নেশন্স লিগ
ইসরায়েলের বিপক্ষে ড্র করেও শেষ আটে ফ্রান্স
নেশন্স লিগের ম্যাচে ঘরের মাঠে ইসরায়েলের মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রান্স। তবে পরিসংখ্যানে যোজন যোজন পিছিয়ে থাকা দলটির বিপক্ষে জয় তুলতে ব্যর্থ হয়েছে ফরাসিরা। প্রতিপক্ষের মাঠে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়েছে ইসরায়েল। শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তারা। ইসরায়েলের বিপক্ষে জয় না পেলেও নেশন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালের টিকেট পেয়েছে ফ্রান্স।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাতে প্যারিসে আক্রমণভাগের দুই তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে ও উসমান দেম্বেলে দলে না থাকলেও, ঘরের মাঠের ম্যাচে আক্রমণে ঘাটতি ছিল না ফ্রান্সের। কিন্তু গোলের জন্য নেওয়া ২৪ শটের আটটি লক্ষ্যে রেখেও একটিও জালে পাঠাতে পারেনি স্বাগতিকরা।
শক্তিতে প্রতিপক্ষ দুর্বল হলেও, নিজেদের গুছিয়ে নিতে একটু সময় নেয় ফ্রান্স। ১৯তম মিনিটে প্রথম পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারে তারা, তবে হন্দাল কোলো মুয়ানির হেড রুখে দেন ইসরায়েল গোলরক্ষক। দুই মিনিটের মাথায় আরেকটি দারুণ সুযোগ পায় ফরাসিরা।
এমবাপ্পের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নামা এনগোলো কঁতের কোনাকুনি শটও ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। রক্ষণভাগ সামলানোর ব্যস্ততার মাঝেই ৩৫তম মিনিটে চমকে দিতে পারত ইসরায়েল। সেট পিসে সতীর্থের হেড হয়ে ছয় গজ বক্সে বল পান তুর্গেমান, কিন্তু বলে পা ছোঁয়াতেই পারেননি এই ডিফেন্ডার।
দ্বিতীয়ার্ধেও একইভাবে এগোতে থাকে ম্যাচ। প্রতিপক্ষের ওপর চাপ ধরে রাখলেও জালের দেখা পাচ্ছিল না দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ৬৭তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার নেওয়া শট রুখে দেন গোলরক্ষক। ৭৬তম মিনিটে গোলরক্ষকের নৈপুণ্যে ফের বেঁচে যায় ইসরায়েল।
পিএসজির মিডফিল্ডার ওয়ারেন জাইরে-এমেরির শট ঝাঁপিয়ে আটকান দানিয়েল পেরেৎস। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে নায়ক হয়ে ওঠার সুযোগ পেয়েছিলেন মিনিট বিশেক আগে বদলি নামা ক্রিস্তোফা এনকুনকু। কিন্তু তার শট আরেকবার দুর্দান্ত সেভে রুখে দিয়ে নায়ক হয়ে ওঠেন পেরেস। শেষ পর্যন্ত ড্র করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে ফ্রান্সকে।
পাঁচ ম্যাচে তিন জয় ও এক ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে থাকায় কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে ফ্রান্সের। দিনের আরেক ম্যাচে বেলজিয়ামকে ১-০ গোলে হারিয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে ইতালি। শেষ রাউন্ডে ইতালি ও ফ্রান্সের মুখোমুখি লড়াইয়ে নিশ্চিত হবে গ্রুপ সেরা।
আরটিভি/ এসআর
মন্তব্য করুন