বাংলাদেশ ইস্যুতে প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতীয় ক্লাবের বিবৃতি
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরই বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। সবশেষ এক সময়ের সন্ন্যাসী এবং বাংলাদেশের সম্মিলিত সনাতন জাগরণী মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের পর, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে ভারত।
তবে প্রতিবেশী দেশটির এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এর মধ্যেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে ভারত সরকার কথা বলুক, যেন সেখানে তারা শান্তিরক্ষী পাঠাতে পারে। আমাদের এ বিষয়ে অনুরোধ রইল।
এই ছাড়াও ত্রিপুরার আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশি সহকারী হাইকমিশনে হামলা চালিয়েছে উগ্রপন্থী ভারতীয়রা। এ সময় দূতাবাসে উড়ন্ত বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা হেনে হিঁচড়ে ছিঁড়ে ফেলা হয়। এরপরই উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো দেশ। যত দিন যাচ্ছে দুই দেশ সম্পর্ক ততই ঘোলাটে হচ্ছে।
এবার বাংলাদেশ ইস্যুতে বিবৃতি দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ফুটবল ক্লাব ইস্টবেঙ্গল। এই ক্লাবটির অধিকাংশ সমর্থকের ‘শিকড়’ বাংলাদেশে। তাই বাংলাদেশ থেকে অনেকে ক্লাবটির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলেও দাবি তাদের।
ইস্টবেঙ্গলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমাদের সমর্থকদের অধিকাংশেরই পূর্বপুরুষের শিকড় পূর্ববঙ্গ তথা বাংলাদেশে। আমাদের অনেক সমর্থকের পরিবার, আত্মীয়স্বজন দেশভাগের আগে-পরের সময়ে, ‘৬০-এর দশকের শেষের দিকে এবং ‘৭০-এর দশকের প্রথম দিকে এই ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
‘আমরা তাদের থেকে প্রচুর ফোন এবং মেইল পাচ্ছি, যেখানে তারা আমাদেরকে এই বিষয়টি যথাযথ জায়গায় উত্থাপন করার অনুরোধ জানিয়েছেন। এমন কী আমাদের সমর্থকরা যারা পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের অন্যান্য অঞ্চল থেকে এসেছেন তারাও বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
ক্লাবটির সচিব রূপক সাহার তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর এই ধরনের ব্যাপক নিপীড়ন বন্ধ হওয়া দরকার। আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করতে চাই যে তারা যেন দয়া করে এই সমস্যাটিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সীমান্তের ওপারে আমাদের মা, বোন ও ভাইদের বাঁচাতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, নব্বইয়ের দশকে কলকাতার ইস্ট বেঙ্গলের জার্সি গায়ে জড়িয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রয়াত কিংবদন্তি ফুটবলার মোনেম মুন্না। এ ছাড়ও ইস্ট বেঙ্গলে খেলেছিলেন শেখ মোহাম্মদ আসলাম, গোলাম গাউস, রিজভী করিম রুমির মতো ফুটবলাররা। সবশেষ ক্লাবটির নারী দলের হয়ে খেলেছেন সানজিদা আক্তার।
আরটিভি নিউজ/এসআর
মন্তব্য করুন