বিপিএলে নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে আশরাফুলকে
বাংলাদেশ ক্রিকেটে পোস্টারবয় বলা হয় সাকিব আল হাসানকে। যা সকলেই অবগত, কিন্তু অনেকেই জানেন না দেশের ক্রিকেটের প্রথম সুপারস্টারের নাম। তিনি হলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। যার হাত ধরে প্রথমবার বিশ্ব মঞ্চে দাপট দেখাতে শুরু করেছিল টাইগাররা। কিন্তু ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে অল্প বয়সেই ক্যারিয়ার শেষ হয়েছে এই তারকার।
তবে দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ক্লাব ক্রিকেটেও ফিরেছিলেন তিনি। স্বপ্ন ছিল আবার জাতীয় দলে ফেরার। তবে সেই স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি। তাই এবার নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে এই সাবেক ক্রিকেটারকে। আসন্ন বিপিএলে কোচের দায়িত্ব পালন করতে পারেন তিনি। সম্প্রতি ক্রিকেটভিত্তিক একটি ওয়েবসাইটকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশরাফুল নিজেই।
বিপিএলে কোচের দায়িত্ব পালন প্রসঙ্গে আশরাফুল বলেন, কয়েকটা দলের সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে কথা হয়েছে। গত বছরও আমার করার কথা ছিল, তবে শেষমেশ তা আর হয়নি। এরপর একটি বেসরকারি চ্যানেলের হয়ে পুরো আসরে অ্যানালিস্ট হিসেবে কাজ করেছি। এবারও ইচ্ছে আছে কাজ করার, কথা হচ্ছে। খুব সম্ভাবনা আছে এবার বিপিএলে কোচ হিসেবে কাজ করব। রংপুর রাইডার্সই হতে পারে ইনশাল্লাহ।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নিয়ে দেশের ক্রিকেটারদের মাইন্ডসেট পরিবর্তন নিয়ে কাজ করবে আশরাফুল। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যত জায়গায় কাজ করেছি তরুণদের সাথে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নিয়ে তাদের চিন্তাটা একদম ভিন্ন। সেই জায়গা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে টেকনিক অতটা গুরুত্বপূর্ণ না, এটা তারা মনে করে। কিন্তু বেসিক শক্তিশালী হলে আপনি যেকোনো ফরম্যাটে খেলতে পারবেন।’
যদিও টেস্ট ক্রিকেটকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন আশরাফুল, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আপনাকে যদি সারভাইভ করতে হয় তাহলে বেসিক শক্তিশালী না হলে সেটা বেশ কঠিন। এখনকার তরুণ ক্রিকেটারদের প্রধান খেলা হওয়া উচিত টেস্ট ক্রিকেট। ওই বেসটা যদি আপনি স্ট্রং করতে পারেন তাহলে আপনি সব ফরম্যাটে খেলতে পারবেন।
২০০১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জার্সিতে ৬১ টেস্ট, ১৭৭ ওয়ানডে ও ২৩ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। রান করেছেন যথাক্রমে ২৭৩৭, ৩৪৬৮ ও ৪৫০। ৯টি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির মালিক মোহাম্মদ আশরাফুলের নামের পাশে আছে ৪৭ আন্তর্জাতিক উইকেটও।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেইআইসিসি লেভেল থ্রি কোচিং সার্টিফিকেট পেয়েছেন আশরাফুল। কোচিংয়ের প্রতি তার আগ্রহ এবং ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা প্রয়োগ করার আকাঙ্ক্ষা থেকেই তিনি আইসিসির লেভেল–৩ কোচিং কোর্সে অংশগ্রহণ করেন।
এই কোর্সটি ক্রিকেটের টেকনিক্যাল, ট্যাকটিক্যাল, এবং মানসিক দিকগুলোর ওপর জোর দেয় এবং একজন কোচকে আরও পেশাদারভাবে তার দল পরিচালনা করার যোগ্যতা প্রদান করে। আশরাফুল এখন কেবলমাত্র বাংলাদেশের ক্রিকেটারদেরই নয়, বিশ্বের অন্যান্য প্রতিভাবান ক্রিকেটারদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন।
আরটিভি/ এমএসআর
মন্তব্য করুন