দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশের প্রাপ্তি ২ উইকেট, ছুটছে প্রোটিয়ারা
মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশকে ১০৬ রানে অলআউট করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে না পারলেও স্বস্তি নিয়ে চা বিরতিতে গেছে প্রোটিয়ারা।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সফরকারীদের। মাত্র ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন এইডেন মারক্রাম। ২৭ বলে ২৩ রান করে তারে দেখানো পথে হাঁটেন ক্রিস্টান স্টাবস। এরপর ডেভিডকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন টনি ডে জর্জি।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে রান তুলেছে ৬৫ দক্ষিণ আফ্রিকা। টনি ডে জর্জি ১৬ রান এবং ডেভিড ৯ রানে অপরাজিত রয়েছেন। এতে বাংলাদেশের থেকে ৪১ রানে পিছিয়ে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সোমবার (২১ অক্টোবর) শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেই ব্যর্থতার আভাস দেন শান্তরা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ৪ বল খেলে ০ রান করে আউট হয়ে যান ওপেনার সাদমান ইসলাম। দলীয় ৬ রানে প্রোটিয়া পেসার ওয়ান মুলদারের বলে দ্বিতীয় স্লিপে এইডেন মার্করামের হাতে ক্যাচ হন তিনি।
এক ওভার পরেই ৬ বলে মাত্র ৪ রান করে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন মুমিনুল হকও। দলের বিপর্যয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত এসে থিতু হতে চাইলেও তিনি হতাশ করেছেন। নিরীহদর্শন বলে কেশব মহারাজের কাছে সহজ ক্যাচ দিনে ব্যক্তিগত ৭ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি মুশফিকুর রহিমও। ২০ বলে ১১ রান করে রাবাদার বলে বোল্ড হন তিনি। ১৩ বলে ১ রান করে তাকে সঙ্গ দেন লিটন কুমার দাস। এতে দলীয় ৪৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ।
এরপর জয়কে সঙ্গে নিয়ে টাইগার শিবিরে হাল ধরার চেষ্টা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ২৪ বলে ১৩ রান করে আউট হন এই ডানহাতি ব্যাটার। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখেছেন ওপেনার জয়। লাঞ্চ বিরতির পিচে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি তিনি। ৯৭ বলে ৩০ রান করে বোল্ড আউট হন জয়ও।
এদিন নিজের অভিষেক রাঙাতে পারেননি জাকের আলী। ১৫ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর নাঈম হাসানকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন তাইজুল ইসলাম। দুজনের ব্যাটে ভর করে ১০০ রানের কোটা পার করে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত নাঈম হাসান (৮) এবং তাইজুল ইসলাম ১৬ রানে আউট হলে মাত্র ১০৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
আরটিভি/এসআর
মন্তব্য করুন