সাকিবের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, পাশে দাঁড়ালেন সতীর্থ ক্রিকেটাররা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের গুলিতে অনেকেই নিহত হয়েছেন। শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর সেই নিহতদের হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাসহ জড়িত ব্যক্তিদের। সেই তালিকায় রয়েছেন দেশসেরা ক্রিকেটার এবং সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের নামও। তাই হুমকির মুখে পড়েছে সাকিবের ক্রিকেট ক্যারিয়ার।
জাতীয় দল থেকে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারকে অপসারণ করতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে হত্যা মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বলা হয়েছে নোটিশে। এমন দুঃসময়ে সাকিবের পাশে দাঁড়িয়েছেন জাতীয় দলের সতীর্থ ক্রিকেটাররা।
সাকিবের বিরুদ্ধে এই হত্যা মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট দিয়েছেন রুবেল হোসেন, এনামুল হক বিজয় এবং শরিফুল ইসলাম
রুবেল হোসেন তার ফেসবুক এক পোস্টে লিখেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচাইতে অভাগা একজন রাজনীতিবিদ যার ৬/৭ মাস রাজনীতির ক্যারিয়ারে পাঁচ মাসের মতোই ছিলেন দেশের বাইরে। আপনি সংসদ সদস্য হয়ে কিছু পাওয়ার চেয়ে হারিয়েছেন অনেক কিছু। বাংলাদেশের সমস্ত ক্রিকেটার আপনার পাশে আছে, সাকিব ক্রিকেটেই সুন্দর রাজনীতিতে নয়।
এদিকে সাকিবকে নির্দোষ দাবি করে বিজয় লিখেছেন, সাকিব ভাই, বাংলাদেশের ক্রিকেটে আপনার অবদান অনস্বীকার্য। বিশ্ব মানচিত্রে আপনি বাংলাদেশ ক্রিকেটকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। আপনার সঙ্গে আমরা সবাই আছি। ইনশাআল্লাহ এই আঁধার কেটে যাবে। খুব জোর গলায় বলছি আপনি নির্দোষ। আল্লাহ আপনার ভালো করুক।
অন্যদিকে বড় ভাইয়ের এই দুঃসময়ে চুপ থাকতে পারেননি পেসার শরিফুল ইসলামও। সাকিবের সঙ্গে দুটি ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, সবসময়ই ভালোবাসার আরেক নাম সাকিব আল হাসান আছে থাকবে।
এ ছাড়া সাব্বির রহমান লিখেছেন, সাকিব আল হাসান যার জন্য বিশ্ব ক্রিকেট বাংলাদেশকে চেনে। শ্রদ্ধা ভালোবাসা থাকবে সব সময়।
মামলাটিতে ২৮ নম্বর আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ককে। মামলার এজাহারে বলা হয়, তাদের নির্দেশেই গুলি করে হত্যা করা হয় ছাত্র জনতার আন্দোলনে অংশ নেওয়া রুবেলকে।
মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করে বলেন, গত ৫ আগস্ট রুবেল আদাবরের রিংরোডে প্রতিবাদী মিছিলে অংশ নেয়। এ সময় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশ, প্ররোচনা, সাহায্য, সহযোগিতা ও প্রত্যক্ষ মদদে কেউ মিছিলে গুলি ছোড়ে। বুকে ও পেটে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রুবেলকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট মারা যান।
মন্তব্য করুন