যেসব ‘অপরাধে’ নিষিদ্ধ হলেন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক আকবর আলী
জাতীয় ক্রিকেট লিগের দল রংপুর বিভাগের অধিনায়ক আকবর আলীকে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দুটি অপরাধে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের ম্যাচ ফির ৯৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) আহমেদ আকবরের শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত বরিশাল ও রংপুর বিভাগের সর্বশেষ ম্যাচের ম্যাচ রেফারি আখতার বলেন, মাঠে অখেলোয়াড়োচিত আচরণের জন্য আকবর আলীকে এই শাস্তি দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া এনসিএলের টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, ফিল্ডিং করার সময় সে (আকবর) আম্পায়ারের সঙ্গে উগ্র মেজাজ দেখান। এরপর আবার আউটের হতাশায় ব্যাট দিয়ে চেয়ার ভাঙেন।
ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে বরিশাল-রংপুরের ম্যাচে ফিল্ডিংয়ের সময় আম্পায়ারের সঙ্গে লম্বা সময় ধরে তর্ক করেন আকবর। তার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত আবেদনেরও অভিযোগ ছিল। ম্যাচের তৃতীয় দিনের এ ঘটনায় তাকে ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়, সঙ্গে দেয়া হয় ১টি ডিমেরিট পয়েন্ট।
এর মধ্যে ম্যাচের চতুর্থ দিন মধ্যাহ্ন বিরতির আগে কট বিহাইন্ডের আবেদনে সাড়া না দেয়ায় আবারও আম্পায়ারের সঙ্গে বাজে আচরণ করেন উইকেটকিপার আকবর। মধ্যাহ্ন বিরতির সময় ড্রেসিংরুমে ফিরে রেগেমেগে চেয়ারেও লাথি মারেন তিনি। তাতে একটি চেয়ার ভেঙে যায়।
চতুর্থ দিনের এ ঘটনায় আচরণবিধির লেভেল-২ ধারা ভাঙার অপরাধে আকবরকে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। সঙ্গে ম্যাচ ফির ৭৫ শতাংশ জরিমানা ও ৪টি ডিমেরিটও দেয়া হয়। সব মিলিয়ে এই এক ম্যাচে আকবরের জরিমানা ম্যাচ ফির ৯৫ শতাংশ। এ ছাড়া এক ম্যাচেই ৫টি ডিমেরিট পয়েন্ট পাওয়ায় জাতীয় লিগের নিয়ম অনুযায়ী দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধও হয়েছেন তিনি।
আকবরের এই শাস্তি রংপুরের জন্য বড় এক ধাক্কা হয়েই এসেছে। পাঁচ ম্যাচে দুটি জয় ও দুটি ড্রয়ের সৌজন্যে রংপুর ছিল জাতীয় লিগের পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে। শেষ দুই ম্যাচে ভালো করলে শীর্ষে থাকা সিলেটকে চ্যালেঞ্জ জানানোর সুযোগ ছিল আকবর আলীর দলের। কিন্তু তার ভুলে দলটিকে এখন অধিনায়ককে ছাড়াই খেলতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে আকবর আলীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তোলে। সবকিছু ঠিক থাকলে এনসিএল টি-টোয়েন্টি দিয়ে আবারো মাঠে ফিরতে পারেন আকবর আলী।
আরটিভি/কেএইচ
মন্তব্য করুন