ওয়ানডে ফরম্যাটে দারুণ ছন্দে পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে মোহাম্মদ রিজওয়ানরা। প্রোটিয়াদের ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করা প্রথম দল হিসেবে নিজেদের নামও লিখিয়েছে পাকিস্তান। এমন দিনেই পাকিস্তানি ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক গড়লেন ‘ডাক’ মারার লজ্জার রেকর্ড।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) জোহানেসবার্গে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই আউট হয়ে যান পাকিস্তানের এই ওপেনার। রীতিমতো ‘গোল্ডেন ডাক’। এর আগে পার্লে প্রথম ওয়ানডেতে ৪র্থ বলে, কেপটাউনে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২ বল খেলে আউট হয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।
সিরিজের তিন ম্যাচেই আবদুল্লাহ শফিক ফিরেছেন শূন্য হাতে। যে কোন দ্বিপক্ষীয় সিরিজে যা সর্বোচ্চবার শূন্য রানে আউটের রেকর্ড এটি। এই রেকর্ডে মালিক অবশ্য তিনি একা নন। এই লজ্জার সঙ্গী ভারতের সূর্যকুমার যাদবও। গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টানা তিন ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। সেটিই তিন ম্যাচের সিরিজে সব ম্যাচে শূন্য রানে আউটের বিশ্ব রেকর্ড। সেই রেকর্ডে এখন ভারতীয় তারকার সঙ্গী পাকিস্তানি ওপেনার।
শফিকের আগে এক সিরিজে তিনবার শূন্য রানে ফিরেছেন ১৩ জন ব্যাটসম্যান। তবে শফিক কিংবা সূর্যকুমার তিন ম্যাচের সিরিজের সব ম্যাচেই ডাক মেরে ফিরেছেন। এছাড়া ৫ কিংবা ৭ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৩ ডাক মেরেছেন ব্রেন্ডন টেইলর, শোয়েব মালিক ও নুয়ান কুলাসেকেরার মতো ব্যাটসম্যান।
পাকিস্তানের ইতিহাসে এক ক্যালেন্ডার বছরে সবচেয়ে বেশি শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ডও গড়েছেন তিনি। চলতি বছর ২১টি ইনিংসের মধ্যে সাতটিতে শূন্য রানে আউট হয়েছেন তিনি। এর আগে ২০০০ সালে ইমরান নাজির ৩২টি ইনিংসে ছয়বার ও ২০১২ সালে মোহম্মদ হাফিজ ৪৩টি ইনিংসে সমান সংখ্যক শূন্য রানে আউট হয়েছিল। সেই রেকর্ড ভেঙেছেন শফিক।
তবে বিশ্বক্রিকেটের রেকর্ড থেকে মুক্তি পেয়েছেন এই ওপেনার। ২০০২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার হার্শেল গিবস ৫১ ইনিংসে আট বার ও ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কার তিলকরত্নে দিলশান ৫৬টি ইনিংসে আট বার শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন।
একদিনের ম্যাচে টানা সবচেয়ে বেশি ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়ার বিশ্বরেকর্ডের মালিক অবশ্য যৌথভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের গাস লগি, শ্রীলঙ্কার প্রমোদ বিক্রমাসিংহে, লাসিথ মালিঙ্গা, জিম্বাবুয়ের হেনরি ওলোঙ্গা এবং ইংল্যান্ডের ক্রেইগ হোয়াইটের। তারা সবাই টানা চার ইনিংসে ‘ডাক’ মেরেছিলেন।
আরটিভি/এমএম