শিরোপা ধরে রাখা মিশনে টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ দল। যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারতকে পেয়েছে তারা। শিরোপা ধরে রাখার মিশনে মাঠে নামছে জুনিয়র টাইগাররা।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) টস জিতে আগে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত।
বাংলাদেশ একাদশ: জাওয়াদ আবরার, কালাম সিদ্দিকী, আজিজুল হাকিম তামিম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ শিহাব জেমস, ফরিদ হাসান ফয়সাল (উইকেটরক্ষক), দেবাশীষ দেবা, সামিউন বাসির রাতুল, মারুফ মৃধা, রিজান হোসেন, আল ফাহাদ ও ইকবাল হোসেন ইমন।
ভারত একাদশ: আয়ুশ মাত্রে, বৈভব সূর্যবংশী, আন্দ্রে সিদ্ধার্থ সি, মোহাম্মদ আমান (অধিনায়ক), কেপি কার্তিকেয়া, নিখিল কুমার, হরবংশ সিং (উইকেটরক্ষক), কিরণ চোরমলে, হার্দিক রাজ, চেতন শর্মা ও যুধাজিৎ গুহ।
আরটিভি/ এসআর
মন্তব্য করুন
গ্লোবাল সুপার লিগের প্রথম চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স
টানা দুই ম্যাচ হেরে গ্লোবাল সুপার লিগ টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল রংপুর রাইডার্স। কিন্তু দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ফাইনালে উঠেছিল তারা। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের জন্য সৌম্য-রিশাদদের জাতীয় দলে ডাক পড়ায় বিপাকে পড়েছিল রংপুর। ফাইনালে অংশগ্রহণ করা নিয়েই অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল।
সেই অনিশ্চয়তা কাটিয়ে উঠে ফাইনালেও বাজিমাত করেছে বসুন্ধরা গ্রুপের দলটি। ভিক্টোরিয়াকে ৫৬ রানের ব্যবধানে হারিয়ে টুর্নামেন্টের প্রথম শিরোপা ঘরে তুলেছে রংপুর রাইডার্স।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ফাইনালে আগে ব্যাট করতে নেমে ভিক্টোরিয়াকে ১৭৯ রানের লক্ষ্য দেয় রংপুর। জবাব দিতে নেমে ১১ বল হাতে থাকতে ১২২ রানে অলআউট হয় ভিক্টোরিয়া। এতে ৫৬ রানের জয় পায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা।
রংপুর রাইডার্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন হারমীত সিং। শেখ মাহেদী এবং সাইফ হাসান শিকার করেন দুটি করে উইকেট। এ ছাড়াও কামরুল হাসান এবং রিশাদ হোসেন নেন এক উইকেট।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রংপুরকে উড়ন্ত শুরু এনে দেন সৌম্য সরকার এবং স্টিভেন টেইলর। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ১২৪ রান। সৌম্য ৩৩ বলে এবং টেইলর ৪৪ বলে ফিফটি তুলে নেন।
৪৯ বলে ৬৮ রান করে টেইলর আউট হলেও ব্যাট চালাতে থাকেন সৌম্য। অপর প্রান্ত থেকে সাইফ হাসান ৬ এবং ম্যাদসেন ১০ রান করে আউট হন শেষ পর্যন্ত সৌম্যর অপরাজিত ৮৬ রানের ইনিংসে ভর করে ১৭৮ রানের বড় পুঁজি পায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা।
আরটিভি/এসআর
ভারতকে কাঁদিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জয় বাংলাদেশের
২০২৩ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে প্রথমবার এশিয়া কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তাই এবার শিরোপা ধরে রাখার মিশন নিয়ে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছিল জুনিয়র টাইগাররা। যেখানে পুরোপুরি সফল হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে ব্যাক টু ব্যাক শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) আগে ব্যাট করতে নেমে ভারতকে ১৯৯ রানের সহজ লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। জবাব দিতে ৩৫.১ ওভারে ১৩৯ রান তুলতে পারে ভারত। এতে ৫৯ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। মাত্র ১ রান করেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার কালাম সিদ্দিকী। ৬৫ বলে ২০ রান করে তাকে সঙ্গ দেন জাওয়াদ আবরার।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি আজিজুল হক তামিমও। মাত্র ১৬ রান করে ফেরেন এই টাইগার অধিনায়ক। রিজানকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন শিহাব জেমস। তবে ফিফটি তুলতে পারেননি দুজনের কেউই।
