৪ পুরুষ আসরের বিশ্বকাপের জন্য বিড ধরে। ওই বিডে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ২০৩৪ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে সৌদি আরব।
ফিফা কর্তৃক বিডের দলিল অনুযায়ী, সৌদি আরবের প্রস্তাবিত শহরগুলোর মধ্যে রিয়াদ ছাড়াও আছে জেদ্দা, আল খোবার, আবহা ও ৫০০ বিলিয়ন ডলার অর্থমূল্যের নতুন শহর নিওম। সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, রিয়াদেই থাকবে ৮টি স্টেডিয়াম।
এর মধ্যে একটি নতুনভাবে নির্মাণের অপেক্ষায় থাকা ‘কিং সালমান স্টেডিয়াম’। এ স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা থাকবে ৯২ হাজার। এখানেই হবে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ও ফাইনাল ম্যাচ।
মন্তব্য করুন