অলিম্পিক ফুটবল
৩২ বছর পর স্পেনের ছেলেদের স্বর্ণ জয়
যেন আরেকটি স্বর্ণযুগে পা দিয়েছে স্প্যানিশ ফুটবল। মাত্রই কদিন আগে ইংল্যান্ডকে আক্ষেপে ডুবিয়ে ইউরোর শিরোপা জিতলো স্পেন। এবার ফ্রান্সকে তাদেরই মাটিতে হারিয়ে প্যারিস অলিম্পিক ফুটবলের স্বর্ণও জিতে নিলো তারা। ৫–৩ গোলের এই জয়ে ৩২ বছরের স্বর্ণখরা কাটালো স্পেনের গোল্ডেন জেনারেশন।
অলিম্পিক ফুটবলের ফাইনাল ঘিরে প্যারিসের পার্ক দ্য প্রিন্সেসের গ্যালারি ছিল কানায় কানায় ভর্তি। জমজমাট এক লড়াই দেখায় আশায় গোটা ফুটবল দুনিয়ার চোখ ছিল এ ম্যাচটার দিকে। আশাহত হতে হয়নি দর্শকদের, বিশ্ব ফুটবলের দুই পরাশক্তির দ্বৈরথটা হলো বেশ জমজমাট। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হয় ৩–৩ সমতায় ছিল। তাই খেলা গড়ালো অতিরিক্ত সময়ে। আর সেই অতিরিক্ত সময়ে জোড়া গোল করে স্প্যানিশদের ৩২ বছরের অপেক্ষায় ইতি টানেন সের্হিও কামেয়ো।
ম্যাচের শুরুতেই আনন্দে ভাসে স্বাগতিকরা। ম্যাচের ১১তম মিনিটে স্প্যানিশ রক্ষণের এক ভুলের সুযোগে ফ্রান্সকে প্রথম লিড এনে দেয় এনজো মিলট। তবে ম্যাচে ফিরতে খুব বেশি সময় নেয়নি স্পেনের ছেলেরা। গোল হজমের ৭ মিনিট বাদেই সমতা এনে দেন ফারমিন লোপেজ।
২৫তম মিনিটে এই লোপেজই স্পেনকে এনে দেন লিড। ৩ মিনিট না যেতেই ফ্রি-কিক থেকে দারুণ আরেকটি গোল ব্যবধান বাড়ান অ্যালেক্স বায়েনা। ৩-১ গোলে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে স্পেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ম্যাচে ফিরতে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে ফ্রান্সের ছেলেরা। শেষ পর্যন্ত ৭৯ মিনিটে এসে ফল পায় স্বাগতিকরা। মাগনেস আকলিওচের গোলে ব্যবধান তখন ৩-২। এরপর ম্যাচের যোগ করা সময়ে পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। স্পটকিক থেকে সমতায় ফেরার সুযোগটি মিস করেননি জেন ফিলিপি মাতেতা।
৩-৩ গোলের সমতায় শেষ হয় নির্ধারিত ৯০ মিনিট। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেই অতিরিক্ত সময়েই ম্যাচের চিত্রপট পাল্টে দেয় বদলি হিসেবে নামা সের্হিও কামেয়ো। জোড়া গোল করে স্প্যানিশ এই ফরোয়ার্ড দলকে এনে দেয় স্বর্ণ জয়ের স্বাদ। শেষ পর্যন্ত ৫-৩ গোলের জয় পায় স্পেন।
ছেলেদের অলিম্পিক ফুটবল ইতিহাসে এখন এটাই সবচেয়ে বেশি গোলের (৮) ফাইনাল। এতদিন সর্বোচ্চ গোলের ফাইনাল ছিল ৬ গোলের। সেটাও এক শতাব্দি আগের রেকর্ড। ১৯১২ স্টকহোম অলিম্পিকের ফাইনালে ডেনমার্ককে ৪–২ গোলে হারিয়েছিল সেবার স্বর্ণপদক জিতেছিল গ্রেট ব্রিটেন।
৫ গোল করে স্পেনও গড়েছে অনন্য কীর্তি। অলিম্পিক ফুটবলে ছেলেদের ফাইনালে এর আগে কোনো দল এত গোল করতে পারেনি।
মন্তব্য করুন