৬৭ বলে ৪০ রান করে ফেরেন শিহাব, ৩ বলে ১ রান করে তার দেখানো পথে হাঁটেন দেবাশীষ দেবাও। এরপর ৬৫ বলে ৪৭ রান করে রিজান আউট হলে দলীয় ১৫৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। সামিউন বসির ৪ এবং ১ রান করে উইকেট মিছিলে যোগ দেন আল ফাহাদ।
তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে থাকেন ফরিদ হাসান। তাকে সঙ্গ দেন মারুফ মৃধা। ৪৯তম ওভারে চতুর্থ বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন ফরিদ। ৪৯ বলে ৩৯ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
শেষ ওভারের প্রথম বলে ইকবাল (১) আউট হলে মারুফ মৃধার অপরাজিত ১১ রানে ভর করে ১৯৮ রানের লড়াকু পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
ভারতের হয়ে হার্দিক রাজ, যুধাজিৎ গুহ ও চেতন শর্মা দুটি করে উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও কিরণ চোরমলে, কেপি কার্তিকেয়া ও আয়ুশ মাত্রে একটি করে উইকেট শিকার করেন।
জবাবে ব্যাটিংয়ের শুরুটা খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি ভারত। ওপেনার আয়ুশ এক রানে ফাহাদের বলে আউট হলে, বৈভব সূর্যবংশী ৯ রান তুলে মারুফের বলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। দলীয় ৪৪ রানে ফেরেন সিদ্ধার্থ। এরপর ইমনের পরপর তিন শিকারে ভারতের স্কোর বোর্ডে ৬ উইকেটে ৮১ রান জমা হয়। তবে ক্রিজ আগলে খেলতে থাকেন অধিনায়ক মোহাম্মদ আম্মান। স্কোর বোর্ডে ৯২ রান যোগ করতে এবার ফাহাদের শিকারে আরও এক উইকেট হারায় ভারত।
এরপর অধিনায়কের সঙ্গী হন হার্দিক। রান বাড়তে থাকলে ভারতের ড্রেসিংরুমের আলোচনায়ও জয়ের বাতাস বইতে থাকে। তখন অধিনায়ককে ২৬ রানে থামিয়ে দেন টাইগার জুনিয়র লিডার তামিম। নিজের প্রথম ওভারেই থিতু হতে থাকা আম্মনকে আউট করেন। এরপর আর কেউ জুটি গড়তে না পারলে ১৩৯ রানে থেমে যায় ভারতের ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেনে ইকবাল হোসেন ইমন ও অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। ফাহাদ নেন ২টি উইকেট। একটি করে উইকেট পান রিজান হোসেন ও মারুফ মৃধা।
২৪ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরার খেতাব ও পুরো সিরিজে ১৩ উইকেট শিকার করে সিরিজ সেরার খেতাব বাংলাদেশের ইকবাল হোসেন ইমনের ঝুলিতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯: ৪৯.১ ওভারে ১৯৮ (রিজান ৪৭, জেমস ৪০, ফরিদ ৩৯, জাওয়াদ ২০, আজিজুল ১৬, মারুফ ১১; যুধজিৎ ২/২৯, হার্দিক ২/৪১, চেতন ২/৪৮)।
ভারত অনূর্ধ্ব-১৯: ৩৫.২ ওভারে ১৩৯ (আমান ২৬, হার্দিক ২৪, কার্তিকেয়া ২১, সিদ্ধার্থ ২০, চেতন ১০; আজিজুল ৩/৮, ইকবাল ৩/২৪, আল ফাহাদ ২/৩৪, রিজান ১/১৪, মারুফ ১/৩৬)।
ফল: বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ৫৬ রানে জয়ী।
ম্যান ব দা ম্যাচ: ইকবাল হোসেন ইমন।
আরটিভি/এমএম-টি
একদিনে তিন হারের সাক্ষী হলো ভারতীয় ক্রিকেট দল
ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকরা এক দুঃস্বপ্নের দিন পেল। এক দিনেই তিনটি হারের স্বাদ নিল ভারতীয় ক্রিকেট। অ্যাডিলেডে দিবারাত্রীর টেস্টে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হার দিয়ে শুরু করে দিনটি। পরে অজি মেয়েদের বিপক্ষে ওয়ানডেতে হারে ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল। সর্বশেষ দুবাইতে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশের কাছে হেরে বসে ভারতের যুবারা।
