‘গ্যাংস্টার’ স্টাইলে রুপা জিতে ভাইরাল তুর্কি শুটার
পিস্তল হাতে নিলাম এবং শুট করে দিয়ে চলে আসলাম। এমন চিত্র দেখা যায় সাধারণত গ্যাংস্টার টাইপের সিনেমাগুলোতে। তবে এবার সিনেমাতে নয়, অলিম্পিকের মঞ্চে এমন দৃশ্য দেখতে পেলো দর্শকরা। ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের মিশ্র দলীয় ইভেন্টে এক হাত পকেটে ঢুকিয়ে আরেক হাত দিয়ে নিশানা ভেদ করেছেন তুরস্কের শুটার ইউসুফ দিকেচে।
ঘোলাটে ভাব দূর করার জন্য নেই কোনো গ্লাস, নেই বিশেষ কোনো লেন্স, শব্দ নিরোধকের জন্য নেই উচ্চমানের কোনো ইয়ারবাড। এমন আধুনিক সরঞ্জাম নিয়েই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন বর্তমান শুটাররা। কিন্তু ইউসুফ ভিন্ন ধাঁচে গড়া। তবে এসব ছাড়াই ৫১ বছর বয়সী এই শুটার যা করে দেখালেন তা নেট দুনিয়ায় রীতিমত ভাইরাল।
এক হাত পকেটে ঢুকিয়ে আরেক হাত দিয়ে নিশানা ভেদ করেন তিনি। এভাবেই ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের মিশ্র দলীয় ইভেন্টে রৌপ্যপদক নিশ্চিত করেন এই শুটার। যেখানে তার সঙ্গী ছিলেন সেভাল ইলাইদা তারহান। অলিম্পিকে শুটিংয়ে এটাই তুরস্কের ইতিহাসে প্রথম পদক।
তবে সব কিছু ছাড়িয়ে আলোচনায় এসেছেন ইউসুফ। শুট করার সময় তার পোজ (দাঁড়ানোর ভঙ্গিমা) নিয়ে একের পর এক মিম বানানো হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
তুর্কিশ রেডিও গলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউসুফ বলেন, আমি সহজাত শুটার। বেশিরভাগ শুটার যেখানে এক চোখ দিয়ে শুট করে৷ সেখানে আমি দুই চোখে শুট করি। তাই আমার ওইসব সরঞ্জামের প্রয়োজন লাগে না। দুই চোখ দিয়ে শুট করাই ভালো বলে বিশ্বাস করি আমি। এনিয়ে প্রচুর গবেষণাও করেছি, তাই আমার সরঞ্জামের প্রয়োজন নেই।
‘পকেটে হাত দিয়ে শুটিংয়ের সঙ্গে শৈল্পিকতার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি এভাবে শুটিংয়ের ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্য ও অনুপ্রাণিত বোধ করি। শরীরকে ভারসাম্যে রাখা, ফোকাস ও মনোযোগ ধরে রাখার জন্যই আসলে আমি এভাবেই দাঁড়িয়ে থাকি।’
মিলিটারি পেশায় থাকার সময় ২০০১ সালে শুটিং ক্যারিয়ার শুরু করেন ইউসুফ। তুরস্কের জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার পর একের পর এক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছেন তিনি। ২০০৮ সাল থেকে অংশ নিয়েছেন প্রতিটি অলিম্পিকে। ১৬ বছর পর এসে পেলেন প্রথম পদকের দেখা।
মন্তব্য করুন