ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রেকর্ড জয়ে সাউদিকে বিদায় জানাল নিউজিল্যান্ড
টিম সাউদির বিদায়ী টেস্ট বিষণ্ন হতে দিলেন না সতীর্থরা। রেকর্ড গড়া এক জয় উপহার দিয়েই সাউদিকে বিদায় জানিয়েছেন তারা। এতে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে শেষ করেছে কিউইরা।
সিরিজের শেষ টেস্টে ইংল্যান্ডকে ৪২৩ রানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড, যা ইংলিশদের বিপক্ষে ক্রিকেটের লঙ্গার ভার্সনে রান ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড ব্ল্যাক ক্যাপসদের। এর আগে, ২০১৫ সালে লিডসে ইংল্যান্ডকে সর্বোচ্চ ১৯৯ রানে হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড।
দ্বিতীয় দিনে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডকে ৬৫৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। বিশাল রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৮ রানেই দুই ওপেনারের উইকেট বিলিয়ে দিয়েছিল তারা। মিচেল স্যান্টনারের ঘূর্ণি আর ম্যাট হেনরি ও সাউদির পেসে দিশেহারাই হয়ে যায় থ্রি লায়ন্সরা।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় উইকেটে ১১৮ রানের জুটি করে লড়াইয়ের আভাস দেন জো রুট ও জ্যাকব বেথেল। ৬৪ বলে ৫৪ রান (১০ চারে) করে রুট আউট হলে আর দাঁড়াতেই পারেনি ইংল্যান্ড। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে সফরকারীরা।
হ্যারি ব্রুক ৬ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফেরত যান। ১৩ চার এক ছক্কার মারে ইনিংস সাজিয়েছেন জ্যাকব বেথেল। ৯৬ বলে ৭৬ রানে আউট হন তিনি। এরপর অলি পোপ ৩৬ বলে ১৭, গাস অ্যাটকিনসন ৪১ বলে ৪৩ ও ব্রাইডন কার্স ১২ বলে ১১ করেন। তৃতীয় দিন বল করতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়ায় ব্যাট করতে নামেন নি বেন স্টোকস। এতে ৪৭.২ ওভারে ২৩৪ রানে শেষ হয় ইংল্যান্ডের ইনিংস।
ক্যারিয়ারের শেষ দিনে আসল কাজটি করেন সাউদি। ক্রিজে থিতু হতে থাকা জ্যাকব বেথেলকে গ্লেন ফিলিপসের ক্যাচ বানিয়ে ইংল্যান্ডের পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটান তিনি। আগের দিন বোল্ড করেছিলেন ইংলিশ ওপেনার বেন ডাকেটকে।
নেপিয়ারে ২০০৮ সালের মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড টেস্ট দলে অভিষেক হয় টিম সাউদির। ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে ১০৭টি ম্যাচ খেলে ৩৯১ উইকেট শিকার করেছেন এই কিউই পেসার। বোলারের স্বীকৃতি থাকলেও ১৫৬ ইনিংস ব্যাট করে নিয়েছেন ২ হাজার ২৪৫ রান।
ম্যাচসেরা হন নিউজিল্যান্ড দলের মিচেল স্যান্টনার। আর সিরিজসেরা হন ৩৫০ রান করা ইংল্যান্ড দলের হ্যারি ব্রুক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড: ৩৪৭ ও ৪৫৩।
ইংল্যান্ড: ১৪৩ ও ৪৭.২ ওভারে ২৩৪।
আরটিভি/এমএম
মন্তব্য করুন