ভারতের কপাল পুড়েছিল অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে। টেস্টে আগের দিনই অনেকটা পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল ভারতের হার। আজ স্বাগতিক দলের বিপক্ষে ১০ উইকেটে হেরে যান রোহিত শর্মারা।
ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে স্টার্কের বোলিং তোপে ভারত গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ১৮০ রানে। ৪৮ রানে স্টার্ক একাই নেন ৬ উইকেট, যা টেস্টে তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ফিগার। পরবর্তীতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে জাসপ্রিত বুমরাহ’র বোলিং তোপে ১০৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে অস্ট্রেলিয়া।
পরে ৬৫ রানের জুটি গড়েন হেড ও মার্নাস লাবুশেন। ১২৬ বলে লাবুশেন ৬৪ রান করে আউট হলেও, হেড একপ্রান্ত আগলে রাখেন। শেষ পর্যন্ত ১৪১ বলে ১৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় তিনি ১৪০ রানে থামেন। অস্ট্রেলিয়া তোলে ৩৩৭ রান, এতে লিড দাঁড়ায় ১৫৭ রানের।
ব্যাটিংয়ে নেমে ১৫৭ রানের লিড টপকাতে পারেনি রোহিত-কোহলিরা। বলার মতো (৪২) রান করেছেন কেবল নিতীশ কুমার রেড্ডি। অবশ্য রেড্ডির সান্ত্বনাদায়ক ব্যাটিং না থাকলে, ইনিংস ব্যবধানে হারতে হতো ভারতকে। টেস্ট হারায় ভারত।
দ্বিতীয় দফায় ভারতীয় সমর্থকরা দুঃসংবাদটা পান সেই অস্ট্রেলিয়া থেকেই। মেয়েদের একদিনের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে ১২২ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আগে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ৩৭১ রানের পাহাড় গড়েছিল স্বাগতিক মেয়েরা। ভারতের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ২৪৯ রানে।
এদিকে ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এবারের যুব এশিয়া কাপ শুরু করেছিল হার দিয়ে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপপর্বে হেরে গিয়েছিল তারা। তারপর জাপান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে শেষ মুহূর্তে সেমিফাইনালে নিশ্চিত করে মোহাম্মদ আম্মানরা।
শ্রীলঙ্কাকে সেমিফাইনালে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশের। গতবারের এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে খেলতে নেমে হেরে গেছে ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দল। যুব এশিয়া কাপে ভারতের কাছেই বারবার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল বাংলাদেশের। ২০১৯ সালে বাংলাদেশকে হারিয়ে ট্রফি জিতেছিল ভারতের যুবারা। ২০২১ সালের আসরেও ভারতের কাছে হেরেই সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে।
এবার টুর্নামেন্টটির ফাইনালে ভারতকে প্রথম হারের স্বাদ দিলো বাংলাদেশ। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ৪৯.১ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে করতে পেরেছিল ১৯৮ রান। বাংলাদেশের পেসারদের দাপটে ভারত ৩৫.২ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে করতে পেরেছে ১৩৯ রানে।
আরটিভি/এমএম-টি
লিটন দাসকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড ঘোষণা
ইনজুরির কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজের দলে ছিলেন না নাজমুল হোসেন শান্ত। এবার টি-টোয়েন্টিতেও থাকছেন না শান্ত। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শেষে টাইগাররা তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) এই সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। যেখানে নেতৃত্বে থাকছেন লিটন দাস।
টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন তরুণ পেসার রিপন মন্ডল। এনসিএল টি-টোয়েন্টি খেলতে সিলেটে ছিলেন তিনি। এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্দেশ্যে বিমান ধরবেন এই পেসার। এ ছাড়া ফেরানো হয়েছে আফিফ হোসেনকেও।
তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে বাদ পড়েছেন আরেক পেসার শরিফুল ইসলাম। একইসঙ্গে উইন্ডিজ সিরিজ থেকে ছুটি নেওয়া মুস্তাফিজুর রহমানের জায়গায় তানজিম হাসান সাকিবকে নেওয়া হয়েছে।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৮ ও ২০ ডিসেম্বর হবে পরের দুই ম্যাচ। সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনে সবগুলো ম্যাচই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় ভোর ছয়টায়।
টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড: লিটন দাস, সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকের আলি, শামীম পাটোয়ারী, শেখ মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব, হাসান মাহমুদ, রিপন মন্ডল।
আরটিভি/এমএম/এস
সিলেটের বিপক্ষে ঝড় তুললেন তামিম
চলতি বছরের শুরুতে বিপিএলে ফরচুন বরিশালকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন তামিম ইকবাল। এরপর প্রায় ৯ মাস পর এনসিএল দিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ফিরেছেন দেশসেরা এই ওপেনার। তবে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১৩ রান করেছিলেন তিনি। প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে আলো ছড়িয়েছেন তামিম।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেট বিভাগের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল তামিমের চট্টগ্রাম। যেখানে ব্যাট হাতে ৩৩ বলে ৬৫ রানের মারকুটে ইনিংস খেলেছেন দেশসেরা এই ওপেনার।
এদিন জয়কে সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রামকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন তামিম। দুজনের ব্যাটে ভর করে মাত্র ৭ ওভারেই ৮০ রানের কোটা পার করেন চট্টগ্রাম। ১৭ বলে ২৯ রান করে জয় আউট হলেও ফিফটি তুলে নেন তামিম। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি ইয়াসির আলী চৌধুরী (১) এবং সাজ্জাদুল হক রিপন (৪)।
১১তম খালেদ আহমেদের বলে ক্যাচ আউট হন তামিম। ৮টি বাউন্ডারি এবং ৩টি ওভার বাউন্ডারিতে ৩৩ বলে ৬৫ রান করেন এই বাঁ-হাতি ওপেনার। এরপর মুমিনুল ৮ এবং সাব্বির হোসেন ১৫ রানে আউট হলে ছন্দ হারায় চট্টগ্রাম।
শেষ দিকে নাইম হাসান (৮), আহমেদ শারিফ (০) এবং হাসান মুরাদ ৩ রানে আউট হলে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় চট্টগ্রাম।
সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। এ ছাড়াও তোফায়েল আহমেদ দুটি, আবু জায়েদ রাহি এবং ইবাদত হোসেন একটি করে উইকেট শিকার করেন।
আরটিভি/ এসআর
অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ক্রিকেট / এশিয়া কাপের দল ঘোষণা করল বিসিবি
টি-টোয়েন্টি সংস্করণে প্রথমবারের মতো মাঠে গড়াতে যাচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপ। ছয় দলের অংশগ্রহণে আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে মালয়েশিয়ায় শুরু হবে এই টুর্নামেন্টটি। এ জন্য জাতীয় দলের তিন ক্রিকেটারকে নিয়ে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করল বিসিবি।
দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জাতীয় দলে অভিষেক হওয়া সুমাইয়া আক্তার। দলে তিনি ছাড়াও রয়েছেন আরও দুই জাতীয় দলে অভিষেক হওয়া ক্রিকেটার। নিশিতা আক্তার নিশি ও হাবিবা ইসলাম পিংকি। গত বছর পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় সুমাইয়ার। আর চলতি বছরেই ভারতের বিপক্ষে সিরিজে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় হাবিবার।
টুর্নামেন্টের সবগুলো ম্যাচ হবে কুয়ালালামপুরের বায়োইমাস ক্রিকেট ওভাল মাঠে। এশিয়া কাপের ‘বি’ গ্রুপে রয়েছে বাংলাদেশ। ১৬ ডিসেম্বর টুর্নামেন্টটির দ্বিতীয় দিন ইয়াং টাইগ্রেসদের প্রথম ম্যাচ। এ দিন শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে তারা। 'বি' গ্রুপে আরেক ম্যাচ মালয়েশিয়ার বিপক্ষে। দুটি ম্যাচই শুরু বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৭টায়।
দুইটি করে দল প্রতি গ্রুপ থেকে পাবে সুপার ফোরের টিকেট। সেরা দুই দলকে নিয়ে আগামী ২২ ডিসেম্বর হবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ।
বাংলাদেশ স্কোয়াড
সুমাইয়া আক্তার (অধিনায়ক), আফিয়া আসিমা ইরা (সহ-অধিনায়ক), মোসাম্মত ঈভা, ফাহমিদা ছোঁয়া, হাবিবা ইসলাম পিংকি, জুয়াইরিয়া ফেরদৌস, ফারিয়া আক্তার, ফারজানা ইয়াসমিন, আনিসা আক্তার সুবহা, সুমাইয়া আক্তার সুবর্ণা, নিশিতা আক্তার নিশি, আরভিন তানি, জান্নাতুল মাওয়া, সাদিয়া আক্তার, মেহেরুন নেসা।
আরটিভি/এমএম
বোলিংয়ে ত্রুটি, সাকিবকে নিষিদ্ধ করল ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড
বোলিং অ্যাকশন অবৈধ প্রমাণিত হওয়ায় সাকিব আল হাসানকে বরখাস্ত করেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ক্রিকইনফো’। তাতে জানানো হয়েছে, বোলিং অ্যাকশনে পাস না করা পর্যন্ত ইসিবি আয়োজিত কোনো প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবেন না সাকিব।
প্রায় ১৩ বছর পর গত সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডে কাউন্টি খেলতে গিয়েছিলেন সাকিব। সমারসেটের বিপক্ষে সারের হয়ে মাত্র একটি ম্যাচ খেলেন তিনি। সেই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট ও পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করেন সাকিব। তাতেই তার বোলিং নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আম্পায়াররা।
এরপর লিগ কর্তৃপক্ষ জানায়, ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেট বা কাউন্টিতে খেলতে হলে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় পাস করতে হবে সাকিবকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক যে, বাঁহাতি টাইগার অলরাউন্ডার সে পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি। লাফবরো ইউনিভার্সিটির ফল ঘোষণার পর ১০ ডিসেম্বর থেকেই সাকিবের বোলিং নিষিদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়ে গেল।
বোলিংয়ের অধিকার ফিরে পেতে সাকিবকে পুনরায় পরীক্ষা দিতে হবে। ক্রিকেটের নিয়ম অনুসারে, বোলিংয়ের সময় স্পিনাররা তাদের কনুই সর্বোচ্চ ১৪ ডিগ্রিতে ভাঙতে পারেন। সাকিবকেও প্রমাণ করতে হবে, তিনিও কনুই ১৪ ডিগ্রির কম ভেঙে বোলিং করতে পারেন।
পেশাদার ক্রিকেটে দীর্ঘ সময় পার করেছেন সাকিব আল হাসান। অলরাউন্ডারের তকমা লাগিয়ে জাতীয় দল ছাড়াও খেলেছেন বিশ্বের প্রথম সারির প্রায় সব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে। সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে ২০০৬ সালে। যেখানে এখন পর্যন্ত ৪৪৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন তিনি। শিকার করেছেন ৭১২ উইকেট।
আরটিভি/এমএম/এআর